উত্তর : ইসলামের সোনালী যুগে আক্বীক্বার জন্য লোকদেরকে দাওয়াত দেওয়ার কোন প্রচলন ছিল না। ইবনু ‘আব্দিল বার্র ইমাম মালেক (রহঃ)-এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘বিবাহের ওয়ালীমায় যেভাবে লোকদেরকে দাওয়াত দেওয়া হয়, সেভাবে আক্বীক্বায় লোকদের দাওয়াত দেওয়া হ’ত না’ (ইবনুল ক্বাইয়িম, তুহফাতুল মওদূদ বি আহকামিল মওলূদ পৃঃ ৬০)। তবে আক্বীক্বার গোশত কুরবানীর গোশতের ন্যায় তিন ভাগ করে একভাগ ফকীর-মিসকীনকে ছাদাক্বা দিবে ও একভাগ বাপ-মা ও পরিবার খাবে এবং একভাগ আত্নীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের মধ্যে হাদিয়া হিসাবে বণ্টন করবে (বায়হাক্বী ৯/৩০২ পৃ.)। চামড়া বিক্রি করে তা কুরবানীর পশুর চামড়ার ন্যায় ছাদাক্বা করে দিবে (ইবনে রুশদ, বিদায়াতুল মুজতাহিদ ১/৪৬৭ পৃঃ; মাসায়েলে কুরবানী ও আক্বীক্বা পৃ. ৫২)।