উত্তর : সূরা মুলক পাঠের অনেক ফযীলত রয়েছে। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, কুরআনে একটি সূরা আছে যাতে ত্রিশটি আয়াত আছে। যেটি তার পাঠকারীর পক্ষে সুফারিশ করবে এবং তার সুফারিশেই তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে। সেটি হ’ল সূরা মুল্ক (ত্বাবারাণী আওসাত্ব হা/৩৬৫৪; ছহীহুল জামেহা/৩৬৪৪)। তিনি বলেন, ‘সূরা মুলক কবরের আযাব থেকে বাধাদানকারী’ (ছহীহাহ হা/১১৪০; ছহীহুল জামে হা/৩৬৪৩)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, যখন মাইয়েতকে কবরে রাখা হবে এবং মাটি সবদিকে থেকে চাপ দিবে, তখন সূরা মূলক সবদিক থেকে মাটিকে প্রতিহত করবে (হাকেম হা/৩৮৩৯; ছহীহুত তারগীব হা/১৪৭৫ছহীহাহ হা/১১৪০)। নিয়মিত পাঠকারীর জন্যই উক্ত প্রতিদান রয়েছে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৪/৩৩৪-৩৫)

অধিকাংশ হাদীছে রাতে পাঠের কথাই উল্লেখ আছে (ছহীহুত তারগীব হা/১৪৭৫)। এক হাদীছে এসেছে, রাসূল (ছাঃ) সূরা সাজদা ও মুল্ক না পড়ে রাতে ঘুমাতেন না (তিরমিযী হা/৩০৬৬; মিশকাত হা/২১৫৫)। এক্ষণে কেউ দিনে পাঠ করতে চাইলে করতে পারে। কারণ এগুলো যিকর (উছায়মীন, লিক্বাউল বাবিল মাফতূহ ৫/১৫)। শোওয়ার সময় মনে মনে পড়লেও সমস্যা নেই। কেননা আল্লাহ অন্তর্যামী (শূরা ৪২/২৪)।  

তবে যদি কেউ উক্ত সূরা পাঠের পরিবর্তে মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করেন, তাহ’লেও উক্ত ছওয়াব পাবেন ইনশাআল্লাহ। কেননা আল্লাহ বলেন, ‘তিনি জানেন তোমাদের চোখের চোরাচাহনি এবং অন্তর সমূহ লুকিয়ে রাখে সেসব বিষয়’ (গাফের/মুমিন ৪০/১৯)। কিন্তু হাদীছে তেলাওয়াতের কথাই বলা হয়েছে। আর নিঃসন্দেহে তেলাওয়াত এবং শ্রবণ বা মনে মনে পাঠ করা এক নয়। উল্লেখ্য, সূরা সাজদা ও মুল্ক রাত্রিতে পাঠ করলে অন্যান্য সূরার তুলনায় ৬০ গুণ বেশী নেকী পাওয়া যায় মর্মে যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে তা যঈফ (দারেমী হা/৩৪৫৫, সনদ যঈফ; মিশকাত হা/২১৭৬)

প্রশ্নকারী : আব্দুল হান্নানবাগমারারাজশাহী।


 






বিষয়সমূহ: ছালাত
প্রশ্ন (৪/৩৬৪) : ছালাতে দাঁড়ানোর সময় মুছল্লীর দুই পায়ের মাঝে কতটুকু ফাঁকা থাকবে? প্রচলিত আছে যে, চার আঙ্গুল পরিমাণ ফাঁকা থাকবে’- একথার ভিত্তি আছে কি? - -মশীউর রহমান, সাহাপুর, নওগাঁ।
প্রশ্ন (৭/৮৭) : জনৈক ব্যক্তি মসজিদের পার্শ্ববর্তী বাড়ী থেকে শয়তান তাড়ানোর জন্য আযান দিয়ে থাকে। এর কোন ভিত্তি আছে কি? - -আনোয়ার হোসাইন, শাখারীপাড়া, নাটোর।
প্রশ্ন (১১/২৯১) : একটি জমি নিয়ে কোর্টে মামলা চলছে। এমতাবস্থায় উক্ত জমিতে ঈদগাহ বানানো যাবে কি? - সাইফুল ইসলাম, কুষ্টিয়া।
প্রশ্ন (৩৮/৭৮) : আমার স্ত্রীকে আমি শারঈ নিয়ম অনুযায়ীই বিবাহ করেছি। কিন্তু তার পূর্বের স্বামী তাকে তালাক দেয়নি। আমাদের সন্তানও আছে। এক্ষণে আমাদের করণীয় কি?
প্রশ্ন (২/৩২২) : কোন ব্যক্তি রহমত ও বরকত লাভের আশায় কোন সৎ ব্যক্তিকে ডেকে বা কোন সৎ লোক কারো বাড়িতে বেড়াতে আসলে তাকে সাধারণভাবে নফল ছালাত পড়তে বলতে পারবে কি?
প্রশ্ন (১৫/৯৫) : মাগরিবের আযানের সময়,اللَّهُمَّ إِنَّ هَذَا إِقْبَالُ لَيْلِكَ، وَإِدْبَارُ نَهَارِكَ، وَأَصْوَاتُ دُعَاتِكَ، فَاغْفِرْ لِي ‘আল্লা-হুম্মা ইন্না হা-যা- ইক্ববা-লু লায়লিকা ওয়া ইদবা-রু নাহা-রিকা ওয়া আছওয়া-তু দো‘আ-তিকা ফাগফির লী’-মর্মে বর্ণিত দো‘আটি পাঠ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩/৪৪৩) : শরী‘আতে ফরয, ওয়াজিব, সুন্নাত, মাকরূহ প্রভৃতি পরিভাষা কি গ্রহণযোগ্য? এসকল বিধানের হুকুম ও তারতম্য সম্পর্কে জানতে চাই।
প্রশ্ন (১৪/১৪): জনৈক আলেম বলছেন, নারী-পুরুষের ছালাতের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। তার বক্তব্য কি সঠিক?
প্রশ্ন (২/২৮২) : জনৈক আলেম বলেন, সফরকালীন এমন পরিমাণ স্বর্ণের আংটি ব্যবহার করা যাবে, যা কাফনের কাপড় কেনার জন্য যথেষ্ট হয়। উক্ত বক্তব্যের সত্যতা জানতে চাই।
প্রশ্ন (৩৯/২৭৯) : দাড়ি না রেখে ছালাত আদায় করলে উক্ত ছালাত কবুল হবে কি? এতে মুনাফিকের অন্তর্ভুক্ত হতে হবে কি?
প্রশ্ন (২৮/১৮৮) : সন্তানের জন্য কোন সম্পত্তি রেখে যাওয়া কি আবশ্যক? - -মুজাহিদ, পুরাতন সি এ্যান্ড বি ঘাট, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
প্রশ্ন (৩৪/৪৩৪) : আমাদের ফাউন্ডেশন থেকে লোন দিতে চাচ্ছি ১০/২০ হাযারের মতো। এখন হিসাব করে দেখছি লোন দিতে হ’লে ৩/৪ লাখ টাকা লোন নিচ্ছে গ্রামের লোক। এখন এই লোন আদায় ও বিতরণের জন্য একজন লোক দরকার। তার সম্মানী, অফিস ভাড়া, কারেন্ট বিল, লোনের বিভিন্ন ধরনের কাগজ প্রিন্ট, ফটোকপি ইত্যাদি পরিচালনার জন্য ফী হিসাবে যারা লোন নিবে এদের কাছ থেকে কোন ফী নেওয়া যাবে কি?
আরও
আরও
.