উত্তর :
বন্ধ্যাত্ব দূর করার জন্য প্রশ্নে উল্লিখিত পদ্ধতি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং
কুসংস্কার মাত্র। তাফসীর ইবনে কাছীরে উক্ত বর্ণনার কোন অস্তিত্ব নেই। বরং
আরোগ্য লাভের জন্য শরীরে কোন কিছু ঝুলালে তা শিরক হবে। চাই তা তাবীয হোক বা
অন্য কিছু হোক। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি শরীরে কোন কিছু ঝুলাল, তাকে
তার কাছেই সোপর্দ করা হ’ল’ (আহমাদ হা/১৮৮০৩; তিরমিযী হা/২০৭২; মিশকাত হা/৪৫৫৬, সনদ হাসান)।
তাই শিরকী পদ্ধতি ছেড়ে উন্নত চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে এবং আল্লাহর কাছে
বেশী বেশী ইস্তিগফার ও সন্তান লাভের জন্য দো‘আ করতে হবে। যেমন করেছিলেন
ইবরাহীম (ছাফফাত ৩৭/১০০) এবং যাকারিয়া (আম্বিয়া ২১/৮৯-৯০) আলাইহিমুস সালাম।
কোন কোন ছহীহ নামায শিক্ষায় ‘বন্ধ্যা নারীর সন্তান লাভ’ শিরোনামে সূরা ইনশিক্বাক্ব-এর প্রথম পাঁচ আয়াত লিখে বন্ধ্যা নারীর গুপ্তাঙ্গে বেঁধে দিলে অবশ্যই সন্তান হবে বলা হয়েছে। এগুলি কবীরা গোনাহ। এথেকে তওবা করতে হবে। মনে রাখতে হবে যে, সন্তান দেওয়া না দেওয়ার মালিক আল্লাহ। এতে কারু কোন হাত নেই। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ জানেন প্রত্যেক নারী যা গর্ভে ধারণ করে এবং তার গর্ভাশয়ে যা সংকুচিত হয় ও বর্ধিত হয়। বস্ত্ততঃ তাঁর নিকটে প্রত্যেক বস্ত্তরই একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ রয়েছে’ (রা‘দ ১৩/৮)।