উত্তর : ‘উলুল আমর’ অর্থ শাসন ও কর্তৃত্বের অধিকারী। হাফেয ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন, ‘উলুল আমর’ যেকোন শাসক ও আলেম হতে পারেন; যখন তাঁরা আল্ল­াহকে মানার নির্দেশ দেন এবং তাঁর অবাধ্যতায় নিষেধ করেন’ (তাফসীর ইবনে কাছীর, সূরা নিসা ৫৯ আয়াতের ব্যাখ্যা)

আল্ল­ামা নাসাফী (রহঃ) বলেন, ‘উলুল আমর’ হলেন রাষ্ট্রনায়ক কিংবা আলেমগণ। কিন্তু তাঁরা যদি সত্যের বিরোধিতা করেন তাহলে তাঁদের কথা মানা যাবে না। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, لا طَاعَةَ لِمَخْلُوْقٍ فِيْ مَعْصِيَةِ الْخَالِقِ অর্থাৎ ‘সৃষ্টিকর্তার অবাধ্যতায় সৃষ্টির প্রতি কোন আনুগত্য নেই’ (তাফসীরে নাসাফী, ১/১৮০ পৃঃ; মিশকাত হা/৩৬৯৬; ছহীহুল জামে‘ হা/৭৫২০)

নওয়াব ছিদ্দীক হাসান খান ভূপালী (রহঃ) বলেন, তাক্বলীদ পন্থীরা বলে যে, ‘উলুল আমর’ হলেন আলেমগণ। অথচ মুফাসসিরগণ বলেছেন, ‘উলুল আমর’ প্রথমতঃ শাসকগণ অতঃপর আলেমগণ। এঁদের কারো কথা গ্রহণ করা যাবে না যতক্ষণ না তাঁরা আল্ল­াহর রাসূলের সুন্নাত অনুযায়ী চলার নির্দেশ দেন। যদি এটা মেনে নেওয়া হয় যে, কিছু আলেম এমনও আছেন, যারা লোকদেরকে তাঁদের কথা বিনা দলীলে মেনে নিতে বলেন, তাহলে তাঁরা লোকদেরকে আল্লাহর অবাধ্যতার দিকে পথ দেখাবেন। এমতাবস্থায় তাদের কথা গ্রহণ করা যাবে না’ (তাফসীরে রূহুল বায়ান, ১/২৬৩-২৬৪ পৃঃ)।

আল্লাহ রাববুল আলামীন প্রত্যেক সৃষ্টির মাঝেই সমাজবদ্ধ জীবনের সহজাত প্রবণতা সৃষ্টি করে দিয়েছেন। আর পবিত্র কুরআনে তিনি মুসলিম উম্মাহকে হাবলুল্লাহর মূলে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন (আলে ইমরান ৩/১০৩)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের উপর জামা‘আতবদ্ধ থাকা ফরয করা হ’ল এবং বিচ্ছিন্ন থাকা নিষিদ্ধ করা হ’ল। কেননা শয়তান একক ব্যক্তির সাঙ্গে থাকে এবং সে দু’জন থেকে দূরে থাকে। অতএব তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি জান্নাতের মধ্যস্থলে থাকতে চায়, সে যেন জামা‘আতবদ্ধ জীবনকে অপরিহার্য করে নেয়’ (তিরমিযী হা/২১৬৫)। তিনি বলেন, ‘জামা‘আতের উপর আল্লাহর হাত থাকে’ (তিরমিযী হা/২১৬৬; মিশকাত হা/১৭৩)

ইসলামী নেতৃত্ব গড়ে উঠবে কেবল বিশুদ্ধ আক্বীদা ও আমলের ভিত্তিতে। যেখানে যোগ্য ব্যক্তিদের পরামর্শের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন হবে, যেভাবে খুলাফায়ে রাশেদীন নির্বাচিত হয়েছিলেন (মুসলিম হা/৪৮১৮)। এভাবে যুগ যুগ ধরে আমীরের আনুগত্য অব্যাহত রয়েছে। ইসলামী খেলাফত না থাকলেও কোন যুগে আমীরের আনুগত্য স্থগিত হয়নি এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত তা স্থগিত হবে না; যতক্ষণ পর্যন্ত আমীর কুরআন ও ছহীহ হাদীছের উপর নিজে অটল থাকবেন এবং তাঁর কর্মীদের সেভাবে নির্দেশ দিবেন।






প্রশ্ন (১৪/১৭৪) : প্রবল শীতের কারণে বা রোগ বৃদ্ধির আশংকায় ফরয গোসল না করে তায়াম্মুম বা ওযূ করে ছালাত আদায় করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৪/৪০৪) : জনৈক বক্তা বলেন, তিরমিযীর একটি হাদীছে এসেছে, যে দেশে আলেমদের নির্যাতন করা হয় সে দেশে স্ট্রোক ও ডায়াবেটিস বেড়ে যায়। মাটি খরায় ফেটে যায়। মানুষের যৌন ক্ষমতা কমে যায়। এর কোন সত্যতা আছে কি? - -বযলুল করীম, বাড্ডা, ঢাকা।
প্রশ্ন (১৭/১৩৭): কারো উপর রাগ করে কুরআন-হাদীছ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিলে সে কি মুসলিম থাকবে?
প্রশ্ন (৩১/১৫১) : স্বামী মারা যাওয়ার পর সরকারী বিধি অনুযায়ী স্ত্রী যতদিন বাঁচবে পেনশন পাবে। কিন্তু ইসলামী নীতি অনুযায়ী ছেলে-মেয়েরাও পিতার সম্পদের হকদার হিসাবে উক্ত পেনশনের হকদার। এক্ষণে সন্তানদের মাঝে উক্ত পেনশন শরী‘আত মোতাবেক ভাগ করে দেওয়া মাতার জন্য আবশ্যক হবে কি? - -আযাদ সরকার, গঙ্গাচড়া, রংপুর।
প্রশ্ন (১৮/৩৭৮) : মসজিদের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হবে না এরূপ ধারণায় বহুদিন যাবৎ বিল পরিশোধ না করায় এখন অনেক সূদ জমা হয়ে গেছে। বর্তমানে সূদী অংশ বাদ দিয়ে কেবল মূল বিল পরিশোধ করা হয়। ফলে সূদ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এক্ষণে বকেয়া সমুদয় সূদ মসজিদ ফান্ড থেকে দেওয়া যাবে কি? - -শহীদুল ইসলাম, সৈয়দপুর, নীলফামারী।
প্রশ্ন (৭/৩২৭) : কোন লোক যদি আমার কোন ক্ষতি করার চেষ্টা করে আমি কি তার জন্য আল্লাহর নিকট লা‘নত করতে পারব? না তার জন্য হেদায়াতের দো‘আ করব?
প্রশ্ন (১৭/১৭৭) : ‘ঈমান ছুরাইয়া নক্ষত্রের নিকটে থাকলেও আমার উম্মতের কিছু লোক বা তাদের এক ব্যক্তি তা অবশ্যই পেয়ে যাবে’। এ হাদীছ দ্বারা ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-কে বুঝানো হয়েছে কি? - -মীম, দক্ষিণ মুগদা, ঢাকা।
প্রশ্ন (২০/২৬০) : জনৈক ব্যক্তি সমাজে অনেক শিরক ও বিদ‘আতের প্রচলন ঘটিয়েছে এবং মানুষ তা আমল করে চলেছে। পরবর্তীতে ঐ ব্যক্তি বিশুদ্ধ দ্বীনের পথে ফিরে এসেছে। এক্ষণে ঐ ব্যক্তি কি সমাজের লোকদের পাপের অংশ পেতে থাকবে? এক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তির পরিত্রাণের উপায় কি?
প্রশ্ন (৩২/২৭২) : মৃত ব্যক্তি মা, স্ত্রী ও দুই ভাই রেখে মারা যায়। এক্ষণে সম্পত্তির অংশ কে কত ভাগ পাবে? - -রুবাইয়াত রায়হান, কাজলা, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২১/১৪১) : কোন মুসলিম নারী প্রসাধনী হিসাবে সিঁদুর ব্যবহার করতে পারবে কি? যদি তার স্বামী পসন্দ করে তথা স্বামীকে খুশি করার জন্যে কি ব্যবহার করা জায়েয হবে?
প্রশ্ন (৩৫/১৫৫) : উছূলে হাদীছের নীতিমালার আলোকে ছালাতুত তাসবীহ সংক্রান্ত হাদীছগুলি সার্বিকভাবে বিবেচনা করলে বিভিন্ন সনদের আলোকে তা সবলতার পর্যায়ে পৌঁছে, বিধায় হাদীছগুলি আমলযোগ্য বলে মনে হয়। বিষয়টির ব্যাখ্যা জানতে চাই।
প্রশ্ন (৪০/৪০) : জুম‘আর দিন পিতা-মাতার কবর যিয়ারত করা উত্তম। এ কথা সঠিক কি?
আরও
আরও
.