উত্তরঃ ইসলামে মুমিন ব্যক্তির মৃত দেহকে অতীব সম্মান দান করা হয়েছে (আহমাদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/১৭০৩)।
তার মৃত দেহকে সযত্নে সাবান-পানি দিয়ে গোসল করিয়ে সুগন্ধি মাখিয়ে পরিষ্কার
কাপড়ে কাফন পরিয়ে তার পরকালীন মুক্তির জন্য সমবেত ভাবে জানাযার ছালাতের
মাধ্যমে আল্লাহর নামে সসম্মানে কবরে শুইয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার
কবরকে ও তার দেহকে অসম্মান করতে নিষেধ করা হয়েছে। বলা হয়েছে ‘মৃতের হাড্ডি
ভাঙ্গা জীবিতের হাড্ডি ভাঙ্গার ন্যায়’ (আবুদাঊদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/১৭১৪)।
এমতাবস্থায় মৃত্যুর তিন ঘণ্টার মধ্যে তার চোখ তুলে নেওয়া, ছয় ঘণ্টার মধ্যে
কিডনী কেটে নেওয়া বা এমনিভাবে অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাটা-ছেঁড়া করা
মৃতের প্রতি সম্মানের পরিপন্থী। তাছাড়া মানবদেহের মূল মালিক আল্লাহ। অতএব
কোন ব্যক্তির অধিকার নেই যে, আল্লাহর তৈরী দেহকে সে যথেচ্ছ ব্যবহারে দান
করে দেবে। এক্ষণে যরূরী কোন রোগজীবাণু পরীক্ষা বা মানবতার কল্যাণে শিক্ষণ ও
প্রশিক্ষণের স্বার্থে যথাযথ দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সীমিত
ক্ষেত্রে এটা করা যেতে পারে (লাজনা দায়েমা)। ঢালাওভাবে
কখনোই নয়। নইলে মানবদেহ এক সময় ব্যবসায়িক পণ্যে পরিণত হবে। তখন জীবন্ত
মানুষকে হত্যা করে এই নিকৃষ্ট ব্যবসা চালানো হবে। আল্লাহ আমাদের হেফাযত
করুন!