ইয়াহইয়া ইবনে ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন, ‘একদিন আমি সুফিয়ান ইবনে উয়ায়না (রহঃ)-এর কাছে ছিলাম। এমন সময় এক লোক এসে তাকে নিজ স্ত্রীর ব্যাপারে বলল, ‘হে আবূ মুহাম্মাদ! ঐ নারীর ব্যাপারে আমার অভিযোগ আছে। আমি যেন তার কাছে সবচেয়ে লাঞ্ছিত ও সবচেয়ে তুচ্ছ। তার কথা শুনে স
এক কনকনে শীতের দিনে একজন শ্যামাঙ্গী মহিলা শহরের পাবলিক বাসে উঠলেন। তিনি বাসের সামনের সারির একটি সীটে বসলেন। কিছুক্ষণ পর একজন শেতাঙ্গ পুরুষ তার পাশে এসে দাঁড়াল। লোকটি আশা করেছিল, মহিলাটি স্বেচ্ছায় তার সীট ছেড়ে উঠে যাবে। কারণ নিয়ম হ’ল সাদা চামড়ার মানুষ
‘আমের বিন সা‘দ (রহঃ) বলেন, আমার পিতা সা‘দ ইবনু আবি ওয়াক্কাস (রাঃ)-এর একটি ছাগলের পাল ছিল। একবার তার ছেলে ওমর তার নিকট আসলেন। তিনি দূর থেকে ছেলে দেখেই বললেন, আমি আল্লাহর নিকট এ অশ্বারোহীর অনিষ্ট হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। অতঃপর ছেলে পিতার কাছে এসে বলল,
আব্দুল্লাহ ইবনু সিনান (রহঃ) বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক এবং মু‘তামির ইবনু সোলাইমানের সাথে তারাসুসে অবস্থান করছিলাম। এমন সময় হঠাৎ মানুষের মাঝে যুদ্ধ যাত্রার রব উঠল। যুদ্ধের খবর পেয়ে মানুষ বের হতে লাগলো। আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারকও বেরিয়ে পড়লেন। রোম
ভূমিকা :আইনে জালূত ছিল মুসলমানদের হারানো চেতনা নতুন করে জাগানোর যুদ্ধ। চেঙ্গীস খানের নেতৃত্বে কয়েক দশক ধরে যে তাতারঝড় লন্ডভন্ড করেছিল মধ্য এশিয়া ও ইসলামী খিলাফতের রাজধানী বাগদাদকে, মাত্র অর্ধশত বছরে রাজত্ব বিস্তার করেছিল অর্ধ পৃথিবীতে, আইনে জালুতে তা
ওমর ইবনু আব্দুল আযীয (৬১-১০১ হি.) ছিলেন উমাইয়া খেলাফতের স্বনামধন্য খলীফা। তার জীবন ছিল পরহেযগারিতা, দুনিয়াবিমূখতা ও অল্পেতুষ্টির আলোয় উদ্ভাসিত। তাঁর জীবনের ভাঁজে ভাঁজে উপদেশের খোরাক রয়েছে জান্নাত পিয়াসী মুমিনের জন্য। মাত্র ৩৯ বছর বয়সে তিনি মৃ
আমীরুল মুমিনীন ওমর বিন খাত্ত্বাব (রাঃ)-এর যুগ খোলাফায়ে রাশেদার সোনালী যুগ ছিল। মুসলমানরা একের পর এক বিজয় অর্জন করছিল। সেই সময় খেলাফতের রাজধানী ছিল মদীনা। আমীরুল মুমিনীন মদীনাতে থাকতেন। তিনি যখন কোন সেনাবাহিনী প্রেরণ করতেন, তখন তাদের নির্দেশ দিতেন- যে
আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক (১১৮-১৮১ হি.) খোরাসান তথা বর্তমান তুর্কমেনিস্তানের মার্ভ শহরে জন্মগ্রহণ করেন এবং এই শহরেই তিনি বেড়ে ওঠেন। তিনি ছিলেন একাধারে মুহাদ্দিছ, ফক্বীহ, আলেম, মুজতাহিদ, কবি, সাহিত্যিক, দানশীল এবং একজন সাহসী বীর মুজাহিদ। তিনি ‘আমীরুল মু
