উত্তর : এজন্য সবচেয়ে বড় উপায় হ’ল পরনারী থেকে দৃষ্টিকে অবনত রাখা। যে বিষয়ে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন (নূর ২৪/৩০)। রাসূল (ছাঃ) বেগানা নারীর দিকে তাকাতে নিষেধ করেছেন এবং বলেছেন, একবার দৃষ্টি পড়ার পর পুনরায় নয়। কেননা প্রথমবারের জন্য তোমার অনুমতি রয়েছে, দ্বিতীয়বারের জন্য নয়’ (আহমাদ হা/২৩০৪১; তিরমিযী হা/২৭৭৭; মিশকাত হা/৩১১০;মুসলিম হা/২১৫৯; মিশকাত হা/৩১০৪)

চোখের পাপ থেকে বঁাচতে গেলে নিম্নের পন্থাগুলিও অবলম্বন করতে হবে। (১) সর্বাবস্থায় আল্লাহকে হাযির-নাযির জানা। কেননা আল্লাহ বলেন, তিনি জানেন তোমাদের চোখের চোরাচাহনি ও অন্তরের লুকানো বিষয়সমূহ (মুমিন ৪০/১৯)

(২) পাপ থেকে বঁাচার জন্য আল্লাহর নিকট দো‘আ করা (মুমিন ৪০/৬০)। (৩) চোখ আল্লাহর পক্ষ থেকে অমূল্য একটি নে‘মত। এই অমূল্য নে‘মতকে উত্তম কাজে ব্যবহার করা। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ বলেছেন, যখন আমি আমার কোন বান্দাকে তার প্রিয় দু’টি বস্ত্ত দিয়ে বিপদগ্রস্ত করি, আর সে এর উপর ধৈর্যধারণ করে, আমি তাকে এ দু’টি প্রিয় বস্ত্তর বিনিময়ে জান্নাত দান করব। প্রিয় দু’টি বস্ত্ত বলতে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বান্দার দু’টি চোখকে বুঝিয়েছেন’ (বুখারী হা/৫৬৫৩; মিশকাত হা/১৫৪৯)। (৪) চক্ষু অবনমিত রাখতে নিজেকে সচেষ্ট রাখা, অভ্যস্ত করা এবং ধৈর্যধারণ করা। আল্লাহ বলেন, ‘আর যারা আমাদের রাস্তায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায়, আমরা অবশ্যই তাদেরকে আমাদের রাস্তা সমূহের দিকে পরিচালিত করব। আর নিশ্চয়ই আল্লাহ সৎকর্মশীলদের সাথে থাকেন’ (আনকাবূত ২৯/৬৯)। (৫) এমন স্থানে গমন করা থেকে বা এমন বস্ত্ত ব্যবহার হ’তে বিরত থাকা, যা চক্ষুকে পাপের দিকে ধাবিত করে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা রাস্তায় বসা থেকে বিরত থাক। লোকেরা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! ওখানে আমাদের বসা ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই। আমরা (ওখানে) বসে বাক্যালাপ করি। রাসূল (ছাঃ) বললেন, যদি তোমাদের রাস্তায় বসতেই হয়, তাহ’লে রাস্তার হক আদায় কর। আর তা হ’ল দৃষ্টিকে অবনত রাখা, (অপরকে) কষ্ট দেওয়া হ’তে বিরত থাকা’.. (বুখারী হা/২৪৫৬; মিশকাত হা/৪৬৪০)। (৬) এছাড়াও অধিকহারে নফল ইবাদত করবে, দুই স্কন্ধে ফেরেশতার উপস্থিতি স্মরণ করবে, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাক্ষ্যদানের বিষয়টি মনে রাখবে এবং বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক থাকবে। সর্বোপরি বিবাহ করবে এবং চোখের পাপ থেকে সাধ্যমত বেঁচে থাকবে (বুখারী হা/১৯০৫; মিশকাত হা/৩০৮০)

প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ, মতিঝিল, ঢাকা।








বিষয়সমূহ: পাপ
প্রশ্ন (২৭/২৬৭) : ছালাতরত অবস্থায় ঋতুবতী হয়ে গেলে পরবর্তীতে সেই ছালাতের ক্বাযা আদায় করতে হবে কি?
প্রশ্ন (৩৭/২৭৭) : স্বামী-স্ত্রী পরস্পরে মৃত স্ত্রী বা স্বামীকে গোসল দিতে পারবে কি?
প্রশ্ন (১১/৫১) : সদ্যজাত শিশুর নাভী মসজিদের পাশে মাটি চাপা দিলে এবং তার নখ, বুকের ও মাথার একটি পশম আগুনে পোড়ালে বাচ্চাকে কেউ পাগল বানাতে পারবে না। একথার কোন সত্যতা আছে কি? এছাড়া চুল ও নখের কর্তিত অংশ মাটি চাপা দেওয়ার কোন বিধান আছে কি?
প্রশ্ন (১০/১৭০) : কাদিয়ানীদের পরিচয় ও তাদের আক্বীদাসমূহ জানতে চাই। - -যাকির হোসাইন, ফুলতলা, পঞ্চগড়।
প্রশ্ন (১০/৫০) : রামাযান মাসে আমি গর্ভবতী থাকায় ছিয়াম পালন থেকে বিরত ছিলাম। এই সুবাদে আমার স্বামী আমার অনিচ্ছা সত্ত্বেও দিনের বেলা মিলন করে। আমরা এখন অনুতপ্ত আমাদের করণীয় কী?
প্রশ্ন (১৩/২৯৩) : জনৈক আলেম বলেন, কসম ভঙ্গের কাফফারা হচ্ছে একটানা ৩টি ছিয়াম পালন করা। মাঝে একটি ছুটে গেলে তিনটির সাথে আরো একটি যোগ করতে হবে। এ বক্তব্য কি সঠিক?
প্রশ্ন (১৯/৫৯) : আমার আববা সূদী ব্যাংকে চাকরি করতেন। হারাম জানার পর ছেড়ে দিয়েছেন। সম্প্রতি পেনশনের জন্য আবেদন করার সুযোগ এসেছে। স্মর্তব্য যে, পেনশনের সাথে চাকরীর কোন সম্পর্ক নেই। বরং এটা সরকারের পেনশন প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। তবে ঐ হারাম চাকুরী উপলক্ষ্যেই তিনি পেনশন পাবেন। এক্ষণে এটা গ্রহণ করা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (৩৯/৩৯) : জনৈক ব্যক্তি বলেন, শাহাদাতের আকাঙ্ক্ষা না থাকলে ইবাদত কবূল হবে না। এটা কি ঠিক?
প্রশ্ন (২৯/২২৯) : আমাদের দেশে বিবাহ পড়ানোর সময় একই গ্লাসে একই শরবত বর ও কনেকে খাওয়ানো হয়। এগুলি জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (১৯/১৯) : কুরবানীর গোশত বণ্টনের সঠিক পদ্ধতি জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (১/৮১) : বাথরুমে প্রবেশের সময় বাম পা দিয়ে প্রবেশ করবে এবং বের হওয়ার সময় ডান পা সামনে দিয়ে বের হবে- উক্ত বক্তব্যের সত্যতা দলীলসহ জানতে চাই।
প্রশ্ন (১২/২১২) : কুরআন খতমের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা অবলম্বন করা আবশ্যক কি?
আরও
আরও
.