উত্তর : মৃত ব্যক্তিদের রূহের সাথে জীবিত ব্যক্তিদের কথোপকথনের কোন বর্ণনা কুরআন বা হাদীছে নেই। তবে স্বপ্নে মৃতদের রূহের সাথে সাক্ষাৎ হওয়ার বিষয়টি হাদীছ ও সালাফদের বক্তব্যে পাওয়া যায়। যেমন একটি হাদীছে এসেছে, দাউস গোত্রের তুফাইল বিন আমর (রাঃ) হিজরত করলে তাঁর গোত্রের এক ব্যক্তি তাঁর সাথে হিজরত করে। মদীনার আবহাওয়া অনুকূল না হওয়ার ফলে সে ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ে। সে অধৈর্য হয়ে তীরের ফলা দিয়ে নিজের হাতের আঙ্গুলের জোড় কেটে ফেলে। এর ফলে তার দু’টি হাত হ’তে তীব্রভাবে রক্তক্ষরণ হ’তে থাকে। পরিশেষে সে মারা যায়। তুফাইল বিন আমর তাকে স্বপ্নে দেখেন, তার আকার-আকৃতি সুন্দর। কিন্তু দেখলেন যে, সে তার হাত দু’টিকে ঢেকে আছে। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার প্রতিপালক তোমার সাথে কী আচরণ করেছেন? সে বলল, নবী (ছাঃ) এর দিকে হিজরত করার কারণে আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। তিনি বললেন, তোমার হাত দু’টি ঢাকা কেন? সে বলল, আমাকে বলা হয়েছে, তুমি নিজে যা নষ্ট করেছ, তা কখনই ঠিক করব না। তুফাইল আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট এ ঘটনা খুলে বললে রাসূল (ছাঃ) বললেন, হে আল্লাহ! তার হাত দু’টিকে ক্ষমা করে দাও’ (মুসলিম হা/১১৬; মিশকাত হা/৩৪৫৬; আহমাদ হা/১৫০২৪; আল-আদাবুল মুফরাদ হা/৬১৪)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসূল (ছাঃ) তার হাতকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য তিনবার দো‘আ করেন (ছহীহ ইবনু হিববান হা/৩০১৭)

অন্য একটি আছারে এসেছে, উমাইয়াহ বিন খালেদ (রহঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, খালেদ আল-কাসরী ইরাকের গভর্ণর হয়ে ছা‘-কে দ্বিগুণ করলেন। তাতে এক ছা‘ ষোল রতলের সমান হয়। আবুদাঊদ বলেন, মুহাম্মাদ ইবনু মুহাম্মাদ খাল্লাদকে নিগ্রোরা বন্দী করে হত্যা করে। তিনি তার হাতের ইশারায় বলেন, এভাবে। আবুদাঊদ তার হাত প্রসারিত করেন এবং দু’হাতের তালু মাটির দিকে উপুড় করে বলেন, আমি তাকে স্বপ্নে দেখে জিজ্ঞেস করলাম, আল্লাহ আপনার সাথে কেমন ব্যবহার করেছেন? তিনি বলেন, আল্লাহ আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়েছেন। আমি বললাম, তাহ’লে আপনার বন্দী অবস্থা আপনার অনিষ্ট করতে পারেনি (আবুদাউদ হা/৩২৮১, সনদ ছহীহ মাক্বতূ‘)

অত্র হাদীছসমূহ থেকে বুঝা যায় যে, স্বপ্নে মানুষের রূহের সাথে মৃতদের রূহের সাক্ষাৎ হ’তে পারে (ইবনু তায়মিয়াহ, মিনহাজুস সুন্নাহ ৬/২০১; যাহাবী, তাযকিরাতুল হুফফায ২/১৫; ইবনুল ক্বাইয়িম, আর-রূহ্ ২১-৩০ পৃ.)। কুরআনের সূরা যুমারের ৪২ আয়াতটিকেও অনেকে এ বিষয়ে দলীল হিসাবে পেশ করেন।

