উত্তর : ঈদায়নের তাকবীর সমূহ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নির্দেশনা ও ছাহাবায়ে কেরামের আমল দ্বারা প্রমাণিত। আর তা হ’ল-‘আল্ল-হু আকবার, আল্ল-হু আকবার, লা ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু, আল্ল-হু আকবার আল্ল-হু আকবার ওয়া লিল্লা-হিল হামদ্’ (ইবনু আবী শায়বাহ হা/৫৬৭৯)। এছাড়াও পাঠ করা যায়-আল্লাহু আকবার কাবীরা ওয়ালহামদু লিল্লাহি কাছীরা ওয়া সুবহানাল্লাহি বুকরাতাঁও ওয়া আছীলা(মুসলিম হা/৬০১)। ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, একদিন আমরা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে ছালাত আদায় করছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি উপরোক্ত তাকবীরটি বলে উঠল। ছালাত শেষে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, এ কথাগুলো কে বলল? সবার মধ্যে থেকে একজন বলল, হে আল্লাহর রাসূল আমি বলেছি। তখন তিনি বললেন, ‘কথাগুলো আমার কাছে বিস্ময়কর মনে হয়েছে। কারণ কথাগুলোর জন্য আসমানের দরজা খুলে দেয়া হয়েছিল’। ইবনু ওমর বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে এ কথাগুলো বলতে শোনার পর থেকে তার ওপর আমল করা কখনো বাদ দেইনি (মুসলিম হা/৬০১)। ইমাম শাফেঈসহ একদল বিদ্বান এই অংশটুকু পাঠ করাকে মুস্তাহাব বলেছেন (কিতাবুল উম্ম ১/২৭৬)

আল্লাহ তা‘আলা যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশদিন ও আইয়ামে তাশরীক্বের দিনগুলোতে অধিকহারে তাঁর যিকির-আযকার করার নির্দেশ দিয়েছেন (হজ্জ ২২/২৮; বাক্বারাহ ২/২০৩)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)ও এই দিনগুলোতে তাকবীর, (আল্লাহু আকবার) তাহলীল (লা-ইলাহা ইল্লাল্লহ), তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ) ও তাহমীদ (আলহামদুলিল্লাহ) অধিকহারে পাঠের নির্দেশ দিয়েছেন (আহমাদ হা/৫৪৪৬, ৬১৫৪)। আর প্রচলিত তাকবীর এই চারটিকেই শামিল করে। তাছাড়া ঈদের তাকবীরের উক্ত শব্দগুলো ছাহাবায়ে কেরাম থেকে ছহীহ সনদে প্রমাণিত। যেমন ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব, ইবনু আববাস, আলী ও আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) উক্ত তাকবীর গুলো পাঠ করতেন (ইবনু আবী শায়বাহ হা/৫৬৫৩, ৫৬৫১; ইরওয়া হা/৬৫৪-এর আলোচনা, সনদ ছহীহ; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ২/২৯৩)। পরবর্তীতে তাবেঈনে ইযাম উক্ত তাকবীর পাঠ করেছেন (ইবনু আবী শায়বাহ হা/৫৬৫০; নববী, আল-মাজমূ‘ ৫/৪০ ইবনুল মুনযির, আল- আওসাত্ব ৪/৩৪৯)। তারপরে চার ইমামের তিন ইমামই উক্ত তাকবীর পাঠ করেছেন (নববী, আল-মাজমূ‘ ৫/৩৯; মুগনী ২/২৯৩; ইবনুল হুমাম, ফৎহুল ক্বাদীর ২/৮২)। তবে রাসূলুল্লাহ থেকে সরাসরি শব্দগুলো বর্ণিত না হওয়ায় বিদ্বানগণ তাকবীরগুলো বিভিন্ন শব্দে পাঠ করেছেন। সেজন্য কেউ উক্ত তাকবীরগুলো হুবহু পাঠ না করে তাকবীর, (আল্লাহু আকবার) তাহলীল (লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ), তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ) ও তাহমীদ (আলহামদু লিল্লাহ) আকারে পাঠ করলেও তাতে কোন দোষ নেই। মোট কথা আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূল (ছাঃ) এই দিনগুলোতে অধিকহারে যিকির, তাকবীর ও তাহলীল পাঠ করার নির্দেশনা দিয়েছেন (ওছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৬/২১৬; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ১৩/৩৫৫)

