সাড়ে পনের বছরের স্বৈরশাসনের অবসানের পর একটি নতুন স্বপ্নময় রাষ্ট্রের প্রত্যাশায় বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ। সহস্রাধিক ছাত্র-জনতার তরতাযা জীবন এবং শত শত ছাত্রের চোখ হারানো, অন্ধত্ব ও পঙ্গুত্ববরণের বিনিময়ে অর্জিত ৫ই আগষ্টের ঐতিহাসিক বিজয় দেশের আপামর জনগণে
ইস্রাঈলে হামাসের হামলা এবং এর জের ধরে গাযা যুদ্ধ শুরুর এক বছর পূর্ণ হয়েছে গত ৭ই অক্টোবর ২০২৪। বছর শেষে সেই যুদ্ধ আরো ভয়াবহ রূপ লাভ করেছে। নিহত হয়েছেন ইসমাঈল হানিয়া, ইয়াহইয়া সিনওয়ারের মত গাযার শাসকগোষ্ঠী ‘হামাসে’র কয়েকজন শীর্ষ নেতা। ‘হিযবুল্লাহ’ নেতা
১লা সেপ্টেম্বর রোববার। সময় রাত ৯-টা। ভারতের ত্রিপুরায় থাকা ভাইকে দেখতে মা সঞ্জিতা রাণী দাসের সঙ্গে রওয়ানা হয় ১৪ বছরের কিশোরী স্বর্ণা দাস। মৌলভীবাজার যেলার কুলাউড়া উপযেলার লালারচক সীমান্ত দিয়ে স্থানীয় দুই দালালের সহযোগিতায় সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা ক
১৯৭১ সালে ৯ মাস যুদ্ধের পর পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছিল বাঙালী জাতি। ১৬ই ডিসেম্বর অর্জিত হয়েছিল সেই কাংখিত বিজয়। পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে জায়গা করে নিয়েছিল অপার সম্ভাবনাময়ী বাংলাদেশ। সেসময় পুলিশ-জনতা ও অন্যান্য বাহিনী কাঁধে কাঁধ
ভূমিকা :বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে পহেলা বৈশাখের অবস্থান বেশ মযবুত। কিন্তু আমাদের ইতিহাসে নববর্ষ উদযাপন যতটা সাংস্কৃতিক ব্যাপার, ততোধিক রাজনীতি আকারে বিদ্যমান। দেশে জনগণের মধ্যে প্রতিবছরই নববর্ষ উদযাপনকে কেন্দ্র করে প্রবল মেরুকরণ তৈরি হয়। অত্র প্র
একটি সমাজ ও সভ্যতার মূল্যবোধ প্রজন্মের পর প্রজন্মে সঞ্চারিত হয় শিক্ষার মাধ্যমে। শিক্ষাব্যবস্থাই নির্ধারণ করে ভবিষ্যতে দেশে কি ধরনের নাগরিক তৈরি হবে। রাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য কেবল কর্মদক্ষ নাগরিক তৈরি নয়। কেননা রাষ্ট্রের কল্যাণ কেবল বস্ত্তগত উন্নতির মধ্যে
বলা হয় ‘শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড’। তবে তা যদি হয় আদর্শহীন কুশিক্ষা তখন সে শিক্ষাই হবে জাতি ধ্বংসের মূল কারণ। কোন জাতির জাতিসত্তাকে চিরতরে বিলীন করতে চাইলে সর্বাগ্রে সে জাতির শিক্ষাব্যবস্থার উপর দন্ত-নখর বসাতে হয়। আর সে কাজটিই অত্যন্ত সুচতুরভাবে করেছে জা
ভূমিকা : সাম্প্রতিক সময়ে সাইক্লোনের চেয়ে প্রবল বেগে নামে-বেনামে অসংখ্য ফিৎনা ধেয়ে আসছে মুসলিম জাহানের দিক-দিগন্তে। এ রকম একটি জঘন্য ফিৎনা হচ্ছে ট্রান্সজেন্ডারবাদ। সমকালীন বিশ্বে অবিশ্বাস্য দ্রুত গতিতে আসন গাড়ছে সমকামিতা বৈধকরণের পশ্চিমা নয়া সংযোজন অদ
ফিলিস্তীন! এক অবরুদ্ধ জনপদের নাম। এক বক্ষবিদারী শকুনের কুটিল নখরে আটকে থাকা রক্তমুখর মাংসপিন্ডের দলা। নিকষ অাঁধারে ভয়ংকর বজ্রনিনাদের বিচ্ছুরণ। অব্যাহত বেজে চলা মৃত্যুর সাইরেন। হাযারো স্বজনহারার বিমুঢ় বেদনাগাঁথা। মাত্র ৪৫ বর্গ কি.মি. আয়তনের শহর। ২৩ লা
১৯২১ সালে মুসলিম জাতীয়তাবাদী চিন্তা ও আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নানান চড়াই-উতরাই পার করে পূর্ব বাংলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায়ের মূলে ছিল মুসলিম স্বাতন্ত্র্যবাদ ও পিছিয়ে পড়া মুসলিম জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ
আলোচনাটা শুরু হয়েছিল মোশতাক আহমদের মন্ত্রীসভায়। তবে ঘোষণাটি আসে জিয়াউর রহমানের সময়ে। ১৯৭৫ সালের ৭ই ডিসেম্বর ১৯৭৪ সালের শিল্পনীতি সংশোধন করা হয়। সংশোধিত সেই শিল্পনীতিতে অব্যবহৃত ও নিষ্ক্রিয় তহবিল উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করলে কোন প্রশ্ন করা হবে না বলে জ
