উত্তর : পদ্ধতিগত সামান্য পার্থক্য থাকলেও প্রত্যেকেই উম্মতের শ্রেষ্ঠ মানুষদের মাধ্যমেই নির্বাচিত হয়েছিলেন। যার সার-সংক্ষেপ নিম্নে বর্ণিত হ’ল।-

১ম খলীফা হযরত আবুবকর (রাঃ) : রাসূলে করীম (ছাঃ) স্বীয় অনুপস্থিতিতে আবুবকর (রাঃ)-কে দায়িত্ব প্রদানের মাধ্যমে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়ে গিয়েছিলেন (বুখারী হা/৭১৩, মুসলিম হা/৪১৮; মিশকাত হা/১১৪০)। পরবর্তীতে সাকীফা বনু সা‘এদায় মিলিত হয়ে আলোচনার একপর্যায়ে হযরত আবুবকর (রাঃ)-এর হাতে ওমর (রাঃ)-এর বায়‘আত গ্রহণের মাধ্যমে তা কার্যকর হয়। অতঃপর সকলে তাঁকে খলীফা হিসাবে মেনে নেন (বুখারী হা/৬৮৩০; আল-আহকাম, পৃঃ ৭; ইবনু জারীর তাবারী, তারীখুর রুসুল ওয়াল মুলূক ৩/২৪১-২৪৩)

২য় খলীফা ওমর (রাঃ) : বিদায়ী খলীফা আবুবকর (রাঃ) মৃত্যুকালীন সময়ে বিশিষ্ট ছাহাবীগণের সাথে পরামর্শক্রমে পরবর্তী খলীফা হিসাবে তাঁকে নির্বাচন করেন। অতঃপর বিষয়টি উপস্থিত ছাহাবায়ে কেরামের নিকটে তিনি পেশ করলে সকলে তাতে সম্মতি জ্ঞাপন করেন (তারীখে ত্বাবারী ২/৩৫২, ৩৫৩; ইবনু সা‘দ, তাবাক্বাতুল কুবরা ৩/১৯৯-২০০)

৩য় খলীফা ওছমান (রাঃ) : ওমর (রাঃ) শাহাদাত বরণকালে ছয়জনকে নিয়ে একটি ‘শূরা’ গঠন করে দেন, যাদের প্রত্যেকেই দুনিয়াতে জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ছিলেন। তারা নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করে ওছমান (রাঃ)-কে পরবর্তী খলীফা হিসাবে নির্বাচন করেন (বুখারী হা/৩৭০০; আল-বিদায়াহ ৭/১৫২)

৪র্থ খলীফা আলী (রাঃ) : ওছমান (রাঃ)-এর শাহাদাত বরণের পর হযরত আলী (রাঃ)-কে খেলাফত গ্রহণের অনুরোধ করা হ’লে তিনি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘এটা তোমাদের এখতিয়ার নয়। বরং এটি বদরী ছাহাবা ও শূরা সদস্যদের দায়িত্ব। তাঁরা একত্রে বসে যাকে মনোনীত করবেন, তিনিই খলীফা হবেন’ (আশ-শূরা পৃঃ ১০৩)। পরবর্তীতে মুহাজির ও আনছার ছাহাবীগণের অনুরোধ মসজিদে নববীতে তিনি বায়‘আত গ্রহণ করেন। রাসূল (ছাঃ)-এর চাচা আববাস (রাঃ) সর্বপ্রথম তার বায়‘আত গ্রহণ করলে বাকী সকলে তাঁর প্রতি আনুগত্যের বায়‘আত নেন (আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ৭/২২৫-২৬; তারীখে ত্বাবারী ৪/৪২৭-২৮)