প্রশ্নকারী : সা’দ মুহাম্মাদ, বড় মির্জাপুর, খুলনা।








বিষয়সমূহ: জুম‘আ ও ঈদ
প্রশ্ন (১৫/৯৫) : আমরা পাঁচজন পার্টনার একটি ভবনের মালিক। আমি রাযী না থাকলেও চারজনের সম্মতিক্রমে ভবনের কিছু অংশ লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানীকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এক্ষণে ভাড়া থেকে আসা অর্থ আমি ভোগ করতে পারব কি? - -যহীরুল ইসলাম, সাহেব বাজার, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৩১/৩৯১) : কোন সৎ উদ্দেশ্যে পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (২৯/৬৯): কুরবানীর পশু ক্রয়ের পর খুঁতযুক্ত হয়ে গেলে সে পশু দিয়ে কুরবানী হবে কি?
প্রশ্ন (২৩/৬৩) : জিনদের কেউ মারা গেলে তারাও কি মানুষের মত কবর দেয়? তারা কোথায় বাস করে? তারা কি তাদের রূপ পরিবর্তন করতে পারে?
প্রশ্ন (২১/৬১) : বিবাহের পাত্রীকে বিউটি পার্লারে নিয়ে বা বাড়িতে সাজ-সজ্জা করা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (১২/১২) : বড় বড় অনেক ইমাম আছেন, যাদের ইলমী খেদমত ব্যাপক। কিন্তু কিছু আক্বীদার ক্ষেত্রে তাদের চরম বিভ্রান্তি আছে। তাদের বই পাঠ করা বা ফৎওয়া গ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান কি হবে?
প্রশ্ন (২/২৪২) : আমি একান্ত প্রয়োজনে কারু নিকট থেকে টাকা ধার নিয়ে পরে জানতে পারি যে তাকে সূদ দিতে হবে। এক্ষণে আমার করণীয় কি? - -ফারূক, মালয়েশিয়া।
প্রশ্ন (২৬/২৬) : কোন কোন আলেম জিহাদের গুরুত্ব তুলে ধরে এটাকে ইসলামের ৬ষ্ঠ রুকন হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। এটা সঠিক কি? - -আব্দুর রহীম, গন্ধর্বপুর, সিরাজগঞ্জ।
প্রশ্ন (৮/২৪৮) : মাশরূমের চাষাবাদ ও ব্যবসা করায় শরী‘আতে কোন বাধা আছে কি? দলীলসহ জানতে চাই। - মাহদী হোসাইন ঢাকা।
প্রশ্ন (১/১২১) : ওছমান (রাঃ) জুম‘আর দ্বিতীয় আযান চালু করে কি সুন্নাতবিরোধী আমল করেছিলেন? - -মোবারক হোসাইন, রাণীবাজার, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৩৩/৩৩) : মাজমাউয যাওয়ায়েদ, কানযুল উম্মাল ও মুসনাদে বায্যার গ্রন্থ তিনটির লেখক ও কিতাব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই। - -শু‘আইব, হরতকিতলা, নীলফামারী।
প্রশ্ন (১/১৬১) : ‘ক্বিয়ামতের দিন সূর্য সোয়া হাত নীচে নেমে আসবে’ হাদীছের এই বাণীটির যৌক্তিকতা ও ওলামায়ে কেরামের ব্যাখ্যা জানতে চাই।
আরও
আরও
.