খাদ্যসহ ব্যবহার্য সব সামগ্রীতে হালাল-হারাম যাচাই করে কর্তব্য ঠিক করা মুসলমান মাত্রেরই দায়িত্ব। অনেক সময় ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও শুধু অজ্ঞতার কারণে আমরা হারাম দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকি অথচ এ বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা লাভ করা এবং এসব থেকে বিরত থাকা আ
ফেইসবুক লাইভে এসে নিজের হতাশার বহিঃপ্রকাশ অতঃপর আত্মহত্যা। ছেলেবেলায় জন্মানোর পর প্রত্যেক শিশুই বড় হবার স্বপ্ন দেখে। বড় হয়ে কত কী না করার পরিকল্পনা তার। শিশুর সরল মনে তার চারপাশের অবস্থা দাগ কেটে যায়। একসময় সে বড় হয়, সব অভিজ্ঞতা আর শিক্ষা কাজে লাগিয়ে
পারমানবিক শক্তিধর রাষ্ট্র চীন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সীমান্ত ও আঞ্চলিক-আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক সংঘাতে বাংলাদেশ অনেকটা নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকলেও ভারত ও মিয়ানমারের আভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও বৈষম্যমূলক নাগরিকত্ব আইনের কারণে সামাজিক বিস্ফোরণের প্র
১৯৫৫ সালের ৩রা ডিসেম্বর বাংলা একাডেমী প্রতিষ্ঠিত হয়। একই বছরের ১৭ই এপ্রিল (মোতাবেক ১৯শে অগ্রহায়ণ ১৩৬২) ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ দিনাজপুরের নওরোজ সাহিত্য সম্মেলনে বাংলা একাডেমী প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার উপর যে বক্তৃতা দেন, যা এযাবৎ অগ্রন্থিত ছিল,
শিক্ষা মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। শিক্ষা মানুষের বিবেককে জাগ্রত ও প্রশস্ত করে দেয়। সমাজ থেকে দূর করে দেয় যাবতীয় কুসংস্কার। একটি সুখী-সমৃদ্ধ এবং সম্ভবনাময় জাতি গঠনে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। এককথায় যেকোন জাতির উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে শিক্ষা। তাই সঠিক
অর্থনৈতিক প্রতারণার বিচার হচ্ছে না। শাস্তি না হওয়ায় একের পর এক ঘটছে প্রতারণা। নিত্য-নতুন আইন হ’লেও এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিত্য-নতুন ফাঁদ পাতছে প্রতারকরা। তাদের অভিনব কৌশলের কাছে হার মানছে সাধারণ মানুষ। সচেতনতার অভাবেও বার বার প্রতারণার ফাঁদে প
প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক অর্থনীতির র্যাঙ্কিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে গেছে ‘এশিয়ার চার বাঘ’ খ্যাত দেশগুলির একটি হ’ল সিঙ্গাপুর। বাকী তিন দেশ হ’ল হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ান। সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক বিজনেস স্কুল আইএমডির র্যাঙ্কিং এমনটা জানাচ্ছে। এ
চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়না (সিপিসি) ১লা জুলাই তার শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে। তারা এক শ’ বছরের বড় বড় অর্জনকে তুলে ধরেছে। এসব অর্জনের একটি হ’ল তিববত মালভূমির দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তের জিনশা নদীর ওপর নির্মিত বাইহেতান পানিবি
করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পরে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সেক্টরগুলোর মধ্যে শিক্ষা ব্যবস্থা সবচেয়ে বেশী হুমকির মুখে। বেশ কিছু প্রশ্ন এখন সবার মনে। দেশের অচল হয়ে যাওয়া শিক্ষা ব্যবস্থা আদৌ পুনরুদ্ধার হবে কি? নাকি এভাব
স্বদেশ ছাড়াও অন্য আরেকটি দেশের মুক্তির জন্য সরাসরি সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের গৌরবের অধিকারী হিসাবে বাংলাদেশীদের একটা আলাদা ও অনন্য অবস্থান রয়েছে। কোন ভাড়াটে সেনা হিসাবে নয়, কিংবা কোন রাষ্ট্রীয় অনুরোধেও নয়। দখলদারী থেকে একটি জাতির মুক্তি
৬ ডিসেম্বর ভারতবর্ষ তথা গোটা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে একটি শোকের দিন। ১৯৯২ সালের এই দিনে উগ্র হিন্দুরা ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা রাজ্যের ফয়যাবাদে অবস্থিত বাবরী মসজিদ গুঁড়িয়ে দেয়। এ অনভিপ্রেত ঘটনার জের ধরে সমগ্র ভারতের ৩৫৬টি শহরে সৃষ্ট হিন্দু-মুসলি
