উত্তর : কুরআন-হাদীছ দ্বারা যারা ঝাড়-ফুঁক করে তাদের চিকিৎসা নেওয়া যাবে (বুখারী হা/৫৭৩৬, ‘চিকিৎসা’ অধ্যায়)। এছাড়া আরো কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়। যেমন (১) আঊযুবিল্লাহি মিনাশ শায়ত্বা-নির রজীম’ পাঠ করা (আ‘রাফ ৭/২০০, বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৪১৮)। (২) নাস ও ফালাক সূরাদ্বয় পাঠ করা (তিরমিযী হা/২০৫৮)। (৩) আয়াতুল কুরসী পাঠ করা (বুখারী হা/২৩১১)। (৪) সূরা বাক্বারাহ তেলাওয়াত করা (মুসলিম হা/৭৮০, মিশকাত হা/২১১৯) অথবা সূরা বাক্বারাহর শেষের দু’টি আয়াত বেশী বেশী পাঠ করা (তিরমিযী হা/২৮৮২, মিশকাত হা/২১৪৫)।
তবে কোন অবস্থাতেই তাবীয ঝুলানো বা দরজা-জানালায় কাগজে লিখে ঘর বন্ধ করা, খুটি বা লোহা পোঁতা ইত্যাদি করা যাবে না। কারণ তাবীয ব্যবহার করা শিরক। অনুরূপ শিরকী কলেমা দ্বারা ঝাড়-ফুঁক করাও শিরক (সিলসিলা ছহীহাহ হা/৪৯২ ও ৩৩১; আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৪৫৫২)।