উত্তর :তাঁর পুরো নাম আব্দুর রহমান বিন কামাল আবূবকর বিন মুহাম্মাদ আল-খুযাইরী আল-আসয়ূত্বী। তবে তিনি জালালুদ্দীন সৈয়ূতী নামে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি ৮৪৯ হিজরীতে মিসরের আসয়ূত নগরীর প্রভূত ইলম ও আমলে প্রসিদ্ধ এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং ৯১১ হিজরীতে মারা যান। পাঁচ বছর বয়সে তিনি পিতৃহারা হন। আট বছরের কম বয়সেই তিনি সম্পূর্ণ কুরআন হেফয করেন। অতঃপর তিনি বিভিন্ন উস্তাযের কাছে ইলমী বিষয় সমূহে প্রভূত জ্ঞানার্জন করেন। তিনি মিসরের কামাল ইবনুল হুমাম হানাফী, জালালুদ্দীন মাহাল্লী শাফেঈ সহ বহু বিদ্বানের নিকট দ্বীন শিক্ষা গ্রহণ করেন। তিনি শাসক শ্রেণী এবং তাদের প্রদত্ত উপঢৌকন থেকে সর্বদা নিজেকে দূরে রাখতেন। তিনি ফিক্বহী বিষয়ে ইমাম শাফেঈ (রহঃ)-এর মতামতকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন এবং আক্বীদার ক্ষেত্রে আশ‘আরী ছিলেন। তাফসীর ও হাদীছ সহ বিভিন্ন বিষয়ে ছোট-বড় প্রায় ৬০০ গ্রন্থ রচনা করেছেন। যার মধ্যে ‘তাফসীর জালালাইন’ ও ‘আল-ইতক্বান ফী উলূমিল কুরআন’ সর্বাধিক প্রসিদ্ধ (যিরিকলী, আল-আ‘লাম ৩/৩০১)। ‘তাফসীর জালালাইন’-এর প্রথমাংশ সূরা ফাতিহা সহ সূরা কাহফ থেকে নাস পর্যন্ত জালালুদ্দীন মাহাল্লী (৭৯১-৮৬৪ হি.) কর্তৃক ৬ মাসে রচিত হয়। অতঃপর মাহাল্লীর মৃত্যুর ৬ বছর পরে জালালুদ্দীন সুয়ূতী মাত্র ২২ বছর বয়সে ৮৭০ হিজরীর ১লা রামাযান বুধবার থেকে ১০ই শাওয়াল রবিবার পর্যন্ত ৪০ দিন বা তার কম সময়ের মধ্যে সূরা বাক্বারাহর শুরু থেকে বনু ইসরাঈলের শেষ পর্যন্ত রচনা করেন। যার পরিমার্জন শেষ হয় ৮৭১ হিজরীর ৬ই ছফর বুধবার। তাফসীরটি উপমহাদেশের মাদরাসা সমূহে বহুল পাঠ্য হিসাবে গণ্য। তাঁর গ্রন্থসমূহে কিছু আক্বীদাগত বিভ্রান্তি আছে এবং অনেক যঈফ ও জাল হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, যেগুলি বর্জনীয়। 






প্রশ্ন (৩০/১৫০) : ইসলামী বিধান মতে কসাইয়ের কাজ জায়েয কি? গোশতের ছিটেফোঁটা ও রক্ত শরীরে বা কাপড়ে লাগলে ছালাত জায়েয হবে কি? - -আব্দুল ক্বাইয়ূম সরদার, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ।
প্রশ্ন (১৮/৪৫৮) : আমার নিকটে কেউ কোন গোপন কথা আমানত রাখার পর পরবর্তীতে তা অন্য কোনভাবে প্রকাশ হয়ে যায়। এমতাবস্থায় আমার নিকটে তা আমানত রাখার প্রয়োজন আছে কি? - -খন্দকার নাছীফ, বাগমারা, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৪০/১৬০) : ক্বিয়ামতের দিন লূত (আঃ) কি তাঁর স্ত্রী থেকে পলায়ন করবেন? - -কামরুল ইসলাম, আমনুরা, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
প্রশ্ন (২৫/৬৫) : যমীনের উপরিভাগের মাটি অপবিত্র হওয়ায় ২০ ফুট নীচ থেকে মাটি উত্তোলন করে তা দিয়ে তায়াম্মুম করতে হবে, একথার কোন ভিত্তি আছে কি?
প্রশ্ন (১/১২১) : ওছমান (রাঃ) জুম‘আর দ্বিতীয় আযান চালু করে কি সুন্নাতবিরোধী আমল করেছিলেন? - -মোবারক হোসাইন, রাণীবাজার, রাজশাহী।
প্রশ্ন (১৩/৪১৩) : ফরয ও সুন্নাত ছালাতের জন্য পৃথক পৃথক ছানা আছে কি? ফরয ছালাতের ছানা সুন্নাতে পাঠ করা যাবে কি? - -আযহারুদ্দীনহুগলী, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
প্রশ্ন (৫/৮৫) : নার্সিং কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে মোমবাতি হাতে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়। এটা কি শরী‘আত সম্মত?
প্রশ্ন (২৯/১৪৯) : একই ইমাম একাধিক তারাবীহর জামা‘আতে ইমামতি করতে পারেন কি?
প্রশ্ন (৩/৮৩) : শায়খ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) সূরা ক্বাছাছ ৮৮ আয়াতের তা’বীলের কারণে ইমাম বুখারীকে কাফের আখ্যায়িত করেছেন কি? - -গোলাম কাদের, চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন (৩৭/৩৯৭) : ছিয়াম অবস্থায় অনেক মানুষ এমনকি কোন কোন আলেমও দাঁতে গুল দেন এবং বলেন এতে ছিয়ামের কোন ক্ষতি হবে না। এ ব্যাপারে সঠিক সমাধান জানতে চাই।
প্রশ্ন (৩১/১১১): তাকদীরে ভাল-মন্দ দু’টোই লেখা আছে। নেক আমলের দ্বারা কি মন্দ ফায়ছালা থেকে বাঁচা যায়?
প্রশ্ন (৩/৩২৩) : মসজিদের মাইকে মক্তবে পাঠ গ্রহণের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের আহবান করা যাবে কি? - -হাসান বিন লোকমানমোল্লাহাট, বাগেরহাট।
আরও
আরও
.