আল্লাহ তা‘আলা অবাধ্য বান্দাদের সোজা পথে ফিরিয়ে আনার জন্য মাঝে-মধ্যে খরা, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, প্রভৃতি আযাব প্রেরণ করে থাকেন। মূলতঃ এগুলো মানুষের পাপের ফল। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যদি জনপদের অধিবাসীরা বিশ্বাসী হ’ত ও আল্লাহভীরু হ’ত, তাহ’লে আ
পশ্চিমারাই আমাদের শিখিয়েছে ফ্রিডম বা স্বাধীনতার ললিত বাণী। বাক-স্বাধীনতা, ব্যক্তিস্বাধীনতা, মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা, চলাফেরার স্বাধীনতা, পোশাক-পরিচ্ছদ পরার স্বাধীনতা ইত্যাদি হরেক রকমের স্বাধীনতা বা ফ্রিডম। কে কোন্ ধরনের পোশাক পরবেন সে ব্যাপা
প্রাণকেন্দ্র ও সর্ববৃহৎ তিলোত্তমা মহানগরী ঢাকার যানজট পরিস্থিতি এমন ভয়াবহতার ঘুর্ণাবর্তে আবর্তিত হচ্ছে যে, একান্ত বাধ্য না হ’লে কোন সুস্থ বিবেকমান মানুষ এখন আর ঢাকায় যেতে চাচ্ছে না। সেদিনের সবুজে ঘেরা গাছ-গাছালী আর পাখ-পাখালির সুমধুর কলকাকলিত
প্রাচীনকাল থেকেই ভূমিকম্প নিয়ে মানব মনে নানা রকম অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার আসন গেড়ে বসে আছে। অজ্ঞ ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন এক শ্রেণীর মানুষের বিশ্বাস, পৃথিবীটা গরু বা মহিষের মত শিংওয়ালা বিশাল আকৃতির কোন প্রাণীর মাথার উপর অবস্থিত। যখন সেই জন্তুটি নড়াচড়া করে,
বাংলাদেশ সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যকার স্বাক্ষরিত চুক্তির বয়স তের পেরিয়ে আজ চৌদ্দ বছরে পদার্পণ করেছে। এই দীর্ঘ সময় পরেও চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে স্বাক্ষরকারী পক্ষদ্বয়ের মধ্যে ব্যাপক মত
২১ নভেম্বর ২০১০ রাশিয়ায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারণায় শুরু হ’ল ‘গ্লোবাল বাঘ সামিট’। বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসাবে খোদ প্রধানমন্ত্রী সেখানে গিয়েছেন, আমাদের অহংবোধের একমাত্র আন্তর্জাতিক প্রাণী ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগার’ বিষয়ে সারগর্ভ কথাবার্তা বলার জন্য। মূলতঃ
হিমালয়কেন্দ্রিক নদীগুলোর ওপর ৫৫২টি বাঁধ নির্মিত হচ্ছে। পানিবিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে এসব বাঁধ নির্মাণ করছে প্রতিবেশী ভারত, নেপাল, ভুটান ও পাকিস্তান। পত্রিকান্তরে এ খবর প্রকাশের পর বিভিন্ন মহলে ব্যাপক উদ্বেগ ও বিচলন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিস্ম
নাগর্নো কারাবাখ ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যবর্তী দক্ষিণ ককেশাসের একটি দেশ। কারাবাখ অঞ্চলটা আজারী ও আর্মেনীয় উভয়েই নিজেদের পূর্বপুরুষদের ভূমি হিসাবে দাবী করে। কারাবাখ নামটির ভেতরেও তার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এই এলাকার দখল নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ
ভূমিকা :কালের আবর্তন কত ভাবেই না নাড়া দেয় বিশ্বকে। এ বছরের (২০১১) গোড়ার দিকে বিশ্ব নড়ে ওঠে এক নতুন কম্পনে। এরূপ কম্পন পৃথিবীর বুকে এটাই প্রথম। ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ জাপানের কাঁপুনি বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিল নাকি? না, এটি ‘সাইবার ওয়্যার’ তথা তথ্যযুদ্ধের
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, ২০২০ সাল বিশ্বের অনেক দাম্ভিক নেতার জন্য দুঃসময়। ডোনাল্ড ট্রাম্প পরাজিত ও অপদস্থ। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দুর্নীতির মামলায় পদ হারানোর ঝুঁকিতে। ভারতের নরেন্দ্র মোদি কিংবা ব্র
১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সেকারণ প্রতিবছর ২রা ডিসেম্বর এলেই পাহাড় ও জাতীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক অঙ্গন, বুদ্ধিজীবী সমাজ ও মিডিয়াতে শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়। শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন, অর্জন, ব্যর্থ
