উত্তর : এরূপ কথা বলা পাপ এবং মহাঅন্যায়। কারণ আল্লাহ তা‘আলা নারীকে মা, কন্যা, বোন, স্ত্রী, খালা, নানী-দাদী ইত্যাদি পরিচয়ে সম্মান ও মর্যাদা দান করেছেন। তারা মানবজাতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘পুরুষেরা নারীদের অভিভাবক। এজন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যকে প্রাধান্য দান করেছেন এবং এজন্য যে, তারা (নারীদের ভরণ-পোষণের জন্য) তাদের মাল-সম্পদ হ’তে ব্যয় করে থাকে। অতএব সতী-সাধ্বী স্ত্রীরা হয় অনুগত এবং আল্লাহ যা হেফাযত করেছেন, আড়ালেও (সেই গুপ্তাঙ্গের) হেফাযত করে’ (নিসা ৪/৩৪)। রাসূল (ছাঃ) দো‘আয় বলতেন, হে আল্লাহ! আমি লোকদেরকে দুই শ্রেণীর দুর্বল মানুষের অধিকার সম্বন্ধে পাপচারিতার ভীতি প্রদর্শন করছি; ইয়াতীম ও নারী (ইবনু মাজাহ হা/৩৬৭৮; ছহীহাহ হা/১০১৫)। তিনি আরো বলেন, তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সর্বোত্তম যে স্বীয় পরিবারের নিকট উত্তম। আর আমি আমার পরিবারের নিকট সর্বোত্তম (তিরমিযী হা/৩৮৯৫; মিশকাত হা/৩২৫২)।
প্রশ্নকারী : আয়েশা ছিদ্দীকা, রংপুর।