উত্তর : মাদ্দে মুত্তাছিল ৪ আলিফ টেনে পাঠ করা মুস্তাহাব, ওয়াজিব নয়। এতে ভুল হ’লে গুনাহ নেই। তবে সাধ্যমত মাদ্দের স্থানে এমন দীর্ঘস্বরে পাঠ করা কর্তব্য, যাতে শব্দের অর্থের কোন পরিবর্তন না হয়। অর্থাৎ যেখানে মাদ্দ নেই সেখানে দীর্ঘস্বরে পড়া যাবে না। আবার যেখানে মাদ্দ আছে সেখানে দ্রুত অতিক্রম করে পাঠ করা যাবে না (ইবনু জাযরী, কিতাবুন নাশর ফি কিরাআতিল আ‘শর ১/২৪৭; সাখাভী, ফাতহুল ওয়াছীদ ১/৩২৯)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তোমরা কুরআনকে তোমাদের কণ্ঠস্বরের মধুর আওয়াজ দিয়ে সৌন্দর্যমন্ডিত করে পড়বে। কারণ সুমিষ্ট স্বর কুরআনের সৌন্দর্য বাড়ায় (দারেমী হা/৩৫০১; মিশকাত হা/২২০৮; ছহীহাহ হা/৭৭১)। তিনি আরো বলেন, মানুষের মধ্যে সুকন্ঠে কুরআন তিলাওয়াতকারী সেই ব্যক্তি যার তিলাওয়াত শুনে তোমাদের ধারণা হয় যে, সে আল্লাহর ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত (ইবনু মাজাহ হা/১৩৩৯; ছহীহুল জামে‘ হা/২২০২)। আবূ লুবাবাহ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে কুরআনকে মধুর সূরে পাঠ করে না সে আমাদের দলভুক্ত নয়। বর্ণনাকারী বলেন, আমি ইবনু আবূ মুলায়কাহকে বলি, হে আবূ মুহাম্মাদ! যদি কারো স্বরই শ্রুতিমধুর না হয়? তিনি বললেন, সাধ্যমত সুন্দরভাবে পড়ার চেষ্টা করবে (আবুদাউদ হা/১৪৭১; ছহীহুত তারগীব হা/১৪৫১)।
জাবের ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, একদা আমরা কুরআন তেলাওয়াত করছিলাম, এমন সময় সেখানে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আসলেন। তখন আমাদের মধ্যে আরব বেদুঈন এবং অনারব লোকজন ছিল। তিনি বললেন, তোমরা (কুরআন) পড়, প্রত্যেকেই উত্তম। কেননা অচিরেই এমন সম্প্রদায়ের আর্বিভাব ঘটবে, যারা কুরআনকে তীরের ন্যায় ঠিক করবে (তাজবীদ নিয়ে বাড়াবাড়ি করবে), তারা কুরআন পাঠে তাড়াহুড়া করবে, অপেক্ষা করবে না (আবুদাউদ হা/৮৩০; মিশকাত হা/২২০৬; ছহীহাহ হা/২৫৯)। অতএব সাধ্যমত কুরআন সুন্দর করে তেলাওয়াত করার চেষ্টা করতে হবে।
প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ নাফীস, চট্টগ্রাম।