১৪ই ডিসেম্বর ২০২১। দীর্ঘ কয়েক মাস রোগভোগের পর অবশেষে অধ্যাপক আমীনুল ইসলাম শেষ বিদায়ের অন্তে পৌঁছে গেলেন। ২০১৫ সালে ঠিক একদিন আগে-পিছে গত হয়েছিলেন আল-হেরা শিল্পীগোষ্ঠীর প্রধান শফীকুল ইসলাম। কর্মমুখর জীবনের ছেদ ঘটিয়ে হঠাৎ যবনিকাপাত। মনে হয়, এই
১৯৯৭ সাল। সবেমাত্র মাষ্টার্স পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তখন আমি ‘যুবসংঘ’ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি। থাকি নগরীর কাজলাস্থ ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন ভবনে’। একাডেমিক পাঠ চুকিয়ে এবার কর্মস্থলে পা রাখার পালা। সে লক্ষ্যে রাজশাহী ছেড়ে চলে যাব ঢাকা। ব্যাগ
আমীনুল ইসলাম ছিল আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের ছাত্র। তার আগে থেকেও আমরা তাকে চিনতাম ‘যুবসংঘ’-এর সদস্য হওয়ার কারণে। সে ছিল অত্যন্ত আনুগত্যশীল, বিনয়ী ও দূরদর্শী। পরামর্শ সভায় তার কাছ থেকে আমরা সর্বদা উত্তম পরামর্শ পেতাম। নম্রভাষী হওয়ায় সে ছিল সব
[প্রথিতযশা জ্ঞানতাপস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-এর প্রথম ডাইরেক্টর জেনারেল এবং লেখকের পিএইচ.ডি থিসিসের মূল্যায়ন কমিটির সম্মানিত সদস্য প্রফেসর ড. মুঈনুদ্দীন আহমা
নিস্তব্ধ-নিঃসাড় গভীর রজনী। চারিদিকে ঝিঝি পোকার ডাক, ডাহুক-ডাহুকীর অশান্ত কিচির-মিচির শব্দে যেন ঘুম আসে না। এদিকে কাল ২৩শে ফেব্রুয়ারী (২০০৫) ১৫তম বার্ষিক তাবলীগী ইজতেমা। নওদাপাড়া, রাজশাহীর এই ইজতেমার আমেজ চারিদিকে উৎসবের আনন্দে সর্বসাধারণের মনে
পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে সার্বিক জীবন গঠনের বজ্রকঠিন শপথ নিয়ে ১৯৭৮ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারী ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর যাত্রা শুরু হয়। সংগঠনের ১ম দফা কর্মসূচী তাবলীগের কাজ জাতীয় পর্যায়ে শুরু হয় ১৯৮০ সালে। এ বছরের ৫ ও ৬ই এপ্রিল ঢাকা জে
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । সংগঠনের ইতিহাসে এমন কিছু ঘটনাবহুল দিন ও সময় থাকে যা কখনো স্মৃতির পাতা থেকে হারিয়ে যায় না। দুঃখ ও বেদনাভরা ঐ সময়গুলো বারবার মনোজগতকে বেদনাবিধুর করে তোলে। অতীত স্মৃতি রোমন্থনে শিউরে ওঠে সমস্ত শরীর। অবিশ্বাস্য মনে হ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ ।পরবর্তী দিনগুলো : নেতৃবৃন্দের গ্রেফতারের দ্বিতীয় দিনের পর কয়েকদিন আমরা মোহনপুর থানার টেমা গ্রামের মোযাহার মেম্বারের বাড়ীতেই রাত্রি যাপন করি। কেননা লোকালয় থেকে দূরে চারিদিকে মাটির ঘর বেষ্ট
