উত্তর : সূরা ফাতিহা ব্যতীত ইমামের অন্য সূরা পাঠকালীন মুছল্লীরা মনোযোগ সহকারে ইমামের তেলাওয়াত শুনবে (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১১/২২১, ২৩৪)। কারণ আল্লাহ বলেন, আর যখন কুরআন পাঠ করা হয়, তখন তোমরা তা মনোযোগ দিয়ে শোন এবং চুপ থাকো, যাতে তোমরা অনুগ্রহপ্রাপ্ত হ’তে পার (আ‘রাফ ৭/২০৪)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আর যখন ইমাম তেলাওয়াত করবে তখন তুমি চুপ থাকবে (মুসলিম হা/৪০৪; মিশকাত হা/৮৫৭)। তবে আয়াতের অর্থ মনে মনে অনুধাবন করা যাবে। বরং ছালাতে মনোযোগী হওয়ার জন্য ইমামের তেলাওয়াত অনুধাবন করে শোনা যরূরী (হাকেম হা/২৪৪১; ছহীহাহ হা/২৯৬৫; গাযালী, আল-ইহইয়া ১/২৮২)। আর ফরয ছালাতে তেলাওয়াতের সময় যিকির বা তাসবীহের বিষয়ে কোন স্পষ্ট দলীল পাওয়া যায় না। তবে নফল ছালাতের তেলাওয়াতে রাসূল (ছাঃ) কোন রহমতের আয়াতে পৌঁছলে আল্লাহর রহমত চাইতেন, আযাবের আয়াত আসলে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন, তাসবীহের আয়াত আসলে তাসবীহ পাঠ করতেন (মুসলিম হা/২০৩; আবূদাউদ হা/৮৭৩; নাসাঈ হা/১১৩৩)। অতএব নফল ছালাতে অনুচ্চ স্বরে প্রাসঙ্গিক তাসবীহ বা দো‘আ পাঠ করতে কোন বাধা নেই বরং তা সুন্নাত। আর ফরয ছালাতে জায়েয হ’লেও না পড়াই উত্তম (আ‘রাফ ৭/২০৪; আল-মুগনী ১/৩৯৪; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৩/২৮৯-৯০)।
প্রশ্নকারী : আহসান হাবীব, মীরবাগ, রংপুর।