উত্তর: ছাদাক্বা দুই প্রকারের। (১) ঐ যাকাত, যা হকদার ব্যতীত অন্যদের জন্য হারাম। চাই সে শিক্ষক হৌক বা ছাত্র হৌক। তবে যাকাতের হকদার তার যাকাতের সম্পদ থেকে কোন ধনীকে দাওয়াত করে খাওয়ালে তাতে দোষ নেই। যেমন বারীরা (রাঃ)-এর যাকাতের অংশ থেকে রাসূল (ছাঃ) গোশত খেয়েছিলেন। তিনি বারীরাকে বললেন, তোমার জন্য এটি ছাদাক্বা। কিন্তু আমার জন্য হাদিয়া’ (বুখারী হা/১৪৯৩; মিশকাত হা/১৮২৫)। (২) সাধারণ ছাদাক্বা, যা বণ্টনের নির্দিষ্ট কোন খাত নেই। এই ছাদাক্বা গ্রহণ সবার জন্য জায়েয। ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, নফল ছাদাক্বা ধনীদের জন্য জায়েয। এ ব্যাপারে কোন মতপার্থক্য নেই (নববী, আল-মাজমূ‘ ৬/২৩৬)। ইবনু কুদামাহ বলেন, ধনীদের জন্য ফরয ছাদাক্বা গ্রহণ করা হারাম। তবে নফল বা সাধারণ ছাদাক্বা জায়েয (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ২/২৭৬)। ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, বনু হাশেমের জন্য ফরয যাকাত হারাম। তবে নফল ছাদাক্বা হারাম নয়। যেমন তারা ছাদাক্বার কুয়া থেকে পানি পান করতেন এবং বলতেন, আমাদের জন্য ফরয ছাদাক্বা হারাম, নফল ছাদাক্বা নয় (মিনহাজুস সুন্নাহ ৪/২৬১)। ইমাম বাজী বলেন, নফল ছাদাক্বা ধনী-গরীব সবাইকে খাওয়ানো যাবে (আল-মুনতাক্বা ৭/৩২০)। আল্লামা যুরক্বানী ও আযীমাবাদী বলেন, নফল ছাদাক্বা হাদিয়ার স্থলাভিষিক্ত। অতএব এই দান ধনী-গরীব সবাই খেতে পারে (শারহুয যুরক্বানী ২/১৮৪; আওনুল মা‘বূদ ৫/৩১)। এক্ষণে মাদ্রাসায় সাধারণ ছাদাক্বা হিসাবে কিছু প্রদান করা হ’লে তা শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মচারীরা খেতে পারে। আর যাকাত বা মানত থেকে দান করা হ’লে কেবল হকদাররাই খেতে পারবে। আবার যাকাতের হকদাররা যদি শিক্ষক ও কর্মচারীদের দাওয়াত দেন, তবে তারাও সেই খাবারে অংশগ্রহণ করতে পারবে (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১৪/৩০৬; ওছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৯-১০/০২)

প্রশ্নকারী : মুরাদ, পঞ্চগড়।








বিষয়সমূহ: কবর
প্রশ্ন (১৬/২৯৬) : মৃত্যুর কতদিনের মধ্যে ওয়ারিছদের মাঝে সম্পদ বণ্টন করতে হয়? এতে কেউ গড়িমসি করলে কোন পাপ হবে কি? - মোর্শেদ মা‘ছূম, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
প্রশ্ন (১২/৪১২) : কুরআন-হাদীছ ও ইসলামিক বইপত্র যেসব মোবাইলে থাকে সেগুলি পকেটে নিয়ে টয়লেটে যাওয়া যাবে কি?
সংশোধনী
প্রশ্ন (৩৬/১১৬) : বিড়াল কিছু অংশ ভক্ষণ করলে বাকী খাবার খাওয়া জায়েয হবে কি? - -আবু জা‘ফরবড়াইগ্রাম, নাটোর।
প্রশ্ন (৩২/৩৯২) : ঋণ গ্রহণ করে কুরবানী দেওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (২৬/৩৪৬) : জনৈক বিশিষ্ট আলেম বলেন যে, সরকারী আবহাওয়া দফতরের সময়সূচীতে সূর্যাস্তের যে সময় দেওয়া হয়, বিগ ব্যাং থিওরী ও গ্যালাক্সির আবর্তন রীতি মোতাবেক সূর্য আরো ২/৩ মিনিট পরে অস্ত যায়। সুতরাং উক্ত সময়সূচীর ২/৩ মিনিট পরে ইফতার করার হানাফী আলেমদের সিদ্ধান্তই সঠিক। উক্ত দাবীর সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাই।
প্রশ্ন (৩৭/৩৭) : ইজতিহাদী মাসআলার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন বিশুদ্ধ আক্বীদা ও আমল সম্পন্ন আলেমের সিদ্ধান্তকে অগ্রাধিকার দেওয়ায় শারঈ কোন বাধা আছে কি?
প্রশ্ন (৩৪/৩১৪) : মসজিদের বারান্দায় কবর থাকলে উক্ত মসজিদে ছালাত হবে কি? ঢাকার একটি ফৎওয়া বোর্ড উক্ত মসজিদে ছালাত আদায় করা যাবে মর্মে ফৎওয়া দিয়েছে এবং দলীল হিসাবে নিম্নোক্ত হাদীছ পেশ করেছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘সমগ্র যমীনকে আমার জন্য পবিত্র এবং সিজদার স্থান বানিয়ে দেয়া হয়েছে’ (বুখারী হা/৪৩৮)। এর দ্বারা তারা কবরকেও শামিল করেছে। - -মিনহাজুল ইসলাম, গোদাগাড়ী, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৩৪/৩৫৪) : জনৈক ব্যক্তি রামাযান মাসে ৪০০/৫০০ ছায়েমকে ইফতার করাবেন বলে নিয়ত করেছেন। এরূপ নিয়ত করা কি শরী‘আত সম্মত? - -রবীউল আলম, নরসিংদী।
প্রশ্ন (১৫/৩৭৫) : যারা বিশ্বাস করে যে, খিযির এখনো বেঁচে আছেন, তারা কোন পর্যায়ভুক্ত মুসলিম? তাদের পিছনে ছালাত আদায় করা যাবে কি? - ইশতিয়াক শাকীল, বাঘারপাড়া, যশোর।
প্রশ্নঃ (১০/৩৩০) : যার পীর নেই তার পীর শয়তান। এধরনের আক্বীদা পোষণ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩৭/৩৫৭) : মাসবূক ব্যক্তি ইমামকে সিজদারত অবস্থায় পেলে পরবর্তী রাক‘আত শুরু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করবে কি? - -ছফিউল্লাহ, তেরখাদিয়া, রাজশাহী।
আরও
আরও
.