উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরাম থেকে এভাবে ফাতেহা পাঠের কোন দলীল নেই (আলবানী, তালখীছু আহকামিল জানায়েয ৮২ পৃঃ)। সুতরাং এটি নিঃসন্দেহে বিদ‘আত। যা থেকে বেঁচে থাকা আবশ্যক। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি এমন কোন আমল করল যার ব্যাপারে আমার কোন নির্দেশ নেই, তা প্রত্যাখ্যাত’ (মুত্তাফাক আলাইহ, মিশকাত হা/১৪০)। ইসলামী শরী‘আতে কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্য হ’ল মৃত্যু ও আখেরাতকে স্মরণ করা এবং মৃতের জন্য আল্লাহর নিকট মাগফেরাত কামনা করা। তাই যিয়ারতের সময় মৃতের জন্য কেবল এই দো‘আ করাই যথেষ্ট, যা রাসূল (ছাঃ) শিখিয়ে দিয়েছেন, আস্সালা-মু ‘আলা আহলিদ দিয়া-রি মিনাল মু’মিনীনা ওয়াল মুসলিমীনা; ওয়া ইন্না ইনশা-আল্লা-হু বিকুম লা লা-হেকূনা। নাসআলুল্লা-হা লানা ওয়া লাকুমুল ‘আ-ফিয়াতা’ (মুসলিম, মিশকাত হা/১৭৬৪-৬৭; ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ২৫৩ পৃঃ)।
উল্লেখ্য যে, এই দো‘আর সময় একাকী দু’হাত উঠানো যাবে, দলবদ্ধভাবে নয়। বাক্বী‘ গোরস্থানে দীর্ঘক্ষণ একাকী দো‘আ করার সময় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তিন বার হাত উঠিয়েছিলেন (মুসলিম হা/২২৫৫(৯৭৪), ‘জানায়েয’ অধ্যায়)। দ্বিতীয়তঃ এইসব যিয়ারতের উদ্দেশ্য থাকে মূলতঃ দুনিয়া। যেখানে নেতা-নেত্রী, জনগণ বা গদ্দীনশীন পীরকে খুশী করাই লক্ষ্য থাকে। যা শিরকের পর্যায়ভুক্ত। এ ধরনের লোক দেখানো যিয়ারত ও দো‘আ আল্লাহর নিকটে কবুল হবে না (কাহফ ১৮/১১০)।