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক যে বিতর্কটি সবার দৃষ্টি কেড়েছে, তা হল মূর্তি বা ভাস্কর্য সংস্কৃতির পক্ষ-বিপক্ষে দু’টি শক্তির মুখোমুখি অবস্থান। যাদের একপক্ষ ইসলামপন্থী, অপরপক্ষ কিছু সংখ্যক তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী। আর এই উপলক্ষ্যে সর্বদলীয় ইসলামপন্থীরা
সম্প্রতি দেশে শেখ মুজিবর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপন নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। সরকার ও আলেম-ওলামা মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছেন। সরকারী দল ও তার লেজুড়বৃত্তি সংগঠনগুলো আলেম-ওলামার বিপক্ষে ন্যক্কারজনক ভাষায় কটূক্তি করে চলেছে। রাম ও বামপন্থী কিছু বুদ্ধিজী
দশ মাস ধরে একটি ধূর্ত ও অদৃশ্য শক্তিশালী শত্রুর বিরুদ্ধে একুশ শতকের যাবতীয় প্রযুক্তি, জ্ঞান নিয়ে যুদ্ধ করে মানবসভ্যতা যখন ক্লান্ত, শ্রান্ত, দিশেহারা ও অর্থনীতির ধারাবাহিক নিম্নমুখীতায় আতঙ্কিত ঠিক তখনি নতুন একটি যুদ্ধের ফ্রন্ট উন্মুক্ত করেছে কয়েকটি বি
বর্তমান বিশ্বের সামাজিক যোগাযোগের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও জনপ্রিয় মাধ্যম Facebook (ফেসবুক)। এ ভার্চুয়াল নেটওয়ার্কে এখন যুক্ত রয়েছে বিশ্বের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ। Facebook এখন বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত ওয়েবসাইট। যে Google ব্যতীত ইন্টারনেট কল্পনা করা য
গত ১৫ই ফেব্রুয়ারী’১৩ রাজধানী ঢাকায় জনৈক নাস্তিক ব্লগার রাজীব হায়দারের নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে নাস্তিকতার যে ভয়াল চিত্র উন্মোচিত হয়েছে, তা সমগ্র দেশবাসীকে স্তম্ভিত করেছে। নাস্তিকতা যে কত নিকৃষ্ট হতে পারে, ধর্মহীনতা যে মানুষকে প
ভূমিকা :৫ ফেব্রুয়ারী হ’তে ৫ মে ২০১৩। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে এই তিন মাসের ঘটনাপ্রবাহ অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক, লোমহর্ষক, বেদনাবিধূর ও অবিশ্বাস্য। যা এদেশের স্বাধীনতার মূল ইসলামী চেতনাকেই ম্লান করে দিয়েছে। নাস্তিক্যবাদী শক্তির প্রত্যক্ষ ও পরোক্
সম্প্রতি বাংলাদেশ জুড়ে ভয়াবহ কয়েকটি ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা সারা দেশ নাড়িয়ে দিয়ে গেছে। মানুষ পাশবিকতার চরমতম পর্যায়ে না পৌঁছালে তার পক্ষে এমন বর্বরতার জন্ম দেয়া অসম্ভব। অথচ এই অচিন্তনীয় ঘটনাই এখন বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকার নিত্য-নৈমিত্তিক
গত ২২শে জুলাই প্রথম আলো অনলাইনে নাগরিক সংবাদে প্রকাশিত একটি লেখার শিরোনাম ছিল: ‘হারিয়েই কি যাবে সাতক্ষীরার গাবুরা ইউনিয়ন?’ স্মরণকালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় আইলা (২০০৯) এবং অতিসম্প্রতি (২০২০ সালের ২১ মে) আমফান-পরবর্তী সময়ে এ রকম আশঙ্কা শুধু গাবুর
সেনাবাহিনী দ্বারা রোহিঙ্গা গণহত্যা এবং ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে বলপূর্বক বিতাড়নের তিন বছর পূর্তি হ’তে যাচ্ছে। তিন বছরে এ নিয়ে দেশ-বিদেশের পত্রপত্রিকায় বিস্তর লেখালেখি হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া এই নির্যাতিত বিপুল জনগোষ্ঠীর নিজ বাসভূমে ফেরত যাও
‘আসমান ও যমীনে যা কিছু আছে সব আল্লাহরই এবং সবকিছুকে আল্লাহ পরিবেষ্টন করে রয়েছেন’ (নিসা ৪/১২৬)।সমুদ্রগর্ভের বিশাল পানিরাশি কিংবা ভূগর্ভের কঠিন পর্বত শিলার অভ্যন্তরে অমাবস্যার নিকষকৃষ্ণ অাঁধার রাতে যখন কোন ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কালো পিপীলিকাও বিচরণ ক
