উত্তর : সূরা বাক্বারার এ আয়াত দ্বারা মদীনার ইহুদীদেরকে সম্বোধন করা হয়েছে। যাতে তারা দুনিয়াবী স্বার্থের বিনিময়ে তাওরাত ও ইঞ্জীলে রাসূল (ছাঃ) সম্পর্কে বর্ণিত ভবিষ্যদ্বাণী সহ অন্যান্য বিধানাবলী গোপন না করে এবং হারামকে হালাল ও হালালকে হারাম না করে। তবে এর ভাবার্থ ব্যাপক, যা সকল যুগের জন্য প্রযোজ্য। এখানে দ্বীনের বিনিময়ে দুনিয়া অর্জন করাকে ‘তুচ্ছ বিনিময়’ বলা হয়েছে। ইহুদী ধর্মনেতাদের ন্যায় মুসলিম ধর্মনেতাগণ যেন এরূপ না করে সেদিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। এর দ্বারা অর্থের বিনিময়ে কুরআন ও হাদীছের অপব্যাখ্যা করাকেও বুঝানো হয়েছে। উল্লেখ্য যে, শরী‘আত সম্মত পন্থায় কুরআন ও হাদীছ শিক্ষা দেয়ার বিনিময় গ্রহণ করা জায়েয। যেমন কুরআন পাঠের দ্বারা রোগীকে ঝাড়ফুঁক করে ছাহাবীগণ বিনিময় গ্রহণ করেছেন (বুখারী হা/৫০০৭; মিশকাত হা/২৯৮৫, ‘ক্রয়-বিক্রয়’ অধ্যায়, ১৪ অনুচ্ছেদ)।