উত্তর : তাঁর নাম খাজা মঈনুদ্দীন হাসান বিন খাজা গিয়াছুদ্দীন সিজযী। তিনি গরীবে নেওয়ায বা গরীবদের সাহায্যকারী হিসাবে ব্যাপক পরিচিত। ইরানের পূর্বাঞ্চল সীস্তান নগরীতে ৫৩৬/৫৩৭ হিজরীতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। জ্ঞান অর্জনের জন্য তিনি বুখারা সহ বিভিন্ন দেশে সফর করেন।

তার ছূফী মতবাদ গ্রহণের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে কথিত আছে যে, একদা তিনি ক্ষেতে পানি দিচ্ছিলেন। এ সময় শায়খ ইবরাহীম কুন্দুয নামে জনৈক ছুফী তার নিকট আগমন করেন। চিশতী ছাহেব তাকে কিছু ফল দিয়ে আপ্যায়ন করেন। তার বিনিময়ে শায়খ তাকে এক টুকরো দাড়ি দিয়ে তা খেতে বলেন। চিশতী তা খেয়ে নিলে তার ভিতর আলোকিত হয়ে যায় এবং দুনিয়ার অনেক কিছু অবলোকন করেন। এভাবে তিনি নতুন এক জগতে পদার্পণ করেন। এরপর যাবতীয় সম্পদ গরীবদের মাঝে দান করে চিশতী ছাহেব জ্ঞান অর্জনে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। অবশেষে স্বপ্নে রাসূল (ছাঃ)-এর নির্দেশক্রমে তিনি পাকিস্তানের লাহোর হয়ে ভারতের রাজস্থান প্রদেশের আজমীরে স্থায়ীভাবে অবস্থান করেন। অতঃপর ৬২৭ হিজরী সনে সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন (আব্দুল হাই লাক্ষ্মেŠবী, নুযহাতুল খাওয়াতির ১/৯১, ২৩)

মঈনুদ্দীন চিশতীর আক্বীদা অন্যান্য ছূফীবাদী বাতিল আক্বীদার মতই। তার উদ্ভাবিত আল-মুরাকাবাতুল চিশতীয়া হ’ল- মাথা আবৃত করে কোন কবরে এক ঘন্টা, একদিন বা এক সপ্তাহ অবস্থান করা এবং আল্লাহকে হাযির ও নাযির বলে যিকির করা। এছাড়া তার ব্যাপারে বলা হয়ে থাকে যে, তিনি রাসূল (ছাঃ)-এর কবর যিয়ারতের জন্য মদীনায় গমন করেন। সেখানে তিনি পৌঁছে মুনাজাত করলে আল্লাহর রাসূল তাঁর হাত বাড়িয়ে দেন এবং চিশতী ছাহেব তাতে চুম্বন করেন। এছাড়া তারা কবরে সিজদা করে এবং মাদাদ ইয়া সাইয়েদী বলে ডাকতে থাকে। এরূপ বহু শিরকী আক্বীদা ও আমল তার উদ্ভাবিত তরীকা বাতিল হওয়ার প্রমাণ বহন করে (আব্দুল্লাহ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৯/৩১০-৩১১; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২/৮৮-৯০)






প্রশ্ন (২১/১৮১) : সন্তানের নাম রাখার ক্ষেত্রে পিতা না মাতার সিদ্ধান্ত অগ্রাধিকার পাবে?
প্রশ্ন (১৭/৯৭) : আমার কয়েকজন ভাই। যাদের প্রত্যেকেই শরী‘আতের কিছু কিছু ফরয বিধান পালন করে না। এক্ষণে আমি তাদের সাথে আজীবনের জন্য কথা বন্ধ বা সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারব কি?
প্রশ্ন (২/১২২) : পিতা-মাতার এক ছেলে ও দুই মেয়ে। ছেলে পিতা-মাতার জীবদ্দশায় এক পুত্র সন্তান রেখে মারা যায়। এরপর সেই পুত্র সন্তানও দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে মারা যায়। বর্তমানে জীবিত আছে ব্যক্তির দুই মেয়ে ও নাতির স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে। এক্ষণে পিতা-মাতার সম্পত্তিতে দুই মেয়ে ও নাতির ছেলে ও মেয়েরা কতটুকু সম্পদ পাবে?
প্রশ্ন (২২/১০২) : শীতের সময় দুপুরেই বস্ত্তর ছায়া একগুণ থাকে। এ সময় যোহর ও আছর ছালাতের সময়সূচী কেমন হবে?। গরমের সময় আসল ছায়া ছোট থাকে। আর শীতের সময় বড় থাকে। এর সমাধান জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (২৯/১৮৯) : ছালাতে কাতারবন্দী হওয়ার সময় ডান থেকে কাতার করবে না বাম থেকে?
প্রশ্ন (২৭/৩৪৭) : সরকার প্রদত্ত শরী‘আতসম্মত বৈষয়িক সিদ্ধান্ত সমূহ যেমন করোনা সম্পর্কিত নির্দেশনাসমূহ পুরোপুরি অনুসরণ করা আবশ্যক কি? না করলে গুনাহগার হতে হবে কি?
প্রশ্ন (২/৪২) : সন্তানের ঋণ পরিশোধ করা পিতার জন্য আবশ্যক কি? পরিশোধ না করলে তিনি গোনাহগার হবেন কি? সন্তান পিতার সংসারে থাকা বা না থাকায় বিধানের কোন পরিবর্তন হবে কি?
প্রশ্ন (২৩/৩৮৩) : হারাম শরীফের এলাকার মধ্যে কোন মসজিদে ছালাত আদায় করলে হারামে আদায় করার নেকী পাওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (২৫/৪৬৫) : বিবাহের ঘটকালী করে মজুরী নেওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (৩৩/৩৯৩) : যখন মসজিদে বা টেলিভিশনে আযান হয়, তখন মহিলা মাথায় ওড়না অথবা কাপড় তুলে দেয়। শরী‘আতে এধরনের কোন বিধান আছে কি?
প্রশ্ন (৮/১৬৮) : পেশাব-পায়খানার প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও জামা‘আত ছুটে যাবে বলে জামা‘আত ধরা ঠিক হবে কি?
প্রশ্ন (৩০/৩০) : ‘ইমামের ক্বিরাআত মুক্তাদীর জন্য যথেষ্ট’। শায়েখ আলবানী হাদীছটি হাসান বললেও অনেক আহলেহাদীছ বিদ্বান হাদীছটিকে যঈফ সাব্যস্ত করেছেন। এক্ষণে কোন তাহকীকটি সঠিক হিসাবে গ্রহণ করতে হবে?
আরও
আরও
.