চারজন খলীফা নির্বাচিত হয়েছিলেন উম্মতের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিদের পরামর্শক্রমে। তাঁদের মধ্যে দুনিয়াবী কোন স্বার্থ ছিল না, ছিল না নেতৃত্বের প্রতি সামান্যতম কোন লোভ। তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল জান্নাত। উম্মতের একান্ত প্রয়োজনেই কেবল তাঁরা খেলাফতের এই কঠিন দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। সুতরাং বর্তমান যুগের নেতৃত্ব চেয়ে নেওয়ার এ রাজনীতির সাথে ইসলামী খেলাফতের সামান্যতম কোন সম্পর্ক নেই (বিস্তারিত দ্রঃ ‘ইসলামী খেলাফত ও নেতৃত্ব নির্বাচন’ বই)।  






প্রশ্ন (৩৫/৭৫) : অনেক মসজিদে লেখা দেখা যায়, লাল বাতি জ্বললে কেউ সুন্নাতের নিয়ত করবেন না। এভাবে লেখা কি শরী‘আত সম্মত? - -আব্দুস সাত্তার, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ।
প্রশ্ন (৩৬/৩৫৬) : স্বামী-স্ত্রী উভয়ের সম্মতিতে কাযী অফিসের মাধ্যমে একত্রে ৩ তালাকের মাধ্যমে ছাড়াছাড়ির ৮ মাস পর তারা পুনরায় একত্রিত হতে পারবে কি?
প্রশ্নঃ (৩/৩২৩) : তিন রাক‘আত বিতর ব্যতীত তাহাজ্জুদ ছালাত সর্বনিম্ন কত রাক‘আত আদায় করা যায়?
প্রশ্ন (৩৫/৩৯৫) : এশার ছালাতের তৃতীয় রাক‘আতে থাকা অবস্থায় বমি হওয়ায় ছালাত পরিত্যাগ করি। এক্ষণে বমি হওয়ার কারণে পুনরায় ওযূ করতে হবে কি? এছাড়া কুলি করে এসে কেবল বাকী দুই রাক‘আত ছালাত না পুরো ছালাত আদায় করতে হবে? - -মুমিনুল হক, গোভীপুর, মেহেরপুর।
প্রশ্ন (১৬/২৫৬) : হাসপাতালের কর্মচারী ও আগন্তুকদের জন্য নির্ধারিত ছালাতের জায়গায় জুম‘আর ছালাত আদায় করা যাবে কি? উল্লেখ্য যে, জায়গাটি হাসপাতালের ভাড়া করা জায়গা। স্থানীয় এক আলেম হাসপাতালের রোগীদের সেবায় সমস্যা হবে এই অজুহাতে গত কয়েকমাস যাবৎ জুম‘আর ছালাত আদায় করে যাচ্ছেন। - -মাহবূব আলম, মীরপুর, ঢাকা।
প্রশ্ন (৩৯/১১৯) : রুকূতে তিনবারের কম বা বেশী তাসবীহ পাঠ করা যাবে কি? - -জান্নাতুল ফেরদাউস লিমা, মালিবাগ, ঢাকা।
প্রশ্ন (১০/৫০) : খরগোশের ন্যায় একধরণে প্রাণী ‘বেণীপুশ’ খাওয়া বা ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে উপার্জন করা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (১৮/৫৮) : পিতার মৃত্যুর পর স্ত্রী এবং মেয়েরা পিতার মূল বসতভিটার অংশ পাবে কি?
প্রশ্ন (১৮/৩৩৮) : খতম তারাবীহ পড়িয়ে অর্থ নেওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (১২/৩৩২) : আমি সদ্য বিবাহিত। আমার স্ত্রীর বয়স ১৬ বছর। বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে আমরা কয়েক বছর পর সন্তান নিতে চাই। এটা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (৩৭/৩১৭) : এক বিঘা জমি ৯০ হাযার টাকার বিনিময়ে কট নিয়েছি বছরে ১ হাযার টাকা করে কর্তন হওয়ার শর্তে। এরূপ চুক্তি শরী‘আতসম্মত কি?
প্রশ্ন (৫/১২৫) : আক্বীদা-আমল সহ নানা বিষয়ে আমি সর্বদা ওয়াসওয়াসার মধ্যে থাকি। এজন্য আমার করণীয় কি?
আরও
আরও
.