মোদী একজন শক্তিমান বক্তা। গত কয়েক মাসে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছেন, এমনকি তিনি পূজনীয় ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন। হিন্দু জাতীয়তাবাদে যারা বিশ্বাস করেন না, তারাও মোদীর প্রশংসা করতে বাধ্য হচ্ছেন। কারণ হচ্ছে, তাঁর কর্মসূচীতে ভারতের ৩০০ মিলিয়ন মধ্যবিত
কোথায় গেলে মিলবে ডাক্তার? কোথায় পাওয়া যাবে চিকিৎসা? দেশের মানুষের কাছে বর্তমানে এটি একটি জ্বলন্ত জিজ্ঞাসা। রোগ যাই হোক, রোগী যে বয়সেরই হোক, দুর্দশা চরমে। কোভিড-১৯ রোগী নন, অথচ তারাও সুচিকিৎসা না পেয়ে মারা যাচ্ছেন বলে তাদের স্বজনরা গণমাধ্যমের
দেখতে দেখতে করোনাকালের ছয় মাস চলে গেল। মৃত্যুর মিছিলে ইতিমধ্যে যোগদান করেছে পাঁচ লক্ষাধিক বনু আদম। আক্রান্ত হয়েছে এক কোটিরও বেশী। আক্রান্তের হার এক দেশে কমছে তো অন্য দেশে বাড়ছে। প্রথমে কিছুটা কম প্রাদুর্ভাব থাকা দক্ষিণ এশিয়ায় হঠাৎ করেই পরিস্থ
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ভিত্তিক একটি প্রসিদ্ধ সামাজিক গবেষণা সংস্থা ‘পিউ রিসার্চ সেন্টার’। গত বছর এপ্রিলে ২২৬ পৃষ্ঠার একটি দীর্ঘ সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করে।[1] দু’দফায় ২০০৮-০৯ এবং ২০১১-১২ মোট চার বছর ধরে ৩৯টি মুসলিম অধ্যুষিত দেশে আশিরও অধিক
দেশে প্রাচীন কাবুলিওয়ালাদের নয়া সংস্করণ ‘এনজিও’র ক্ষুদ্রঋণ ব্যবসার বেড়াজালে আটকে গেছে গ্রামগঞ্জের নারী-পুরুষ। ‘গরিবী হটাও’ আর ‘স্বাবলম্বী’র নামে বিদেশী টাকায় শত শত এনজিও মাকড়সার জালের মতো সারাদেশে ক্ষুদ্রঋণের জাল ছড়িয়ে দিয়েছে। এ ঋণের জালে আটক
গত ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে পাকিস্তানের পেশোয়ারে সেনাবাহিনী পরিচালিত একটি স্কুলে ঘটে গেল নারকীয় হত্যাকান্ড। যা সন্ত্রাসপ্রবণ পাকিস্তানের ইতিহাসে এক নযীরবিহীন ঘটনা। জঙ্গী হামলা এ দেশে এমন এক স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, স
ফ্রান্সের বিদ্রুপ ম্যাগাজিন ‘শার্লি এবদো’র কার্যালয়ে শরীফ কৌচি এবং সাঈদ কৌচি ভ্রাতৃদ্বয়ের সশস্ত্র হামলা এবং তাতে পত্রিকাটির সম্পাদকসহ ১২ জন ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনায় সারাবিশ্ব এখন উত্তাল। পাশ্চাত্যবিশ্বের জনগণ ও মিডিয়া ঘটনাটিকে দেখছে তথাকথিত ‘
গত ৩৫ দিন ধরে সারাদেশে যে রক্তপাত ঘটছে তাতে আমি বিস্মিত, স্তম্ভিত। এই রক্তপাত এবং প্রাণহানি থেকে বেরিয়ে আসার উপায় কি, সেটি নিয়েও আমি বিভ্রান্ত। কারণ বেরিয়ে আসার যে সহজ-সরল উপায় সেটিও সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে রাজনীতি সোজা পথ থেকে সরে এসে বাঁ
মহামারী নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে বড় মন্ত্র হিসাবে উচ্চারিত হচ্ছে যে কথাটি, তাহ’ল সবাই নিরাপদ না হ’লে, কেউই নিরাপদ নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই মন্ত্র প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তার ভক্তকুল ছাড়া বাকী বিশ্বের প্রায় সবাই গ্রহণ করে নিয়েছেন। ব্যক্তিগত দায়
‘ইসলামিক স্টেট’ (আইএস) যখন ইরাক এবং সিরিয়ায় একের পর এক শহর ও গুরুত্বপূর্ণ জনপদ দখল করে নিচ্ছে, তখন সঊদী নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী ইয়েমেনের হাওছী বিদ্রোহীদের দমনের নামে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। দেড় মাসের বেশি সময় ধরে পরিচালিত বিমান হামলায়
সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তা মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়লে। বর্তমানে নতুন করোনা ভাইরাসকে বিশ্বব্যাপী মহামারী হিসাবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে এমন সংক্রামক রোগের অতীত ইতিহাস বেশ দীর্ঘ।ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা, কুষ্ঠ, ইনফ্লুয়ে
