উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে মুসলমান আল্লাহর কালেমাকে সমুন্নত করার লক্ষ্যে লড়াই করবে, কেবলমাত্র সেই-ই আল্লাহর পথে লড়াই করল’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩৮১৪)।
অতএব যারা তাওহীদের কালেমাকে সমুন্নত করার খালেছ নিয়তে আল্লাহর পথে লড়াই
করে মারা যাবে, তারাই হচ্ছে প্রকৃত শহীদ। আর শহীদের পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য হবে
এই যে, সে লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে লড়াই করবে না, তাকে বাহাদুর বলা হবে এ
উদ্দেশ্যে বা লোককে শুনানোর উদ্দেশ্যে লড়াই করবে না’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৫৩১৬; মুসলিম, মিশকাত হা/২০৫)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় মৃত্যুবরণ করে অথবা নিহত হয়, সে ব্যক্তি জান্নাতী এবং শহীদ (আহমাদ হা/২৮৫, ১০৭৭২; ইবনু মাজাহ হা/২৯১০; মুসলিম, মিশকাত হা/৩৮১১)।
তিনি বলেন, যে মুসলমান (১) তার দ্বীনের জন্য নিহত হ’ল, সে শহীদ (২) যে তার
জীবন রক্ষার্থে নিহত হয়, সে শহীদ (৩) যে ব্যক্তি তার সম্পদ রক্ষার্থে নিহত
হয়, সে শহীদ (৪) যে ব্যক্তি তার পরিবার রক্ষার্থে নিহত হয়, সে শহীদ (তিরমিযী, আবুদাঊদ, নাসাঈ, মিশকাত হা/৩৫২৯)।
তিনি বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয় বা মৃত্যুবরণ করে, সে
ব্যক্তি শহীদ, যে ব্যক্তি মহামারীতে মারা যায়, সে ব্যক্তি শহীদ, যে ব্যক্তি
পেটের পীড়ায় (কলেরা, ডায়রিয়া) মারা যায়, সে ব্যক্তি শহীদ, যে ব্যক্তি
পানিতে ডুবে মারা যায়, সে ব্যক্তি শহীদ’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৩৮১১, ছহীহুল জামে‘ হা/৬৪৪৯)। তিনি আরও বলেন, যে ব্যক্তি মযলূম অবস্থায় নিহত হয়, সে ব্যক্তি শহীদ’ (আহমাদ, ছহীহুল জামে‘ হা/৬৪৪৭)। অন্য হাদীছে এসেছে, যে ব্যক্তি তার ন্যায্য অধিকার রক্ষায় নিহত হয়, সে ব্যক্তি শহীদ’ (আবু ইয়ালা হা/৬৭৭৫, সনদ হাসান)।