উত্তর : পুর্ববর্তী নবী-রাসূল ও তাঁদের উম্মতের উপর ছালাত ফরয ছিল। এটি কুরআন ও ছহীহ হাদীছ সমূহ দ্বারা প্রমাণিত। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘আর আমরা ইব্রাহীম ও ইসমাঈলের কাছে নির্দেশ পাঠিয়েছিলাম এই মর্মে যে, তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারীদের জন্য, এখানে অবস্থানকারীদের জন্য এবং রুকূকারী ও সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র রাখো (বাক্বারাহ ২/১২৫)। তিনি মূসা (আঃ)-কে বলেন, ‘আমরা মূসা ও তার ভাইয়ের প্রতি নির্দেশ পাঠালাম যে, তোমরা  তোমাদের সম্প্রদায়ের জন্য মিসরের মাটিতে বাসস্থান নির্মাণ কর এবং তোমাদের ঘরের মধ্যেই ক্বিবলা নির্ধারণ কর ও সেখানে ছালাত আদায় কর। আর তুমি মুমিনদের সুসংবাদ শুনিয়ে দাও’ (ইউনুস ১০/৮৭)। তিনি ঈসা (আঃ)-এর মা মারিয়ামকে বলেন, ‘হে মারিয়াম! তোমার প্রতিপালকের ইবাদতে রত হও এবং রুকূকারীদের সাথে রুকূ ও সিজদা কর’ (আলে ইমরান ৩/৪৩)

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, আমরা নবীগণ আদিষ্ট হয়েছি যেন আমরা দ্রুত ইফতার করি, দেরীতে সাহারী করি এবং ছালাতে বাম হাতের উপর ডান হাত রাখি’ (ত্বাবারাণী কাবীর হা/১১৪৮৫; ছহীহুল জামে‘ হা/২২৮৬)। তিনি বলেন, কোন একজন নবী জিহাদ করেছিলেন। তিনি তাঁর সম্প্রদায়কে বললেন, এমন কোন ব্যক্তি আমার অনুসরণ করবে না, যে কোন মহিলাকে বিবাহ করেছে এবং তার সঙ্গে মিলিত হবার ইচ্ছা রাখে, কিন্তু সে এখনো মিলিত হয়নি। এমন ব্যক্তিও নয় যে ঘর তৈরী করেছে, কিন্তু ছাদ তোলেনি। আর এমন ব্যক্তিও না যে গর্ভবতী ছাগল বা উটনী কিনেছে এবং সে তার প্রসবের অপেক্ষায় আছে। অতঃপর তিনি জিহাদে গেলেন এবং আছরের ছালাতের সময় কিংবা এর কাছাকাছি সময়ে একটি জনপদের নিকটে আসলেন। তখন তিনি সূর্যকে বললেন, তুমিও আদেশ পালনকারী আর আমিও আদেশ পালনকারী। হে আল্লাহ! তুমি সূর্যকে থামিয়ে দাও! তখন তাকে থামিয়ে দেয়া হয়, যতক্ষণ না আল্লাহ তাকে বিজয় দান করেন’ (বুখারী হা/৩১২৪; মুসলিম হা/১৪৪৭)

উক্ত নবী ছিলেন ইউশা‘ বিন নূন (আঃ)। যখন তিনি বায়তুল মুক্বাদ্দাস বিজয়ের উদ্দেশ্যে গমন করেন ও তা জয় করেন’ (হাকেম হা/২৬১৮; আহমাদ হা/৮২৯৮; ছহীহাহ হা/২০২)। যিনি মূসা (আঃ)-এর পরে বনু ইস্রাঈলের নবী ও নেতা ছিলেন। 

উপরোক্ত আয়াত ও হাদীছসমূহ প্রমাণ করে যে পূর্ববর্তীদের উপরও ছালাত ফরয ছিল। তবে সে ছালাত কত ওয়াক্ত ছিল বা তার পদ্ধতি কেমন ছিল, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায় না (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৯/২৩৭)






প্রশ্ন (৫/১৬৫) : পাগড়ীর ন্যায় টুপির উপরও মাসাহ করা যাবে কী? - -ইব্রাহীম হোসাইনতেরখাদিয়া, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৩৯/২৩৯) : আদম (আঃ) পৃথিবীতে কত ধাপে আগমন করেছিলেন? - -আসাদুয্যামান, গাযীপুর, ঢাকা।
প্রশ্ন (৮/৪৮) : প্রচলিত আছে আসমানী কিতাব ১০৪ খানা। কোন নবীর উপর কতখানা কিতাব নাযিল হয়েছিল?
প্রশ্ন (২৫/১৮৫) : মা হাওয়া নাকের কোন্ দিকে নাকফুল ব্যবহার করতেন? আমরা নাকের ডান দিকে নাকফুল ব্যবহার করি। কারণ রাসূল (ছাঃ) সব কাজ ডান দিক থেকে করা ভালবাসতেন। আমাদের একাজ কি শরী‘আত সম্মত হচ্ছে?
প্রশ্ন (৩২/৩৫২) : স্বামী ও স্ত্রী জামা‘আতে ছালাত পড়তে পারবে কি? - -আব্দুল হাকীম, মিরপুর, ঢাকা।
প্রশ্ন (৭/৩২৭) : মূসা বিন সাইয়ার আসওয়ারী (মৃ. ১৫০হি.) কি ছাহাবী ছিলেন? তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই।
প্রশ্ন (২/১২২) : রাক্বীব ও আতীদ কি দু’জন ফেরেশতার নাম? আধুনিক যুগের একজন আরব লেখক এর দ্বারা মস্তিষ্কের ডান ও বাম অংশ বুঝিয়েছেন। তার এ বক্তব্যের কোন শারঈ ভিত্তি রয়েছে? - -আলতাফ হোসাইন, তেরখাদিয়া, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২৫/৩৮৫) : মিথ্যা সার্টিফিকেট ও মিথ্যা অভিজ্ঞতা সনদ দিয়ে চাকুরী নিলে উক্ত উপার্জন হালাল হবে কি? - -ফারূক হোসাইন, টাঙ্গাইল।
প্রশ্ন (২৯/৩৫০) : বিতর ছালাতের কুনূত হিসাবে আমাদের এলাকায় আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্তাঈনুকা ওয়া নাস্তাগফিরুকা... পড়া হয়। কিন্তু জনৈক আলেম বলেন, বিতরের কুনূতে উক্ত দো‘আ পড়ার কোন দলীল নেই। উক্ত দাবী কি সঠিক?
প্রশ্ন (৩৫/৩৫৫) : কতিপয় আলেম বলেন, জান্নাতে মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর সাথে ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়ার বিবাহ হবে। একথার কোন সত্যতা আছে কি? - -সাঈদুর রহমানশিবগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
প্রশ্ন (২৫/২৫) : জনৈক আলেম বলেন, আকীকার গোশত সাত দিনের বেশী রাখা যাবে না। এ ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (১৭/৯৭) : জনৈক পিতা তার পুত্রকে বলেন, আল্লাহর কসম আমি তোকে ত্যাজ্য পুত্র করলাম। এক্ষণে এরূপ কসম করা শরী‘আতসম্মত কি? উক্ত কসমের কাফফারা দিতে হবে কি? - -আবু ইজতিহাদ অহী,* কুমিল্লা।* [নাম শুদ্ধ করুন (স.স.)]
আরও
আরও
.