উত্তর : যারা কুরআনের সাথে হাদীছকে শরী‘আতের দলীল হিসাবে বিশ্বাস করে না, তারা সুস্পষ্ট কাফির। কারণ হাদীছ অনুসরণ করা কুরআনেরই নির্দেশ। আল্লাহ বলেন, ‘আর রাসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত হও’ (হাশর ৫৯/৭)। তিনি আরো বলেন, ‘যে ব্যক্তি রাসূলের আনুগত্য করে, সে আল্লাহর আনুগত্য করে’ (নিসা ৪/৮০)। এরূপ অসংখ্য আয়াত আছে যেখানে রাসূল (ছাঃ)-এর হাদীছ অনুসরণ করাকে অপরিহার্য বলা হয়েছে। কেননা রাসূল (ছাঃ) নিজের মনগড়া কোন কথা বলতেন না, বরং তার ওপর যা অহী নাযিল হ’ত, তা-ই বলতেন (নাজম ৩-৪)। রাসূল (ছাঃ) হাদীছ অস্বীকারকারীদের ব্যাপারে সতর্ক করে বলেন, ‘আমি যেন তোমাদের কাউকে এরূপ না দেখি যে, সে তার গদীতে ঠেস দিয়ে বসে থাকবে, আর তার কাছে আমার কোন আদেশ বা নিষেধাজ্ঞা পৌঁছলে সে বলবে যে, আমি এসব কিছু জানি না। যা আল্লাহর কিতাবে পাব, তারই আমরা অনুসরণ করব’ (আবুদাউদ হা/৪৬০৫; মিশকাত হা/১৬২)। তিনি আরো বলেন, ‘জেনে রাখো! আমি কুরআন প্রাপ্ত হয়েছি ও তার ন্যায় আরেকটি বস্ত্ত। সাবধান! এমন এক সময় আসছে যখন বিলাসী মানুষ তার গদিতে বসে বলবে, তোমাদের জন্য এ কুরআনই যথেষ্ট। সেখানে যা হালাল পাবে, তাকে হালাল জানবে। আর

 সেখানে যা হারাম পাবে, তোমরা তাকে হারাম জানবে। অথচ আল্লাহর রাসূল যা হারাম করেছেন তা আল্লাহ কর্তৃক হারাম করার ন্যায়’ (আবুদাউদ হা/৪৬০৪; মিশকাত হা/১৬৩)। তিনি আরো বলেন, ‘আমি তোমাদের মাঝে দু’টি বস্ত্ত রেখে যাচ্ছি। যতদিন তোমরা তা মযবূতভাবে আঁকড়ে থাকবে, ততদিন তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না। আল্লাহর কিতাব ও তাঁর নবীর সুন্নাত’ (মুওয়াত্ত্বা হা/৩৩৩৮; মিশকাত হা/১৮৬; হাকেম হা/৩১৮; ছহীহুল জামে‘ হা/২৯৩৭)

সুতরাং যারা হাদীছকে অস্বীকার করে, তারা কুরআনের নির্দেশ অমান্য করার কারণে এবং রাসূল (ছাঃ)-এর অবাধ্যতার কারণে সকল বিদ্বানের ঐক্যমতে সুস্পষ্ট কাফির এবং মুরতাদ হিসাবে গণ্য হবে। এক্ষণে কোন স্বামী যদি হাদীছকে অস্বীকার করে তাহ’লে স্ত্রী প্রথমে স্বামীকে সঠিক ইসলামের দাওয়াত দিবে। অতঃপর স্বামী কোনভাবেই তা মেনে না নিলে তার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। কেননা কোন মুসলমান ব্যক্তি কাফিরের জন্য হালাল নয় (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ৪/৩১৫)