সম্প্রতি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় এক ব্যক্তি ১০ লাখ টাকা পেয়েছিলেন পথে। ব্যাগসহ সেই টাকা পুলিশের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে বেশ বাহবাও কুড়িয়ে নেন তিনি। টানা দুই দিন দেশের গণমাধ্যম জুড়ে তার ‘সততা’র কীর্তি ফলাও করে প্রচার হয়। কিন্তু জাপানীদের যদি এমন ঘটনা বলা হয়
বিস্ময়করভাবে ইতিহাসের ঘটনাগুলো ফিরে আসে। আফগানিস্তানে যেন ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি ঘটল। আফগান ইতিহাস নির্মাণে গোত্রনেতাদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ ছিল। গোত্রপ্রাধান্য ভিত্তিক সমাজে এরাই আফগানিস্তানের ইতিহাসের বড় অংশের নির্মাতা। এদের সঙ্গে সমঝোতা কর
ভাইরাস আতঙ্কে চীনসহ সমগ্র বিশ্বতটস্থ। মৃত্যুর সংখ্যা ইতিমধ্যে ১ হাযার ছাড়িয়েছে। সারা পৃথিবীতে রেড অ্যালার্ট জারী করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম ভাইরাস মানুষের মৃত্যুর অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার করোনা ভাইরাস কতটা ভয়ঙ্কর তার প্রমাণ আম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রেল দুর্ঘটনা সমগ্র জাতিকে আবারো কাঁদালো। হৃদয় বিদারক এ ঘটনা বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে দেখল সমগ্র জাতি। ঘটে যাওয়া রেল দুর্ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে যথাযথ হিসাব পাওয়া না গেলেও সব মিলিয়ে ক্ষতি হয়েছে প্রায় সাড়ে ২৮ কোটি টাকার। আমা
গত ২৮ শে অক্টোবর সোমবার দৈনিক ইনকিলাবের একটি সংবাদ প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘বাংলা বলা নিষেধ’। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের কলকাতা কফি হাউসে বাংলায় কথা বলা যাবে না। হিন্দিতে কথা বলতে হবে। কলেজ স্ট্রিট কফি হাউসের একজন কর্মী এই কথা জানিয়েছেন বলে সা
আন্তর্জাতিক রাজনীতির নানা ডামাডোলে দু’টি বিষয় খুব বেশী মনযোগ পাচ্ছে না। একটি হচ্ছে সিরিয়ার গোলান হাইটসকে ইসরাঈলের অংশ হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণা আর চীনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর বেইজিংয়ের নির্মম নির্যাতন ও দমিয়ে রাখার অভিযোগ।
এটা শুনে অনেকেই বিস্মিত হন, জম্মু ও কাশ্মীরের একটা নিজস্ব সংবিধান আছে, পৃথক পতাকা আছে, একটা জাতীয় সংগীতও আছে। ভারতের অন্য রাজ্যে যাঁদের মুখ্যমন্ত্রী বলা হয়, কাশ্মীরে সেই পদাধিকারী একদা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে অভিহিত হতেন। এসবই ছিল জম্মু-কাশ্মীর-
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১১ লাখের অধিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর চাপ অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বয়ে বেড়াতে হবে। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার বাংলাদেশের সঙ্গে যে চুক্তি করেছে, সেখানে সম্ভব হ’লে দুই বছরের মধ্যে প্রত্যাবাসন শেষ করার কথা ছিল। সেই সময়ের প্রা
ভূমিকা :এবারে দেশে বোরো ধানের উৎপাদন গত বছরকেও ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু কৃষকের মুখে হাসি নেই। কারণ ধানের যে দাম তাতে লাভতো দূরের কথা উৎপাদন খরচই উঠছে না। বরং প্রতি মণ ধানে ন্যূনতম ২০০ টাকা করে লোকসান হচ্ছে। পাকা ধান ঘরে তুলতে না পেরে সংশ্লিষ
পৃথিবী নামক এই গ্রহে হাযার বছরের ইতিহাসে ঘটে গেছে অগণিত ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। লক্ষ লক্ষ মানুষ হারিয়েছে প্রাণ। গাছপালা, পশু-পাখি কোন কিছুই রক্ষা পায়নি দুর্যোগের কবল থেকে। আবহমান কাল থেকে মানুষ দুর্যোগের সাথে লড়াই করে আসছে। দুর্যোগ মান
গত ১৫ই মার্চ শান্তির দেশ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দু’টি মসজিদে জুম‘আর ছালাতের সময় বর্ণবাদী খ্রিস্টানদের বন্দুক হামলায় আড়াইশর বেশী মানুষ নিহত হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৪ শতাধিক। নিহত ও আহতদের প্রায় সবাই মুসলমান। নিহতদের মধ্যে অন্তত ৫ জন বাংলাদে
