উত্তর : এগুলি
দু’টি কারণে তালাক হিসাবে গণ্য হবে না। প্রথমত, বর্ণনা মতে ছেলেটি মানসিক
ব্যাধিগ্রস্ত এবং কারণে-অকারণে তার মধ্যে অদ্ভুত সব কার্যকলাপ ও অসংলগ্ন
কথাবার্তা প্রকাশ পায়। অতএব এরূপ ব্যক্তির রাগান্বিত অবস্থায় প্রদত্ত তালাক
ধর্তব্য হবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ক্রোধান্ধ অবস্থায় কোন তালাক হয় না’ (আবূদাঊদ হা/২১৯৩; মিশকাত হা/৩২৮৫; ছহীহুল জামে‘ হা/৭৫২৫)।
ইমাম আবূদাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘ইগলাক্ব’ গালাক্ব ধাতু হ’তে উৎপন্ন। যার অর্থ
বন্ধ হওয়া। ক্রোধান্ধ, পাগল ও যবরদস্তির অবস্থায় মানুষের স্বাভাবিক জ্ঞান ও
ইচ্ছাশক্তি লোপ পায়। তাই এ অবস্থাকে ‘ইগলাক্ব’ বলা হয় (ঐ, হাশিয়া ২/৪১৩ পৃঃ)। রাসূল (ছাঃ) আরও বলেন, ‘তিন ব্যক্তি হ’তে কলম উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। (১) পাগল যতক্ষণ না সে সুস্থ হয় ... (আবূদাঊদ হা/৪৪০১; মিশকাত হা/৩২৮৭)। আলী (রাঃ) বলেন, পাগল ব্যক্তির তালাক ব্যতীত সকল তালাকই জায়েয (বুখারী তা‘লীক, ‘তালাক’ অধ্যায়, ‘ইগলাক্ব অবস্থায় তালাক’ অনুচ্ছেদ)। দ্বিতীয়ত, সে স্ত্রীর হায়েয অবস্থায় তালাক দিয়েছে। অধিকতর গ্রহণযোগ্য মতে, হায়েয অবস্থায় তালাক দিলে তা কার্যকর হবে না (তালাক
৬৫/১; বুখারী হা/৫২৫১, ৫৩৩২, মিশকাত হা/৩২৭৫, বিন বায, ফাতাওয়া তালাক ৪৪
পৃ.; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ২০/৫৮; উছায়মীন, ফাতাওয়া ইসলামিয়া ৩/২৬৮;
বিস্তারিত দ্রষ্টব্য : ‘তালাক ও তাহলীল’ বই)। এক্ষণে তারা চাইলে তওবা
করে সংসার করতে পারে। উল্লেখ্য যে, শরী‘আতে তালাক নিয়ে কোন প্রকার
স্বেচ্ছাচারিতা গ্রহণযোগ্য নয়। অতএব ভবিষ্যতে এই বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা
বজায় রাখতে হবে।