
উত্তর : সবকিছু দিয়ে হ’লেও ঋণ পরিশোধ করার চেষ্টা করতে হবে। এছাড়া বেতন থেকে প্রতিমাসে কিছু টাকা পরিশোধ করার চেষ্টা করবে। সেটাও সম্ভব না হ’লে ঋণদাতার নিকট ঋণ মওকূফের জন্য আবেদন করতে হবে। এতে সে সম্মত না হ’লে সমাজের বায়তুল মাল তহবিল থেকে সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে। কেননা ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি যাকাতের মালের অন্যতম হকদার (তওবাহ ৯/৬০)।
অন্যদিকে সক্ষম ঋণদাতা অক্ষম ঋণগ্রহীতাকে ক্ষমা করে দিলে তার জন্য বিরাট প্রতিদান রয়েছে। আবু ক্বাতাদাহ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি এই কামনা করে যে, আল্লাহ তা‘আলা তাকে ক্বিয়ামত দিবসের দুঃখ-কষ্ট হ’তে মুক্তি দিবেন, সে যেন অক্ষম ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য সহজ ব্যবস্থা করে দেয় অথবা ঋণ মওকূফ করে দেয়’ (মুসলিম হা/১৫৬৩; মিশকাত হা/২৯০২)।
এতদ্ব্যতীত ঋণ পরিশোধের তাওফীক দানের জন্য আল্লাহর নিকট নিম্নোক্ত দো‘আটি নিয়মিতভাবে পাঠ করবে।- আল্লা-হুম্মাক্ফিনী বেহালা-লেকা ‘আন হারা-মেকা ওয়া আগ্নিনী বেফায্লেকা ‘আম্মান সেওয়া-কা’ (হে আল্লাহ! তুমি আমাকে হারাম ছাড়া হালাল দ্বারা যথেষ্ট কর এবং তোমার অনুগ্রহ দ্বারা আমাকে অন্যদের থেকে মুখাপেক্ষীহীন কর! রাসূল (ছাঃ) বলেন, এই দো‘আর ফলে পাহাড় পরিমাণ ঋণ থাকলেও আল্লাহ তার ঋণমুক্তির ব্যবস্থা করে দেন’ (তিরমিযী হা/৩৫৬৩; মিশকাত হা/২৪৪৯; ছহীহাহ হা/২৬৬)।