ভূমিকা :১৫ই মার্চ ২০১৯ ইং শুক্রবার। স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩০ মিনিট। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টটার্চের আন-নূর ও লিনউড নামক ২টি মসজিদে হামলার খবর দেশী-বিদেশী মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে। বাংলাদেশের মিডিয়াতে বেশী গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ক্রিকেট খ
ভূমিকা :১৫ই মার্চ ২০১৯ ইং শুক্রবার। স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩০ মিনিট। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টটার্চের আন-নূর ও লিনউড নামক ২টি মসজিদে হামলার খবর দেশী-বিদেশী মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে। বাংলাদেশের মিডিয়াতে বেশী গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ক্রিকেট খ
বিদ্যমান উন্নয়ন ধরন (উৎপাদন, আহরণ, প্রবৃদ্ধি, ভোগ) দিয়ে বিশ্ব এক মহাবিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এর থেকে রক্ষা পেতে গেলে উন্নয়নের ধারার মধ্যে পরিবর্তন আনতে হবে। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ কার্বন-নিঃসরণমুখী উন্নয়ন করে না। চীন নিজ দেশে এখন উন্নয়নের ধ
টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে তাবলীগের দুই পক্ষের দফায় দফায় ব্যাপক সংঘর্ষে ইসমাঈল মন্ডল (৭০) নামে একজন নিহত ও তিন শতাধিক আহত হয়েছে। গত ১লা ডিসেম্বর’১৮ শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সংঘর্ষের পর বিকেল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পুলিশসহ আইনশৃঙ্
ভারতের আসাম রাজ্যে ৪০ লাখ অধিবাসীর ঘাড়ে প্রত্যাশিত আতঙ্কের পাহাড় চেপে বসেছে। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তৈরী করা চূড়ান্ত জাতীয় নাগরিক তালিকায় (এনআরসি) তাঁদের নাম ওঠেনি। জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট একটি মামলার প্রেক্ষাপটে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া আদেশ
কিশোর শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক দাবীর আন্দোলনে ঢাকাসহ সারাদেশে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছিল, ঠিক একই সময়ে ভারতের আসাম রাজ্যে নাগরিকত্ব তালিকা প্রকাশের মধ্য দিয়ে উপমহাদেশের বাংলা ভাষাভাষী মুসলমানদের জন্য অনেক বড় একটি সামাজিক
ভূমিকা :ইবরাহীম (আঃ) তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র ইসমাঈল (আঃ)-কে কুরবানী করার বিষয়ে আদেশপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। এ আদেশ কনিষ্ঠ পুত্র ইসহাক (আঃ) সম্পর্কে ছিল না। এটাই অকাট্য সত্য। কুরআনুল কারীম দ্বারা এটাই প্রমাণিত এবং এর উপরই সর্বকালের মুহাক্কিক মনীষীদের ইজমা
মিয়ানমারের ইয়াঙগুনে এমন এলাকা বিরল নয় যেখানে গির্জা, মন্দির ও প্যাগোডার পাশাপাশি মসজিদও শহরটির বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির গৌরব নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। অথচ এই শহরেরই পাশে এমন গ্রাম আছে, যেখানে সাইনবোর্ড লাগিয়ে ‘মুসলমানমুক্ত এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে’। বার্মা
ফিলিস্তীনীরা আজ নিজ দেশে পবাসী। বহু বছর যাবৎ নিজ মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত হয়ে তারা পথ-প্রান্তরে দেশ হ’তে দেশান্তরে উদ্বাস্ত্ত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। আর যারা দেশের মাটি কামড়ে রয়েছে তাদের উপরে চলছে ইহুদীদের বর্বর নির্যাতন। হত্যা-ধর্ষণ-অপহরণসহ
অবশেষে বিশ্বের তুমুল চাপের মুখে এ যুগের নব্য হালাকু খান অথবা হিটলার নামে আখ্যায়িত মিয়ানমার সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইয়াং এবং জাতিগত নিধনের আরেক মহানায়ক কথিত গণতান্ত্রিক (?) নেত্রী সে দেশেরই স্টেট কাউন্সিলর অংসান সুচি বহির্বিশ্বের নিকট নাকা
