উত্তর : উক্ত আয়াতের অর্থ : ‘তোমরা আল্লাহ ব্যতীত কারু ইবাদত করো না। নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য তাঁর পক্ষ হ’তে সতর্ককারী ও সুসংবাদদাতা’ (হূদ ১১/০২)। উক্ত আয়াতে ‘ইল্লাল্লাহ’ বলে যিকির করতে বলা হয়নি। বরং আল্লাহ ব্যতীত অন্যের ইবাদত করতে নিষেধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এটি কালেমায়ে ত্বইয়েবার দ্বিতীয় অংশ, যার অর্থ ‘আল্লাহ ব্যতীত’। এটি অসম্পূর্ণ ও অর্থহীন একটি বাক্যাংশ। মূলতঃ ‘আল্লাহু’ ‘আল্লাহু’ বা ‘ইল্লাল্লাহ’ শব্দে কোন যিক্র নেই। উক্ত মর্মে যে হাদীছটি রয়েছে তার অর্থ হ’ল ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’ (আহমাদ হা/১৩৮৬০; হাকেম হা/৮৫১২; মিশকাত হা/৫৫১৬; ছহীহাহ হা/৩০১৬)। আলবানী বলেন, ‘শুধু আল্লাহ শব্দে যিকর করা বিদ‘আত। সুন্নাহতে যার কোন ভিত্তি নেই’ (মিশকাত হা/ ১৫২৭-এর ১ নং টীকা)। সর্বোত্তম যিক্র হচ্ছে ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’ (ইবনু মাজাহ হা/৩৮০০; মিশকাত হা/২৩০৬)।
আর আল্লাহর যিকর করতে হবে নীরবে (আ‘রাফ ৭/২০৫; আ‘রাফ ৭/৫৫)। অনেকে বলেন, ‘লা-ইলাহা’ আমার অন্তরে আছে আর ‘ইল্লাল্লাহ’ মুখে প্রকাশ করি। এটি ঠিক নয়। বরং অন্তরে ও মুখে একই যিকর হবে।