উত্তর : সম্পদ রক্ষার জন্য সমাজে প্রচলিত আইন মেনে যাবতীয় বৈধ পন্থা অবলম্বন করবে। প্রয়োজনে কোর্টে মামলা করতে হবে। কোনভাবেই প্রতিকার না পেলে ধৈর্যধারণ করতে হবে এবং আল্লাহ্র উপর ভরসা করতে হবে। আল্লাহ চাইলে আরো বহু উপার্জনের পথ উন্মুক্ত করে দিতে পারেন। আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য উপায় বের করে দেন’ (তালাক ৬৫/২)। আবার এই ত্যাগের বিনিময়ে পরকালীন পুরস্কারও অর্জিত হ’তে পারে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যদি কোন ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের প্রতি তার সম্মান বা অন্য কিছুতে কোন যুলুম ও অন্যায় করে থাকে, তাহ’লে সেদিন আসার পূর্বেই সে যেন আজই তার নিকট হ’তে (ক্ষমা চাওয়া অথবা প্রতিশোধ দেওয়ার মাধ্যমে) নিজেকে মুক্ত করে নেয়; যেদিন (ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য) না দীনার থাকবে, না দিরহাম। (সেদিন) যালেমের নেক আমল থাকলে তার যুলুম অনুপাতে নেকী তার নিকট থেকে কেটে নিয়ে (মযলুমকে দেওয়া) হবে। পক্ষান্তরে যদি তার নেকী না থাকে (অথবা নিঃশেষ হয়ে যায়) তাহ’লে তার (মযলুম) বিবাদীর গোনাহ নিয়ে তার ঘাড়ে চাপানো হবে (মুসলিম হা/২৫৮১; বুখারী হা/৬৫৩৪; মিশকাত হা/৫১২৭)। তিনি আরো বলেন, ‘যে কেউ অন্যায়ভাবে এক বিঘত জমি জবর দখল করবে, ক্বিয়ামতের দিন তার গলায় সাত তবক যমীনের বেড়ী পরানো হবে’ (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/২৯৩৮)। অতএব কোনভাবেই জমি ফেরৎ পাওয়া না গেলে ধৈর্যধারণ করবে এবং পরকালীন ছওয়াবের প্রত্যাশা করবে।
প্রশ্নকারী : মারূফ বিল্লাহ, নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর।