উত্তর : বিসমিল্লাহ
বলেই শুরু করতে হবে। আর ‘বিসমিল্লাহ’র পরিবর্তে ৭৮৬ সংখ্যা লেখা যাবে না।
কেননা আরবী হরফসমূহের আবজাদী তথা সংখ্যাতাত্ত্বিক গণনা পদ্ধতিতে
‘বিসমিল্লাহ্’-এর ১৯টি হরফের মান যোগ করে ৭৮৬ বানানো হয়েছে, যা নিছক
কপোলকল্পিত। আর তা কখনোই ‘বিসমিল্লাহ্’-এর বিকল্প নয়। মূলতঃ ‘বিসমিল্লাহ’
কুরআনের আয়াতাংশ (নমল ২৭/৩০) এবং আল্লাহ প্রদত্ত একটি ইবাদতের
শব্দ। আল্লাহর সাহায্য কামনা করে সকল শুভ কাজে ‘বিসমিল্লাহ’ ব্যবহার করা
অন্যতম ইবাদত। সুতরাং ‘বিসমিল্লাহ্’-র পরিবর্তে ৭৮৬ ব্যবহার করলে তা ইবাদত
হিসাবে গণ্য হবে না এবং তাতে কোন নেকী হবে না। একইভাবে অনুবাদ লিখলেও হবে
না। কেননা ছাহাবায়ে কেরাম থেকে এরূপ কোন রীতি নেই। সর্বোপরি এটি কুরআনের
আয়াত মনে করে পড়লে প্রতি হরফে ১০ নেকী লাভ হবে। কিন্তু অনুবাদ পড়লে তা হবে
না।
যদি বলা হয়, এর দ্বারা ‘বিসমিল্লাহ’-কে যত্রতত্র অমর্যাদাকর ব্যবহার থেকে রক্ষা করা যায়, সেটি ভুল হবে। বরং ‘বিসমিল্লাহ’ বলেই এর মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। অস্পষ্ট সংকেতে লেখায় বরং এর প্রতি অসম্মান করা হবে। আর কোথাও অমর্যাদার আশংকা থাকলে মুখে উচ্চারণ করলেই যথেষ্ট। লেখার প্রয়োজন নেই। যেমনভাবে ইমাম বুখারী (রহ.) ছহীহ বুখারীর শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ লেখেননি।
প্রশ্নকারী : ওয়াকার ইউনুস, সৈয়দপুর, নীলফামারী।