উত্তর : বক্তব্যটি সঠিক নয়। কারণ রাসূল (ছাঃ) মু‘আয বিন জাবালকে ইয়ামনে পাঠানোর সময় বলেছিলেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা তাদের উপর তাদের সম্পদের মধ্য থেকে ছাদাক্বা (যাকাত) ফরয করেছেন। যেটা তাদের ধনীদের নিকট থেকে গ্রহণ করা হবে এবং তাদের দরিদ্রদের মাঝে বণ্টন করা হবে’ (বুখারী হা/১৩৯৫; আবুদাউদ হা/১৫৮৪)। এখানে একটি মাত্র খাত উল্লেখ করা হয়েছে যা প্রমাণ করে যে, প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে কমবেশী বা খাতের ব্যাপারে শিথিলতা রয়েছে। ইবনু জারীর (রহঃ) বলেন, কুরআনে বর্ণিত খাতগুলির দ্বারা উদ্দেশ্য এই নয় যে ৮টি খাতকে সমানভাবে বন্টন করতে হবে; বরং ৮টি খাতের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে বন্টন করতে হবে (ইবনু কাছীর, তাফসীর তওবা ৬০ আয়াত)। তবে ফকীর-মিসকীনকে প্রাধান্য দিবে। যেহেতু আল্লাহ তাদের নাম প্রথমে উল্লেখ করেছেন (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৮/২২১)।