উত্তর : কোন পুরুষ কোন গায়ের মাহরাম নারীকে নির্জনে পড়াতে পারবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘কোন বেগানা পুরুষ কোন বেগানা নারীর সাথে নির্জনে অবস্থান করলে সেখানে তৃতীয় জন থাকে শয়তান’ (তিরমিযী হা/১১৭১, মিশকাত হা/৩১১৮)। তবে যদি একত্রিতভাবে শরঈ পর্দা বজায় রেখে পড়ানো হয় এবং তাতে কোন ফেৎনার আশংকা না থাকে, তাহ’লে বাধা নেই রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মহিলাদের দাবীক্রমে তাদের জন্য পৃথক একটি দিন নির্ধারণ করেন, সেখানে তারা জমায়েত হ’ত এবং তিনি তাদেরকে হাদীছ শিক্ষা দিতেন... (বুখারী হা/৭৩১০; মুসলিম হা/২৬৩৩; মিশকাত হা/১৭৫৩ ‘জানায়েয’ অধ্যায়)। অপরদিকে নিরাপদ পরিবেশ থাকলে পূর্ণ পর্দা সহকারে এবং শরী‘আতের বিধি-বিধানসমূহ মেনে নারী পুরুষদেরকে শিক্ষাদান করতে পারে। তবে ফেৎনার আশংকা থাকলে তা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। মা আয়েশা ছিদ্দীকা (রাঃ) পর্দার আড়াল থেকে ছাহাবীগণকে জ্ঞানদান করতেন এবং প্রয়োজনীয় প্রশ্নের জবাব দিতেন। আবু মূসা আশ‘আরী (রাঃ) বলেন, আমরা কোন বিষয়ে আটকে গেলে আয়েশা (রাঃ)-এর নিকটে গিয়ে তার সমাধান নিতাম (তিরমিযী হা/৩৮৮৩)।
প্রশ্নকারী : নিয়ামুল হাসান, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।