কাযী শুরাইহ বিন হারেছ আল-কিন্দী ইসলামের ইতিহাসে ন্যায়পরায়ণতা, বুদ্ধিমত্তা ও অগাধ পান্ডিত্যের অধিকারী এক অনন্যসাধারণ বিচারপতি ছিলেন। তিনি একাধারে ওমর, ওছমান, আলী এবং মু‘আবিয়া (রাঃ)-এর শাসনামলে বিচারপতি পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ৬০ বছর যাবৎ বিচারকার্য পরিচাল
২০ হিজরী সনে দ্বিতীয় খলীফা ওমর (রাঃ)-এর শাসনামলে বিখ্যাত ছাহাবী আমর ইবনুল ‘আছ (রাঃ)-এর নেতৃত্বে সর্বপ্রথম মিসর বিজিত হয়। মিসরে তখন প্রবল খরা। নীলনদ পানি শূন্য হয়ে পড়েছে। সেনাপতি আমরের নিকট সেখানকার অধিবাসীরা অভিযোগ তুলল, হে আমীর! নীলনদ তো একটি নির্দি
মুহাম্মাদ বিন ওবায়দুল্লাহ হ’তে থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা দ্বিতীয় খলীফা হযরত ওমর (রাঃ)-এর নিকটে কিছু কাপড় আসলে তিনি সেগুলি হকদারগণের মাঝে বন্টন করে দেন। এতে আমাদের প্রত্যেকে একটি করে কাপড় পেল। কিন্তু তিনি নিজে দু’টি কাপড় দিয়ে তৈরী একটি পোষাক
খোরাসানের মার্ভ অঞ্চল তথা বর্তমান তুর্কমেনিস্তানের বাশিন্দা আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক (১১৮-১৮১ হি.) ছিলেন একাধারে মুহাদ্দিছ, ফক্বীহ, মুজতাহিদ এবং একজন সাহসী বীর মুজাহিদ। তিনি ‘আমীরুল মু’মিনীন ফিল হাদীছ’ উপাধিতে ভূষিত হন। একজন মানুষের মাঝে সম্ভা
মিসরে অবস্থানকালে শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তায়মিয়া (রহঃ) ভ্রান্ত ছূফীদের দ্বারা সবচেয়ে বেশী নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। সেখানে তিনি শিক্ষকতা, মানুষের আক্বীদা-আমল মযবূতকরণ এবং মানুষের মাঝে ছড়িয়ে থাকা উদ্ভট উপাখ্যান ও অলৌকিক কাহিনী অপনোদন সহ বহুমু
আল্লাহ আমীরুল মুমিনীনকে দীর্ঘজীবী এবং তাঁর সমুদয় নে‘মত ও গৌরবকে তাঁর জন্য স্থায়ী করুন। তিনি ইহজগতে যে সুখ সম্পদের অধিকারী হয়েছেন, পরলোকের অনন্ত নে‘মতও যেন তাঁর সঙ্গে অবিচলিত থাকে। তিনি যেন নবী করীম (ছাঃ)-এর সাহচর্য লাভের গৌরব অর্জন করতে সমর্থ
বিশ্বে যত আন্দোলন রয়েছে, তার মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন এবং নির্ভেজাল আন্দোলন হ’ল ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’। ছাহাবায়ে কেরামের যুগ থেকে চলে আসা এই আন্দোলন বাতিলের ভ্রুকুঞ্চন, অত্যাচার-নির্যাতনকে মাড়িয়ে, বাঁধার প্রাচীর ডিঙ্গিয়ে ইসলামের ভিতর অনুপ্রবিষ্
যারা হজ্জ বা ওমরা করতে গেছেন তারা নিশ্চয়ই একটা বিষয় লক্ষ্য করেছেন যে, চামড়া পোড়ানো সেই তীব্র গরমে ও খোলা আকাশে কড়া রোদের নীচে কা‘বা ঘরের চারপাশে তাওয়াফ স্থলের মেঝেতে কিন্তু পা পুড়ে যায় না। বরং বেশ ঠান্ডা অনুভূত হয়। এর পেছনে রহস্য কি?যিনি এই ম
ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ)-এর খেলাফতকাল ছিল ইসলামের ইতিহাসের এক সোনালী অধ্যায়। এ সময় খলীফা ও জনসাধারণের মাঝে ছিল গভীর সম্পর্ক। খলীফা তাদের সুবিধা-অসুবিধার প্রতি খুব বেশী দৃষ্টি রাখতেন। জনসাধারণও তাদের অভাব-অনটন ও দুঃখ-দুর্দশার কথা খলীফাকে বলার
ভূমিকা :মদীনা ছিল খেজুর বৃক্ষ সমৃদ্ধ অঞ্চল। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর হিজরতের পর একে ‘মদীনাতুন্নবী’ নামে আখ্যায়িত করা হয়। মদীনার চতুষ্পার্শেব খেজুর বাগান ও গাছের এত আধিক্য ছিল যে, বৃষ্টির কারণে কোন খেজুর নিচে পড়লে তা নির্ণয় করা কঠিন হত যে, এটা কোন
আল্লাহ ক্ষমাশীল। তিনি ক্ষমাশীলতাকে পসন্দ করেন। পৃথিবীতে যারা ক্ষমাশীলতা ও উদারতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তাদের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। তাদেরই একজন হ’লেন আববাসীয় খলীফা মুক্তাফী লি-আমরিল্লাহ ও তাঁর পুত্র মুস্তানজিদের স
সুলতান মাহমূদ বর্তমান আফগানিস্তানের অন্তর্গত গযনী প্রদেশের সুলতান ছিলেন। তিনি যেমন একজন দক্ষ শাসক ছিলেন, তেমনি ছিলেন সত্যানুসন্ধানী ধর্মপরায়ণ মানুষ। তাঁর পুরো নাম ছিল আবুল কাসেম মাহমূদ বিন নাছিরুদ্দৌলা আবুল মানছূর সবুক্তগীন। তিনি সাইফুদ্দৌলা নামেও পর
ছাহাবী-তাবেঈদের যুগে অনেকবার মহামারী দেখা দিয়েছে। যেমন ১৮ হিজরীতে ওমর (রাঃ)-এর খেলাফতকালে সিরিয়াসহ বিভিন্ন দেশে ‘ত্বাঊনে আমওয়াস’ নামে এক মহামারী ছড়িয়ে পড়লে পঁচিশ হাযার মানুষ মারা যায়। যাদের মধ্যে ছাহাবী আবু ওবায়দাহ ইবনুল জাররাহ ও মু‘আয বিন জা
সাঈদ ইবনুল মুসাইয়েব (রহঃ) প্রখ্যাত তাবেঈ ছিলেন। তাঁর দাদা ও পিতা ছাহাবী ছিলেন। তিনি ছাহাবীগণ থেকে বহু হাদীছ বর্ণনা করেছেন। বিশেষ করে তিনি ওছমান, আলী, যায়েদ বিন ছাবেত, আয়েশা ও উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে হাদীছ বর্ণনা করেছেন। তিনি সর্বদা তাফস
আপনি কাউকে তুচ্ছজ্ঞান করবেন না, অপবাদপ্রাপ্ত ব্যক্তির পাশে বসবেন না, পাপাচারী ব্যক্তির সাথে (ঘনিষ্ঠভাবে) মিশবেন না ও তাকে সঙ্গ দিবেন না। কেবলমাত্র তাক্বওয়াশীল ও সম্মানিত ব্যক্তির সাথে ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখুন। কেননা অসৎ সঙ্গীর চেয়ে একাকী থাকাই উত