প্রশ্নকারী : শাহনাজ পারভীন

ভোলাহাট, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।







বিষয়সমূহ: ছালাত
প্রশ্ন (১৩/১৭৩) : জনৈক ব্যক্তি বলেন, শুক্রবার আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টির কাজ একত্রে জমা হয়েছিল বলে এই দিনটিকে জুম‘আ বলা হয়। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক?
প্রশ্ন (২৪/১৪৪) : সমাজে প্রচলিত আছে যে, মৃত মানুষের কবর সংরক্ষণের জন্য দেওয়া প্রাচীর ভেঙ্গে যাওয়ার পর কেউ তা জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার করলে তার প্যারালাইসিস হবে। একথার সত্যতা আছে কি? এটা ব্যবহার করা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (১৫/১৭৫) : তিন ছেলে-মেয়ে থাকা অবস্থায় জনৈক ব্যক্তি স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই ২য় বিবাহ করেছে। এটা শরী‘আতসম্মত হয়েছে কি? এক্ষণে প্রথমা স্ত্রী ও তার সন্তানরা দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দিতে পিতাকে বাধ্য করতে পারবে কি? - -সোহাগ হোসাইন, মিরপুর, ঢাকা।
প্রশ্ন (৩১/২৩১) : সূরা তওবার ২ নং আয়াতের প্রেক্ষাপট কি? প্রচলিত তিন চিল্লার সাথে সাথে এর কোন সম্পর্ক আছে কি?
প্রশ্ন (৩০/৩১০) : তিনি সর্বদা কোন না কোন কাজে রত আছেন (রহমান ২৯)। হে মানুষ ও জিন! আমি শীঘ্রই তোমাদের জন্য কর্ম মুক্ত হব (রহমান ৩১)। উক্ত আয়াতদ্বয়ের ব্যাখ্যা জানতে চাই।
প্রশ্ন (৭/৪৪৭) : কনস্টান্টিনোপল সম্পর্কে রাসূল (ছাঃ) কোন ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন কি? ওছমানীয় খলীফাগণ আমাদের জানা মতে মন্দ আক্বীদায় বিশ্বাসী ছিলেন। এক্ষণে তাদের একজনকে রাসূলের ভবিষ্যদ্বাণীর বাস্তবায়নকারী হিসাবে গণ্য করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১২/১২) : আমি সঊদী প্রবাসী। ইক্বামার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও আমি অবৈধভাবে আছি। আমাকে গুনাহগার হ’তে হবে কি?
প্রশ্ন (৩৮/৩৯৮) : ‘আক্বীদার মানদন্ডে তাবিজ’ বইয়ের ৬২ পৃষ্ঠায় রয়েছে ছালাত ত্যাগকারীর প্রতি শরীয়তের বিধান? প্রথমতঃ তাকে কোন মুসলিম মহিলার সাথে বিবাহ দেয়া শুদ্ধ হবে না। ছালাত না পড়া অবস্থায় যদি তার আকদ বা বিবাহ সম্পাদন করা হয় তাহলেও তার বিবাহ বাতিল বলে গণ্য হবে। এই বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমে উক্ত স্ত্রী স্বামীর জন্য হালাল হবে না। দ্বিতীয়তঃ বিবাহ বন্ধন সম্পাদন হওয়ার পর যদি সে ছালাত ত্যাগ করে তাহ’লেও তার বিবাহ বাতিল হয়ে যাবে। বিবাহ বাতিল হওয়ার ব্যাপারে স্ত্রী মিলনের আগে হউক বা পরে হউক এতে কোন পার্থক্য নেই। তৃতীয়তঃ যে ব্যক্তি ছালাত পড়ে না, তার জবাইকৃত পশু খাওয়া যাবে না। উক্ত জবেহকৃত পশু হারাম। যদি কোন ইহুদী অথবা নাসারা খৃষ্টান জবেহ করে তা আমাদের জন্য খাওয়া হালা। এ বিষয়ে দলীল ভিত্তিক সমাধান জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (২৩/১৪৩) : নারীদের ভ্রূ অধিক ঘন হয়ে গেলে কিছুটা ছেটে ফেলায় কোন বাধা আছে কি? - -শামীমা বেগম, বাগমারা, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২/৪০২) : গণিকাবৃত্তির মাধ্যমে জনৈক মহিলা পরিবার পরিচালনা করতেন। এখন তিনি তওবা করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন। এক্ষণে তার অবৈধ কর্মে উপার্জিত অর্থে ক্রয়কৃত আসবাবপত্র, জমি-জমা ভোগ করা বৈধ হবে কি?
প্রশ্ন (১৭/১৩৭) : সূরা তওবার ৭৫ ও ৭৬ নং আয়াতদ্বয় কোন্ ঘটনার প্রেক্ষিতে নাযিল হয়েছে?
প্রশ্ন (২১/১৪১) : ছালাতের সিজদায় কুরআনে বর্ণিত দো‘আ সমূহ পাঠ করা যাবে কি?
আরও
আরও
.