উত্তর : নিফাসের নিম্ন সময়ের কোন মেয়াদ নেই। যখনই পবিত্র হবে, তখনই ছালাত ও ছিয়াম শুরু করবে (তিরমিযী হা/১৩৯; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৫/৪৫৮)। তবে এর ঊর্ধ্ব সময়সীমা হ’ল ৪০ দিন। উম্মে সালামা (রাঃ) বলেন, নিফাসগ্রস্ত মহিলাগণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যুগে ৪০ দিন অপেক্ষা করতেন’ (আবুদাঊদ হা/৩১১; তিরমিযী হা/১৩৯; ইরওয়া হা/২০১, সনদ ছহীহ)। অতএব ৪০ দিন পরও যদি কারো স্রাব বন্ধ না হয়, তাহ’লে বুঝতে হবে যে, এটি এস্তেহাযা, যা এক প্রকার প্রদর রোগ। এমতাবস্থায় গোসল করে ছালাত আদায় করবে এবং প্রতি ছালাতের পূর্বে ওযূ করবে’ (বুখারী হা/২২৮; মুসলিম হা/৩৩৩; মিশকাত হা/৫৫৭)। নিফাস চলাকালীন সময়ের ছুটে যাওয়া ছিয়ামের কাযা আদায় করতে হ’লেও ছালাতের কোন কাযা আদায় করতে হবে না। নবী করীম (ছাঃ)-এর স্ত্রীগণ নিফাসের সময় চল্লিলশ দিন পর্যন্ত বসে থাকতেন। নবী করীম (ছাঃ) তাদেরকে নিফাসকালীন ছালাত কাযা করার নির্দেশ দিতেন না’ (আবুদাউদ হা/৩১২; ইরওয়া হা/২০১, সনদ হাসান)। তবে ছিয়ামের কাযা আদায়ের নির্দেশ দিতেন (মুসলিম হা/৩৩৫; মিশকাত হা/২০৩২)।