তাতারদের ইসলাম গ্রহণ :তাতাররা ইসলাম ও মুসলমানদের বিনাশে যেমন অগ্রগামী ছিল তেমনি ইসলাম গ্রহণ ও ইসলাম প্রচারেও তারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল। বাগদাদ ধ্বংস হওয়ার পূর্বেই চেঙ্গীস খানের আরেক নাতি বারাকাত খান ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। হালাকু কর্তৃক বা
জলীলুল কদর তাবেঈ, প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিছ ও ফকীহ উরওয়া ইবনে যুবায়ের (রহঃ) ২৩ হিজরীতে ওছমান (রাঃ)-এর খেলাফত কালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন প্রসিদ্ধ ছাহাবী যুবায়ের বিন আওয়াম ও আবুবকর তনয়া আসমা (রাঃ)-এর পুত্র। বহু ছাহাবী তাঁর নিকট থেকে হাদীছ বর্
আপনি সৎকর্মপরায়ণদের সাথে থাকুন। কারণ তারা আপনাকে মহান আল্লাহর নির্দেশ বাস্তবায়নে সহায়তা করবে। আমার কাছে নবী করীম (ছাঃ) থেকে এ মর্মে হাদীছ পৌঁছেছে যে, তিনি বলেন,مَا تَحَابَّ رَجُلَانِ فِي اللهِ إِلَّا كَانَ أَحَبُّهُمَا إِلَى اللهِ أَشَدَّهُمَ
সমস্ত প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য, ছালাত ও সালাম বর্ষিত হৌক সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল সাইয়েদুনা মুহাম্মাদ (ছাঃ), তাঁর পরিবার-পরিজন ও সাথীবৃন্দের উপর।পর সমাচার এই যে, আমি আপনার নিকট এমন একটি পত্র লিখছি, যাতে হেদায়াত বা উপদেশমূলক তেমন কোন কথ
(৪র্থ কিস্তি) বাগদাদে তাতার বাহিনী : তাতার বাহিনী একের পর এক শহর দখল করতে থাকে এবং ধ্বংসলীলা চালাতে থাকে। এরপর তারা জাযীরাহ, দিয়ারে বাকর, ত্বানযাহ, নাছীবীন, সিনজার, ইরবল, আ‘রাবান ও মূছেল অতিক্রম করে মূ‘নেসা গ্রামে প্রবেশ করে সেখানে ধ্বংসলীলা ও লুট
তাতার বাহিনী পুনরায় হামদানে :মুসলিম বাহিনী বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে তাতার বাহিনী হামদানের পথে ফিরে আসে। তারা শহরের সন্নিকটে অবস্থান নেয়। ইতিপূর্বে তারা হামদানে একজন শাসক নিয়োগ করে গিয়েছিল। তারা তার কাছে হামদানবাসীর নিকট থেকে সংগৃহীত ধন-সম্পদ ও পোশা
তাতারদের বিজয়াভিযান ও ধ্বংসলীলা :লোকেরা তাতারদের বাগদাদ ধ্বংসের কথা জানলেও এর পূর্বে লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা ও বহু শহরকে ধ্বংস করার ঘটনা অনেকে জানে না। তারা বহু শহর ধ্বংস ও দখল করে। অতঃপর তৎকালীন মুসলিম বিশ্বের প্রাণকেন্দ্র বাগদাদ দখল করে। বাগদ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । শেষ পর্ব ।ভূমিকা : তাতারদের ইতিহাসে আমাদের জন্য বহু শিক্ষা রয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা ইতিহাস পাঠের গুরুত্ব বর্ণনা করে বলেন, ‘নিশ্চয়ই তাদের কাহিনীতে জ্ঞানীদের জন্য শিক্ষণীয় বিষয় সমূহ রয়েছে’ (ইউসূফ ১২/১১১)। তিনি আরো