উত্তর : (১) শাওয়াল মাসের ছয়টি ছিয়াম নফল পালন করা। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রামাযানের ছিয়াম পালন করতঃ শাওয়াল মাসের ৬টি ছিয়াম পালন করল, সে যেন সারা বছর ছিয়াম পালন করল’ (মুসলিম, মিশকাত হা/২০৪৭)। (২) প্রতি সপ্তাহে সোমবার ও বৃহস্পতিবার ছিয়াম পালন করা। নবী করীম (ছাঃ) নিয়মিতভাবে সোমবার ও বৃহস্পতিবার ছিয়াম পালন করতেন (মুসলিম, মিশকাত হা/২০৪৫)। অন্য হাদীছে এসেছে, রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘সোমবার ও বৃহস্পতিবার আমল সমূহ পেশ করা হয়। তাই আমি পসন্দ করি ছিয়াম অবস্থায় আমার আমল পেশ করা হোক’ (তিরমিযী হা/৭৪৭, সনদ ছহীহ; মিশকাত হা/২০৫৬)। (৩) প্রতি চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে ছিয়াম পালন করা। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘প্রতি চান্দ্র মাসে তিনটি করে ছিয়াম, সারা বছর ধরে ছিয়াম পালনের শামিল’ (বুখারী ও মুসলিম, আলবানী-ছহীহ তারগীব হা/১০১৫)। (৪) আরাফার দিনে ছিয়াম পালন করা। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আরাফার দিনের ছিয়াম পালন করবে আল্লাহ তা‘আলা তার এক বছর আগের এবং এক বছর পরের গোনাহ মাফ করে দিবেন’ (মুসলিম, মিশকাত হা/২০৪৪)। (৫) আশুরায়ে মুহাররমের ছিয়াম পালন করা। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘আল্লাহ আশূরার ছিয়াম পালনকারীর পূর্বের এক বছরের পাপ মোচন করে দিবেন (ছহীহ আবূদাঊদ হা/২৪২৫)। এ ছাড়া যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে একটি ছিয়াম রাখবে, তাকে জাহান্নাম থেকে আল্লাহ সত্তর বছরের পথ দূরে রাখবেন’ (বুখারী হা/২৮৪০, মুসলিম হা/১১৫৩, মিশকাত হা/২০৫৩)।