উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-এর বাণী- ‘মক্কা বিজয়ের পরে আর হিজরত নেই। কিন্তু জিহাদ ও হিজরতের নিয়ত অবশিষ্ট থাকবে’ (বুখারী হা/১৮৩৪; মুসলিম হা/১৩৫৩; মিশকাত হা/২৭১৫)। এর অর্থ হ’ল, মক্কা থেকে কোন হিজরত নেই। তবে যে সকল দেশ ও অঞ্চলে ঈমান ও দ্বীন রক্ষা করা কঠিন সে সকল স্থান থেকে অন্যত্র হিজরত করা ফরয যেখানে দ্বীন রক্ষা করা সহজ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা নিজদের প্রতি যুলমকারী, ফেরেশতারা তাদের জান কবয করার সময় বলেন, তোমরা কি অবস্থায় ছিলে? তারা বলে, আমরা যমীনে দুর্বল ছিলাম। ফেরেশতারা বলেন, আল্লাহর যমীন কি প্রশস্ত ছিল না যে, তোমরা তাতে হিজরত করতে? সুতরাং ওরাই তারা যাদের আশ্রয়স্থল জাহান্নাম। আর তা মন্দ প্রত্যাবর্তনস্থল’ (নিসা ৪/৯৭)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘হিজরত বন্ধ হবে না যতক্ষণ না তওবা বন্ধ হবে। আর তওবা বন্ধ হবে না যতক্ষণ না সূর্য পশ্চিম দিকে উদিত হয়’ (আবুদাউদ হা/২৪৭৯)। তিনি আরো বলেন, ‘যে পর্যন্ত কাফেরদের সঙ্গে যুদ্ধ থাকবে, সে পর্যন্ত হিজরত বন্ধ হবে না’ (নাসাঈ হা/৪১৭২; ছহীহুল জামে‘ হা/৫২১৮)






প্রশ্ন (১৬/১৩৬) : আমাদের দেশে অধিকাংশ জানাযার পূর্বে লাশ সামনে রেখে ইমাম ছাহেব বা সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা কিছু বক্তব্য পেশ করে থাকেন। এরূপ করা শরী‘আতসম্মত কি? - -আল-আমীন, পোতাহাটী, ঝিনাইদহ।
প্রশ্ন (৩৭/২৭৭) : ঝড়-তুফান বা বৃষ্টির সময় তাকবীর দেওয়ার বিধান কী? - -আব্দুল আলীম, ভূগরইল, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৪০/২০০) : সম্প্রতি ‘যুগে যুগে শয়তানের হামলা’ নামে সশস্ত্র জিহাদে উদ্বুদ্ধ করে বাজারে বই ছাড়া হয়েছে। সেখানে আপনাদের প্রকাশিত কিছু বই যেখানে মুসলিম সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র জিহাদের বিপক্ষে বক্তব্য রয়েছে, তার তীব্র সমালোচনা করে আপনাদেরকে এ যুগের শয়তান, ইহুদীদের এজেন্ট ইত্যাদি বলা হয়েছে। অমনিভাবে ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে জনৈক তরুণ মুফতীর গরম গরম বক্তৃতায় ও লেখনীতে উৎসাহিত হয়ে অনেক আহলেহাদীছ ছেলে ঐ দলে ভিড়ে যাচ্ছে। তারা বলছে আপনারা ছহীহ হাদীছ মানেন ঠিক আছে, কিন্তু ইসলাম বিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে জিহাদ করেন না। অনেকে বলছে, আপনাদের আক্বীদা ভাল, কিন্তু ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের জন্য আপনাদের কোন পদক্ষেপ নেই। এ বিষয়ে আপনাদের জবাব কি?
প্রশ্ন (২৭/৪২৭) : হজ্জকারী ব্যক্তি হজ্জের দো‘আসমূহ সঠিকভাবে পড়তে না পারলে তার হজ্জ কবুল হবে কি?
প্রশ্ন (৫/৩২৫) : পুরুষদের জন্য চুল লম্বা রাখা ও বেনী করাতে কোন বাধা আছে কি? - -হামদান, সাহেব বাজার, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৩৭/১১৭) : অনেক গৃহকর্তা বা কত্রী কাজের মানুষদের সাথে দাস-দাসীর ন্যায় আচরণ করে থাকে এবং তাদের অনেক নীচু পর্যায়ের বলে মনে করে। তাদেরকে নিম্ন মানের পোষাক, খাবার, আবাসস্থল প্রদান করে। এক্ষণে এরূপ আচরণের পরিণাম এবং এদের সাথে আচরণ কেমন হওয়া উচিত সে সম্পর্কে জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (১০/৪৫০) : জনৈক ব্যক্তি ইতিপূর্বে অনেক মানুষের সম্পদ চুরি করেছে। এখন তওবা করলে কি তা গ্রহণযোগ্য হবে, নাকি মালিকদের কাছে সেই সম্পদ ফিরিয়ে দিতে হবে? ফিরিয়ে দেওয়ার মত সামর্থ্য না থাকলে করণীয় কি?
প্রশ্ন (৩৪/৪৩৪) : ১৯৬৫ সালে একটি হিন্দু পরিবার অল্প কিছু অর্থ নিয়ে তাদের জমি আমাকে দিয়ে যায়। পরে তারা ফেরত না নেওয়ায় আমি নিজের নামে লিখে অদ্যাবধি তা ভোগ করছি। এক্ষণে এটা কি আমার সম্পদ হিসাবে গণ্য হবে?
প্রশ্ন (২৭/৩৪৭) : টাকার যাকাত নির্ধারিত হবে কিভাবে? বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৯/২০৯) : হোমিও চিকিৎসায় ঔষধ দেওয়ার পর এর কার্যকারিতার জন্য কিছুদিন অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু ঔষধ শেষ না হ’তেই রোগীরা ঔষধ নেওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করে। এমতাবস্থায় তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য পানিতে বা গ্লোবিউল্সে কয়েক ফোঁটা স্পিরিট মিশিয়ে দেওয়া হয় এবং এতে ঔষধের মূল্যও নেওয়া হয়। এভাবে ঔষধ দেওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (১৬/৯৬) : জনৈক আলেম বলেন, সাত প্রকারের ঘুম আছে। যেমন ১. নাওমুল গাফেলীন, ওয়ায মাহফিলে ঘুমানো। ২. নাওমুল আশক্বিয়া, ছালাতের সময় ঘুমানো। ৩. নাওমুল মালঊনীন, ফজরের ছালাতের সময় ঘুমানো। ৪. নাওমুল মু‘আয্যিবীন, ফজরের আযান থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত ঘুমানো। ৫. নাওমুর রাহাহ অর্থ প্রশান্তির ঘুম। এসময়ের স্বপ্ন সত্য হয়। ৬. নাওমুল মারখূছ, মাগরিব ও এশার ছালাতদ্বয়ের পরে ঘুমানো। এসময় ঘুমানোয় কোন দোষ নেই। ৭. নাওমুল হাসরাহ অর্থ ক্ষতির ঘুম। এটি হ’ল জুম‘আর রাতের ঘুম। এমন ভাগাভাগির কোন শারঈ ভিত্তি আছে কি? - -আনছারুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও।
প্রশ্ন (৫/২৪৫) : কোন ব্যক্তি যদি কোন নারীকে বিবাহ করার পর তাকে গর্ভবতী পায়, সেক্ষেত্রে তার করণীয় কি? - -যুলফিকার, পার্বতীপুর, দিনাজপুর।
আরও
আরও
.