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ ।(৪) ‘পুলিশি অভিযান আইওয়াশ \ মামলা হয়েছে ৫৪ ধারায় : ড. গালিব কারাগারে জামাই আদরে রয়েছেন : খাবার পত্রিকা সরবরাহ হচ্ছে নিয়মিত’ :মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব সহ কেন্দ্র
১০ই মে রবিবার। সারাদিন অস্থিরতায় ভুগছি। অসংখ্যবার ফোন দিয়েছি, একই খবর পাচ্ছি। সন্ধ্যার পর দু’বার কথা হয়েছে। হঠাৎ রাত ৯-টা ৪৭ মিনিটে ছোট বোনের কণ্ঠে শুনলাম- ‘আপু মনে হয় আমরা একটি কঠিন বিপদের খুবই নিকটে চলে এসেছি। দো‘আ কর’। আমি এশার ছালাতের প্র
১৩ই ডিসেম্বর রবিবার। ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত বগুড়া যেলার গাবতলী থানাধীন মেন্দিপুর-চাকলা সালাফিইয়া হাফেযিয়া মাদরাসা ও ইয়াতীমখানার উদ্যোগে বার্ষিক জালসা। বিগত কয়েক বছর যাবত নিয়মিতভাবেই এই জালসায় যোগদান করে আসছি। কখনো সভাপত
১৪ই ডিসেম্বর ২০১৫। বার্ধক্যজর্জরিত জবুথবু শরীরটা গত কয়েক দিনের শীতে আরও কাহিল হয়ে পড়েছে। ফজর ছালাতান্তে শরীরে লেপ চাঁপিয়ে তাসবীহ পাঠ করছিলাম। হঠাৎ মোবাইলটা বেজে উঠল। আতংকিত হয়ে উঠল প্রাণটা। কারণ ইতিপূর্বে ভোর বেলায় যত ফোন পেয়েছি তার সবটিতেই পেয়েছি দু
মাঝ রাত ধরে চলা ঝড়-বৃষ্টির তান্ডব ট্রেনে বসে অনুভব করতে না পারলেও রাজশাহী রেলষ্টেশনে নেমে ঘুম জড়ানো চোখে রাস্তার উপরে ক্ষতিগ্রস্ত তোরণ, বিক্ষিপ্ত পড়ে থাকা গাছের ভাঙ্গা ডাল, মাঝে মাঝে জমে থাকা পানি দেখে বুঝতে পারলাম শহরটাকে ফাল্গুন মাসের হঠাৎ
‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ কর্তৃক আয়োজিত তাবলীগী ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় আসলেই অতীত স্মৃতি মনে পড়ে যায়। মনের আয়নায় ভেসে উঠে ২০০৫ সালের ইজতেমার কথা। সে বছর ইজতেমার দুইদিন আগে ২২শে ফেব্রুয়ারী অপ্রত্যাশিতভাবে সাদা পোষাকধারী শত শত গোয়েন
[খতীবে আযম মাওলানা ছিদ্দীক আহমাদ দেশের একজন উদারমনা প্রখ্যাত হানাফী আলেম ছিলেন। তিনি ১৯০৩ সালে কক্সবাজার যেলাধীন চকরিয়া উপযেলার বরইতলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তীক্ষ্ণ ধীশক্তিসম্পন্ন ও উপস্থিত বুদ্ধির অধিকারী দীর্ঘ ৪৩ বছরের এই মহান শিক্ষা
আমার নিয়ম ছিল যেখানে জালসার দাওয়াত নিতাম, সেখানে ‘আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ গঠনের শর্ত দিতাম। এছাড়া নিয়ম ছিল যাতায়াত খরচের অতিরিক্ত কোন টাকা নিতাম না। জোর করলে ‘যুবসংঘে’র রসিদ কেটে দিতাম। এমনি এক সফরে ১৯৮৩ সালে আমি জয়পুরহাট সদরের পলিকাদোয়া হাফেযিয়া ম
পৃথিবীতে মানুষ আসবে এবং যাবে এটাই স্বাভাবিক। মহান আল্লাহ বলেন, ‘প্রত্যেকটি প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে’ (আলে ইমরান ১৮৫; আম্বিয়া ৩৫)। তবে দু’একটি মৃত্যু এমন, যা যুগ যুগ ধরে স্মৃতি হয়ে থাকে। দোলা বা জাগরণ সৃষ্টি করে অন্তরে। তেমনি একজন দ্বী