বাংলাদেশের বামপন্থীরা অক্টোবর বিপ্লবের শতবর্ষ উদযাপন করলেন। এই বিপ্লব ও সোভিয়েত ইউনিয়ন সম্পর্কে বিশ্ব জুড়ে কৌতূহল ও জিজ্ঞাসার শেষ হয়নি। অক্টোবর বিপ্লব নিয়ে এ পর্যন্ত বই লেখা হয়েছে প্রায় ২০ হাযার। শুধু ইংরেজী ভাষাতেই প্রায় ৬ হাযার।
রোহিঙ্গা সমস্যা দক্ষিণ এশিয়ার একটি ধারাবাহিক জাতিগত সন্ত্রাসের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। কল্পনাতীত পশুত্ব ও অসভ্যতার এমন জয়জয়কার আধুনিক সভ্যতাগর্বী বিশ্বের ইতিহাসে এক ঘৃণ্যতম কলংকিত অধ্যায়। প্রতিনিয়ত যে সীমাহীন পাশবিকতায় বর্বর মগ বৌদ্ধরা নিরীহ রোহিঙ্গ
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানগণ বিশ্বের সবচেয়ে ভাগ্যাহত জনগোষ্ঠী। যাদের রাষ্ট্রীয় কোনো স্বীকৃতি নেই। আদমশুমারীতে যাদের গণনা করা হয় না। যাদের নেই কোন নাগরিক অধিকার। জন্ম, মৃত্যু, বিবাহ, সন্তান ধারণ, শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা-বাণিজ্য সবই সরকার কর্তৃক
বিশ্বের সর্বত্র বাংলাদেশী ঔষধের সুনাম ও চাহিদা বাড়লেও দেশের চিত্র ভিন্ন। একদিকে ঔষধ শিল্পের অভাবনীয় উন্নতি, অন্যদিকে দেশের বাজার ছেয়ে গেছে ভেজাল ঔষধে। সুচিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন মতে ভেজাল ঔষধ কিনে উল্টো নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানু
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে সুন্দরবনের যে ক্ষতি হবে, তা মানুষকে কঠিন বিপদের মধ্যে নিক্ষেপ করবে, যে ক্ষতি পূরণ করা কখনোই সম্ভব নয়, যে ক্ষতি বহন করা মানুষের পক্ষে দুঃসাধ্য, সেই ক্ষতি নিয়েও ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের হাসি-ঠাট্টামিশ্রিত কোন ক্ষতি হয়নি, কিংবা
চেতনার উন্মেষকাল যে বয়সে শুরু হয়, জীবন ও জগতের নানা আলো-অন্ধকার যখন চিত্তমানসের সূক্ষ্ম রাজপথে গমনাগমন শুরু করে, সে বয়সটিই হল কৈশোর-যৌবনের সম্মিলনকাল। জীবনের মোড় অনেকটাই নির্ধারিত হয়ে যায় এই ধাপটিতে এসে। দিক নির্ধারণী এই পর্যায়টিতে পরিবার ও সমা
আইএসের সহিংস তৎপরতার ফলে লাভ হচ্ছে কার? গুলশান হত্যাযজ্ঞে অংশ নিয়ে যে তরুণরা প্রাণ হারিয়েছে, তাদের মধ্যে দু’জন ছিল পলিগ্রামের সন্তান, একজন মাদ্রাসায় পড়েছিল। বাকি সবাই শহুরে উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান। পড়াশোনা করেছে রাজধানীর অভিজাত ও ব্যয়বহুল শিক্ষাপ্
এপ্রিল মাসের শেষ পক্ষে এসে হঠাৎ করেই বিশ্বের প্রায় সকল প্রভাবশালী গণমাধ্যমের সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে বাংলাদেশ। তবে এ শিরোনামে আসা কোন অর্জনের জন্য নয়। গার্ডিয়ানের মতে, ‘বাংলাদেশে ভুতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করছে যা যুদ্ধাবস্থার থেকেও খারাপ’। গত ২৫শে এপ্রিল ব
যারা রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগের ঘোরতর প্রতিপক্ষ, সেই বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং অন্যান্য ইসলামী রাজনৈতিক দলও আওয়ামী লীগকে সরাসরি ইসলামবিরোধী দল হিসাবে আখ্যায়িত বা চিহ্নিত করেনি। যারা বামপন্থি বলে দাবি করে এবং সরাসরি কমিউনিজমের কথা বলে সেই বাংলা
[সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় আইন সেল-এর যুগ্ম সচিব কর্তৃক ০৩.০৪.২০১৬ইং তারিখ স্বাক্ষরিত ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় যে, সরকার প্রণীত শিক্ষা আইন ২০১৬-এর খসড়া শিক্ষাবিদ ও সমাজের সকল স্তরের জনগণের এবং দেশের সকল
বিশ্ব প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের অনন্তরূপের সৌন্দর্য সুন্দরবন থেকে মাত্র নয় কিলোমিটার দূরে বাগেরহাটের রামপালে হ’তে যাচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ ১ হাযার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। অর্থমন্ত্রী দ্বিতীয় দফায় ঘোষণা করলেন, রামপালে নির্ম