উত্তর : কেবল শায়খ আলবানী নন প্রথম যুগের বেশ কিছু মুহাদ্দিছ এ বিষয়ে ছহীহ বুখারীর কতিপয় হাদীছ সম্পর্কে সমালোচনা করেছেন। তাঁদের মধ্যে সর্বাধিক ইমাম দারাকুৎনী (৩০৬-৩৮৫ হিঃ) ছহীহ বুখারীর ৭৮টি এবং বুখারী ও মুসলিমের মিলিতভাবে ৩২টি হাদীছের উপর সমালোচনা করেছেন। এসব সমালোচনার উত্তরে বিভিন্ন গ্রন্থ লিপিবদ্ধ হয়েছে। ছহীহ বুখারীর ভাষ্যকারগণের প্রত্যেকেই সংক্ষেপে বা বিস্তারিতভাবে এসব সমালোচনার জবাব দিয়েছেন। তবে সর্বশেষ ভাষ্যকার হাফেয ইবনু হাজার আসক্বালানী (৭৭৩-৮৫২হিঃ) ফাৎহুল বারীর ভূমিকা ‘হাদীয়ুস সারী’তে এইসব সমালোচনার একটি একটি করে বিস্তারিতভাবে জবাব দিয়েছেন (হাদীয়ুস সারী মুক্বাদ্দামা ফাৎহুল বারী ৮ম অনুচ্ছেদ ৩৬৪-৪০২)

আলোচনার শেষে উপসংহারে তিনি বলেন, সমালোচিত প্রত্যেকটি হাদীছই দোষযুক্ত নয়। বরং অধিকাংশের জওয়াব পরিষ্কার ও দোষমুক্ত। কোন কোনটির জওয়াব গ্রহণযোগ্য এবং খুবই সামান্য কিছু রয়েছে যা না বুঝে তাঁর উপর চাপানো হয়েছে। আমি প্রত্যেকটি হাদীছের শেষে এগুলির বিস্তারিত ব্যাখ্যা পেশ করেছি’ (মুক্বাদ্দামা ৪০২ পৃঃ)

তিরমিযীর ভাষ্যকার শায়খ আহমাদ মুহাম্মাদ শাকের বলেন, ‘ছহীহ বুখারীর যে সব হাদীছ সমালোচিত হয়েছে তার অর্থ হ’ল সেগুলো ইমাম বুখারীর শর্তানুযায়ী বিশুদ্ধতার সর্বোচ্চ  স্তরে পৌঁছেনি। তবে হাদীছটি স্বীয় অবস্থানে ছহীহ। তিনি বলেন, মুহাক্কিক ওলামায়ে হাদীছ-এর নিকটে এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই যে, ছহীহ বুখারী ও মুসলিমের প্রতিটি হাদীছই ছহীহ। এ দু’টি গ্রন্থের কোন একটি হাদীছ দুর্বলতা বা ত্রুটিযুক্ত নয়। ইমাম দারাকুৎনীসহ মুহাদ্দিছগণের কেউ কেউ যে সমালোচনা করেছেন তার অর্থ হ’ল তাঁদের নিকট সমালোচিত হাদীছসমূহ ইমাম বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী বিশুদ্ধতার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছতে পারেনি। তবে সাধারণভাবে হাদীছগুলির বিশুদ্ধতা নিয়ে কেউই মতভেদ করেননি (আল বাএছুল হাছীছ, তাহকীক : আহমাদ মুহাম্মাদ শাকের, পৃঃ ৩৩-৩৪)

শায়খ আলবানীও উছূলে হাদীছের আলোকে ছহীহ বুখারীর ১৫টি হাদীছের সমালোচনা করেছেন তাঁর ‘সিলসিলা যঈফাহ’ গ্রন্থে। উক্ত সমালোচনা হাদীছবিরোধী বা হাদীছে সন্দেহবাদীদের মত নয়। বরং একজন সূক্ষ্মদর্শী মুহাদ্দিছ বিদ্বান হিসাবে। যেমন ইতিপূর্বে অনেক মুহাদ্দিছ করেছেন। যদি এতে তিনি ভুল করে থাকেন তাহ’লেও নেকী পাবেন। আর ঠিক করে থাকলে দ্বিগুণ নেকী পাবেন। তবে তিনি যেসব হাদীছকে যঈফ বলেছেন, সেব্যাপারে ইমাম বুখারী (রহঃ)-এর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। কেননা দুর্বল রাবীদের বর্ণনা গ্রহণ করার ব্যাপারে তাঁর কতগুলি স্পষ্ট নীতি ছিল। যেমন : (১) দুর্বল রাবীদের সকল বর্ণনাই দুর্বল নয়। (২) উক্ত বিষয়ে অন্য কোন হাদীছ না পাওয়া এবং হাদীছটি বিধানগত ও আক্বীদা বিষয়ক না হওয়া। বরং হৃদয় গলানো ও ফযীলত বিষয়ে হওয়া। (৩) সনদে বা মতনের কোন ত্রুটি দূর করার জন্য বা কোন বক্তব্যের অধিক ব্যাখ্যা দানের জন্য কিংবা শ্রুত বিষয়টি প্রমাণ করার জন্য সহযোগী হিসাবে  (من المتابعات) কোন হাদীছ আনা’ (ড. মুহাম্মাদ হামদী আবু আবদাহ, জর্ডান বিশ্ববিদ্যালয়ে শরীআ অনুষদ কর্তৃক আয়োজিত সম্মেলনে পেশকৃত গবেষণাপত্র, ