উত্তর : সফরে ছালাত ক্বছর করা উত্তম (নিসা ৪/১০১; বুখারী হা/১১০২; মুসলিম হা/৬৮৯; মিশকাত হা/১৩৩৮)। তবে মুক্বীম-মুসাফির উভয় অবস্থাতেই জামা‘আতে ছালাত আদায় করা ওয়াজিব (বুখারী হা/৬১৮; আহমাদ হা/১৮৬২; ছহীহাহ হা/২৬৭৬; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৫/২৫২; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১২/২৯৭)। অতএব সফরে গিয়ে স্থানীয় মসজিদে মুক্বীম ইমামের পিছনে ছালাত আদায় করলে পূর্ণ ছালাত আদায় করবে। তবে সফরকালে একাকী ছালাত আদায়ের ক্ষেত্রে কিংবা মুসাফির ইমামের পিছনে ছালাত ক্বছর করবে। ইবনু ওমর, ইবনু আববাস (রাঃ) প্রমুখ ছাহাবী সফরে জামা‘আতে পুরা পড়তেন ও একাকী ক্বছর করতেন (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/১৩৪৭-৪৮; আহমাদ হা/১৮৬২)।
এছাড়া সফরে সুন্নাতে রাতেবাগুলো ছেড়ে দেওয়াই উত্তম। রাসূল (ছাঃ) সফরে সেগুলো আদায় করতেন না (বুখারী হা/১৬৭৩; মিশকাত হা/২৬০৭; ইবনুল ক্বাইয়িম, যাদুল মা‘আদ ১/৪৫৬)। তবে ফজরের পূর্বের সুন্নাত, বিতরের ছালাত ও তাহাজ্জুদ, যোহা সহ অন্যান্য নফল ছালাত আদায় করা যায় (ইবনুল কাইয়িম, যাদুল মা‘আদ ১/৪৫৬-৫৭; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১০/৩৮১)। মোটকথা সফরে ছালাত ক্বছর করা ও সুন্নাতে রাতেবা ছেড়ে দেওয়া মুস্তাহাব। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে ছাড়। কেউ চাইলে গ্রহণ করতে পারে, নাও পারে (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ২/১৯৭-১৯৮)।
প্রশ্নকারী : তাওহীদুল ইসলাম, গোদাগাড়ী, রাজশাহী।