তবে নবীদের স্বপ্ন ব্যতীত অন্য কারু স্বপ্ন শরী‘আতের কোন দলীল নয়। কেননা এতে সুনিশ্চিত জ্ঞান অর্জিত হয় না। এসব গায়েবের খবর, যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। তবে এগুলি নেককার মুমিনকে সৎকর্মে অধিক উদ্বুদ্ধ করে। ইবনুল ক্বাইয়িমের কিতাবুর রূহ গ্রন্থে বর্ণিত ঘটনাগুলির মধ্যে কিছু রয়েছে অপ্রমাণিত হাদীছ ভিত্তিক এবং অনেকগুলি রয়েছে স্বপ্ন ও ঘটনা ভিত্তিক। যা ভুলও হ’তে পারে, আবার সঠিকও হ’তে পারে। অতএব সেসব বর্ণনাকে সত্যায়ন করা ও তার উপরে বিশ্বাস স্থাপন করা যরূরী নয় (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১/৬৪৬; শায়খ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩/৩১১-৩১২; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৫/৪৫৪-৪৫৫)






প্রশ্ন (৪০/১২০) : মুহুরীর পেশা গ্রহণ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৭/৪৭) : কোন্ দলীলের ভিত্তিতে তাওহীদকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়?
প্রশ্ন (৫/৩২৫) : মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে কুরআন খতম করে দো‘আর অনুষ্ঠান করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১৫/৩৭৫) : ইন্নী ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাযী... দো‘আটি ছালাতের কোন স্থানে পড়া যাবে?
প্রশ্ন (৪০/৩২০) : ইমাম জুম‘আর ছালাতের প্রথম রাক‘আতে সূরা ফাতিহার পর সূরা মুনাফিকুন-এর ৯ম আয়াত পাঠ করেছেন। কিন্তু ১০ম আয়াতের অর্ধেক পাঠের পর বাকীটা মনে না আসায় রুকূতে চলে যান। ২য় রাক‘আতে সূরা ফাতিহা ও সূরা কাওছার পাঠ করেছেন। এতে ‘ছালাত হয়নি’ বলে আরেকজন হাফেয জোর করে ইমাম ছাহেবকে ছালাত পুনরায় পড়াতে বাধ্য করেন। এবিষয়ে সঠিক সমাধান জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৮/৪০৮) : আল্লাহ তা‘আলা রামাযান মাসে কোন ধরনের জাহান্নামীকে মুক্তি দেন? এটা কি তাকদীর অনুসারে হয়ে থাকে? এ মাসে সকল মুমিনের কবর আযাব ক্ষমা করে দেওয়া হয় কি? কবর আযাব ক্ষমা করা হলে তাকি কেবল রামাযানের ৩০ দিনের জন্য, না ক্বিয়ামত পর্যন্ত?
প্রশ্ন (৪০/২০০) : আমাদের মসজিদের মিম্বারটি চার স্তর বিশিষ্ট। শুনেছি রাসূলের মিম্বার ছিল তিন স্তর বিশিষ্ট। এক্ষণে করণীয় কি? - -মুহাম্মাদ মোশাররফ হোসাইন, বেরাইদ, ঢাকা।
প্রশ্ন (১১/৯১) : নফল ছালাত আদায় করে এবং কুরআন তেলাওয়াত করে মৃত ব্যক্তির নামে বখশে দেয়া কি দলীল সম্মত?
প্রশ্ন (১২/২৫২) : ছূফীবাদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন। এদের আক্বীদা পোষণকারী ইমামদের পিছনে ছালাত আদায় করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১৫/১৩৫) : স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ একই হ’লে সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে কোন প্রভাব পড়ে কি? এরূপ হ’লে নাকি সন্তান জন্মের সম্ভাবনা কম থাকে কিংবা সন্তান বিকলাঙ্গ হ’তে পারে? জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (২০/২২০) : জনৈক ব্যক্তি তার এক নিকটাত্মীয়কে আশি হাযার টাকা ঋণ দেয় এই শর্তে যে, সে বছরে ২০ বস্তা করে ধান দিবে। যার ন্যূনতম বাজার মূল্য ৭/৮ হাযার টাকা। এভাবে টাকা ধার দিয়ে লাভ নেয়া কি শরী‘আত সম্মত?
প্রশ্ন (১৯/১৯) : পিতা-মাতার মাথায় হাত রেখে কসম খাওয়া যাবে কি?
আরও
আরও
.