উত্তর : হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন যে, ‘ইবরাহীম (আঃ) তিনটি ব্যতীত কোন মিথ্যা বলেননি’। উক্ত তিনটি মিথ্যা ছিল- (১) মেলায় না যাবার অজুহাত হিসাবে তিনি বলেছিলেন إِنِّيْ سَقِيْمٌ ‘আমি অসুস্থ’ (ছাফফাত ৩৭/৮৯)। (২) মূর্তি ভেঙ্গেছে কে? এরূপ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, بَلْ فَعَلَهُ كَبِيرُهُمْ هَذَا ‘বরং এই বড় মূর্তিটাই এ কাজ করেছে’ (আম্বিয়া ২১/৬৩)। (৩) মিসরের লম্পট রাজার হাত থেকে বাঁচার জন্য স্ত্রী সারা-কে তিনি বোন হিসাবে পরিচয় দেন (বুখারী হা/৩৩৫৮; মুসলিম হা/২৩৭১; মিশকাত হা/৫৭০৪)। হাদীছে উক্ত তিনটি বিষয়কে ‘মিথ্যা’ শব্দে উল্লেখ করা হ’লেও মূলতঃ এগুলির একটাও প্রকৃত অর্থে মিথ্যা ছিল না। বরং এগুলি ছিল আরবী অলংকার শাস্ত্রের পরিভাষায় ‘তাওরিয়া’ (الةورية) বা দ্ব্যর্থ বোধক পরিভাষা। যেখানে শ্রোতা বুঝে এক অর্থ এবং বক্তার নিয়তে থাকে অন্য অর্থ। যেমন- রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একদিন হযরত আয়েশার কাছে তার এক বৃদ্ধা খালাকে দেখে বললেন, কোন বৃদ্ধা জান্নাতে যাবে না। একথা শুনে খালা কান্না শুরু করলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, তারা তখন সবাই যুবতী হয়ে যাবে’ (শামায়েলে তিরমিযী; ছহীহাহ হা/২৯৮৭)। হিজরতের সময় পথিমধ্যে রাসূল (ছাঃ) সম্পর্কে জনৈক ব্যক্তির প্রশ্নের জওয়াবে আবুবকর (রাঃ) বলেন, ‘ইনি আমাকে পথ দেখিয়ে থাকেন’ (বুখারী হা/৩৯১১)। এতে লোকটি ভাবল, উনি একজন সাধারণ পথপ্রদর্শক ব্যক্তি মাত্র। অথচ আবুবকরের উদ্দেশ্য ছিল তিনি আমাদের নবী অর্থাৎ ধর্মীয় পথপ্রদর্শক। অনুরূপভাবে যুদ্ধকালে রাসূল (ছাঃ) একদিকে বেরিয়ে অন্য দিকে চলে যেতেন। যাতে তাঁর গন্তব্য পথ গোপন থাকে। এগুলি হ’ল উক্তিগত ও কর্মগত তাওরিয়ার উদাহরণ (নবীদের কাহিনী-১, ১/১২৮-১২৯ পৃঃ)।






প্রশ্ন (২০/২০) : জনৈক আলেম বলেন, আল্লাহ নিরাকার নন তা যেমন বলা যাবে না, তেমনি তাঁর আকার আছে একথাও বলা যাবে না। একথার সত্যতা আছে কি? - -মুখতারুল ইসলামবাঘা, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৩৫/৩১৫) : সূরা বাক্বারাহ ১১৫ নং আয়াতের ব্যাখ্যা জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৫/৫) : পিতার নির্দেশে স্বীয় অসম্মতিতে বিবাহ করায় স্ত্রীর প্রতি স্বামী চরম বিতৃষ্ণ। কিন্তু তালাক প্রদানে সম্মত নয়। এমতাবস্থায় স্ত্রী যদি উক্ত স্বামী থেকে পৃথক থাকতে বা ডিভোর্স দিতে চায় তাতে শরী‘আতে কোন বাধা আছে কি?
প্রশ্ন (১০/১৩০) : মসজিদের আন্ডার গ্রাউন্ডে মহিলাদের জন্য কাতারের ব্যবস্থা করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১৫/১৩৫) : মেয়েরা বোরকা পরে সাইকেল ইত্যাদি চালিয়ে স্কুলে যেতে পারবে কি? - - শারমীন সুলতানা, কলারোয়া, সাতক্ষীরা।
প্রশ্ন (৩০/৭০): মৃত স্ত্রীর অনাদায়ী মোহরানার টাকার অংশীদার কারা হবেন, কুরআন সুন্নাহর আলোকে সুষ্ঠু বণ্ঠননীতি জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৩৫/৪৭৫) : মৃত ব্যক্তির নামে মসজিদে ধনী-গরীব সম্মিলিতভাবে সবাইকে খাওয়ানো যাবে কি?
প্রশ্ন (১৯/২১৯) : রাতে ঘুমানোর সময় ওযূ করার বিশেষ কোন ফযীলত আছে কি?
প্রশ্ন (৩৬/৭৬) : মালাকুল মউত তিন ব্যক্তির জান কবযের সময় ক্রন্দন করেছিলেন। তারা কারা? কথাটির সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (১/২০১) :শুক্রবারে সূরা কাহফ পাঠের ফযীলত কি? অন্যদিনে সূরাটি পাঠ করলে একই ফযীলত পাওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (৩৫/৪৭৫) : যারা কুরআনী নির্দেশ অনুযায়ী কুরআন ও হাদীছ না মেনে কোন ব্যক্তির ফৎওয়া অন্ধ অনুসরণ করে এবং তদনুযায়ী মানুষকে শিক্ষা দেয় তারা কি কুরআনী নির্দেশ অমান্যের কারণে জাহান্নামী হবে? - -আব্দুর রহীম, রাজশাহী।
প্রশ্ন (১৩/২১৩) : রাসূল (ছাঃ) কি কখনো আযান দিয়েছেন? না দিলে তার কারণ কি? - -এস.কে. আযহার, কলিকাতা, ভারত।
আরও
আরও
.