উত্তর : ইমাম আবু হানীফা (৮০-১৫০হিঃ) কোন গ্রন্থ রচনা করে যাননি। যদি ‘ফিক্বহে আকবর’ ও ‘মুসনাদে আবু হানীফা’-কে তাঁর কিতাব হিসাবে গণ্য করা হয়, তাহ’লে বলা হবে যে, প্রথমোক্ত ছোট পুস্তকটি ছিল আক্বায়েদের উপর লিখিত এবং শেষোক্তটি ছিল হাদীছের সংক্ষিপ্ত সংকলন (আহলেহাদীছ আন্দোলন (থিসিস), পৃঃ ১৭১)। পরবর্তীকালে যেসব ফিক্বহ ও উছূলে ফিক্বহ রচিত হয়েছে, সবই পরবর্তীগণের রচিত (দিরাসাতুল লাবীব, পৃঃ ১৫৬)। শাহ অলিউল্লাহ দেহলভী (রহঃ) এগুলোকে ইমাম আবু হানীফার দিকে সম্বন্ধ করার বিরুদ্ধে কঠোর মন্তব্য করেছেন (হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ ১/১৬০)। এক্ষণে যেসব গ্রন্থসমূহকে হানাফী মাযহাবের মূল ফৎওয়া গ্রন্থ হিসাবে গণ্য করা হয়, সেগুলি হ’ল- (১) কুদূরী, আহমাদ বিন মুহাম্মাদ বাগদাদী (মৃঃ ৪২৮ হিঃ)। সংকলনকাল : ৫ম শতাব্দী হিঃ। (২) হেদায়াহ, বুরহানুদ্দীন মারগীনানী (মৃঃ ৫৯৩ হিঃ)। সংকলনকাল : ৬ষ্ঠ শতাব্দী হিঃ। (৩) কানযুদ দাক্বায়েক্ব, হাফেযুদ্দীন নাসাফী (মৃঃ ৭১০ হিঃ)। সংকলনকাল : ৮ম শতাব্দী হিঃ। (৪) শরহ বেকায়াহ, ওবায়দুল্লাহ বিন মাসঊদ (মৃঃ ৭৪৫ হিঃ)। সংকলনকাল : ৮ম শতাব্দী হিঃ। (৫) দুর্রে মুখতার, মুহাম্মাদ আলাউদ্দীন (মৃঃ ১০৭১ হিঃ)। সংকলনকাল : ১১শ শতাব্দী হিঃ। (৬) ফাতাওয়া আলমগীরী, পাঁচশত আলেম। সংকলনকাল ১১১৮ হিঃ। (৭) মা লা বুদ্দা মিনহু, কাযী ছানাউল্লাহ পানিপথী (মৃঃ ১২২৫ হিঃ)। সংকলনকাল : ১৩শ শতাব্দী হিঃ। এগুলো উপমহাদেশে সর্বাধিক প্রচলিত।

এছাড়াও অন্যান্য গ্রন্থ রয়েছে। যেমন : (৮) আলাউদ্দীন কাসানী (মৃত্যু ৫৮৭ হিঃ) কর্তৃক রচিত গ্রন্থ ‘বাদায়ে‘উস সানায়ে‘। (৯) যাফর ইবনু আহমাদ ইবনু লতীফ উছমানী (মৃঃ ১৩৯৪ হিঃ) প্রণীত ‘ই‘লাউস সুনান’। তবে ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-এর মৃত্যুর দীর্ঘদিন পরে রচিত উক্ত কিতাব সমূহের সাথে ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-এর কোন সম্পর্ক নেই।






প্রশ্ন (১/১২১) : ওয়ালীমায় ছেলেকে মেয়ে পক্ষ বা বিবাহের দিন বরযাত্রীদের জন্য খাবার ব্যবস্থাপনায় ছেলে পক্ষ মেয়ে পক্ষকে সহযোগিতা করতে পারবে কি?
প্রশ্ন (২৯/৪২৯) : অমুসলিমদের কুরবানীর গোশত প্রদান করা যাবে কি? - -আব্দুল করীম, নিয়ামতপুর, নওগাঁ।
প্রশ্ন (১৬/৯৬) : নেকী সমৃদ্ধ আমল বা সমাজকল্যাণ মূলক কাজ করতে গেলে অনিচ্ছাকৃতভাবে অন্তরে রিয়া চলে আসে। সেক্ষেত্রে করণীয় কি?
প্রশ্ন (৫/৩৬৫) : আযানের দো‘আ হিসাবে আমাদের দেশে যে অতিরিক্ত অংশ পাঠ করা হয় তা সঠিক কি? - -মুনীরুল আলমরাজশাহী কলেজ, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৪০/৩২০) : তাহাজ্জুদ ছালাত ছুটে যাওয়ার আশংকায় রাতের প্রথম প্রহরে বিতরের পর যে দুই রাক‘আত ছালাত আদায়ের যে বিধান রয়েছে, তা নিয়মিতভাবে কোন কারণ ছাড়াই আমল করা যাবে কি? এতে তাহাজ্জুদের পূর্ণ নেকী অর্জিত হবে কি? - ময়েনুদ্দীন আহমাদ, নওহাটা, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২০/৩০০) : ইবনু আববাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, যেবান হবে। উক্ত হা ব্যক্তি তার ভাইয়ের উপকারের জন্য সচেষ্ট হবে এবং তার উপকার সাধন করবে, সে দশ বছর ধরে ইতিকাফকারীর চেয়েও মর্যাদাদীছটি কি ছহীহ?
প্রশ্ন (১৭/২৫৭) : রোগ আরোগ্য এবং পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উদ্দেশ্যে কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে কি? - -মিনহাজ পারভেয, রাজশাহী
প্রশ্ন (২৫/৪৬৫) : জীবদ্দশায় হজ্জব্রত পালনকারী পিতা মৃত্যুর সময় অল্প কিছু সম্পদ রেখে গেছেন এবং দরিদ্র সন্তানকে উক্ত টাকা দিয়ে হজ্জ করার জন্য অছিয়ত করে গেছেন। যা দ্বারা হজ্জ করলে তার দরিদ্রতা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এক্ষণে সন্তানের জন্য করণীয় কি? - -মাহমূদুল হক, মিরপুর, ঢাকা।
প্রশ্ন (১১/৫১) : মৃত্যুর চল্লিশ দিনের মধ্যে পরিত্যক্ত সম্পত্তি বণ্টন করা যাবে না, মর্মে কোন হাদীছ আছে কি? - -ফযলুল হক, সাভার, ঢাকা।
প্রশ্ন (৩০/২৩০) : উটের গোশত খেলে ওযূ করা আবশ্যক কি? এই বিধানের যৌক্তিকতা জানতে চাই।
প্রশ্ন (৭/৮৭) : ইহরামের কাপড়ের নীচে ছোট প্যান্ট জাতীয় কিছু পরা যাবে কি? - -তাওহীদ যামান, ঢাকা।
প্রশ্ন (১/১২১): ঢাকার একটি পুরাতন মাসিক ইসলামী পত্রিকার অক্টোবর ২০১০ সংখ্যায় প্রশ্নোত্তরে বলা হয়েছে, মৃত ব্যক্তি বা প্রিয় নবী (ছাঃ)-এর নামে নফল নামায পড়া শুধু জায়েযই নয়, বরং অনেক ভাল কাজ। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক?
আরও
আরও
.