উত্তর : ফাসেক-ফাজের লোকদের ইমাম, নেতা বা মসজিদের সভাপতি বানানো ঊচিৎ নয়। আল্লাহ বলেন, আল্লাহর মসজিদ সমূহ কেবল তারাই আবাদ করে, যারা আল্লাহ ও বিচার দিবসের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে। যারা ছালাত কায়েম করে ও যাকাত প্রদান করে এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে ভয় করে না। নিশ্চয়ই তারা সুপথপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (তওবাহ ৯/১৮)। জনৈক ইমাম মসজিদে কিবলার দিকে থুথু নিক্ষেপ করলে পরবর্তীতে রাসূল (ছাঃ) তাকে ইমামতি করতে দেননি (আবুদাউদ হা/৪৮১; মিশকাত হা/৭৪৭; ছহীহুত তারগীব হা/২৮৮)। যা প্রমাণ করে যে, ফাসেক লোকদের নেতা বানানো সমীচীন নয় (ইবনু তায়মিয়া, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৩/৩৫৬)। তবে ফাসেক-ফাজের লোক যদি ক্ষমতা বলে নেতা হয়ে যায়, তাহ’লে শরী‘আতসম্মত কাজে তাদের আনুগত্য করা যাবে। যেমনভাবে ইবনু ওমর (রাঃ) হাজ্জাজ বিন ইউসুফের নেতৃত্ব মেনে নিয়েছিলেন এবং তার পিছনে ছালাত আদায় করেছিলেন (নববী, আল-মাজমূ‘ ৪/২৫৩)।