উত্তর : ছালাতে ক্রন্দন করা অধিক আল্লাহভীরু সৎকর্মশীল লোকদের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ বলেন, ‘আর তারা কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং তাদের বিনয়চিত্ততা আরও বৃদ্ধি পায়’ (ইসরা ১৭/১০৯)। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম ছালাতে ক্রন্দন করতেন। আব্দুল্লাহ ইবনে শিখখীর বর্ণনা করেন, আমি একদা নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট আসলাম। এমতাবস্থায় তিনি ছালাত আদায় করছিলেন এবং ফুটন্ত পানির ডেগের শব্দের ন্যায় কাঁদছিলেন। অন্য বর্ণনায় আছে, চাক্কীর শব্দের ন্যায় শব্দ করে কাঁদছিলেন (আহমাদ, আবুদাঊদ, নাসাঈ, সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/১০০০)। আবুবকর (রাঃ) ছালাতে তেলাওয়াতকালে কান্নায় ভেঙ্গে পড়তেন (বুখারী হা/৬৬৪, ৬৮২; মুসলিম হা/৪১৮)। আব্দুল্লাহ বিন শাদ্দাদ বলেন, আমি ওমরের পিছনে ফজরের ছালাত আদায় করছিলাম। আমি ছিলাম সব পিছনের কাতারে। তিনি সূরা ইউসুফের ৮৬ আয়াত পাঠ করছিলেন আর কাঁদছিলেন (বুখারী ৩/২০৮; ইবনু আবী শায়বাহ হা/৩৫৬৫)। ইমাম বুখারী (রহঃ) উক্ত মর্মে অধ্যায় রচনা করেছেন। তিনি বলেন, باب إِذَا بَكَى الإِمَامُ فِى الصَّلاَةِ (ইমাম যখন ছালাতে ক্রন্দন করেন সম্পর্কে অধ্যায়)। অতএব আল্লাহর ভয়ে ছালাতে কান্না করা সালাফদের আমল দ্বারা প্রমাণিত (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/২৩৮)। তবে দুনিয়াবী কোন কারণে ছালাতের ভিতর আওয়ায করে ক্রন্দন করলে ছালাত বিনষ্ট হয়ে যাবে (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ২/৪১)।
প্রশ্নকারী : গোলাম রাববী, বরিশাল।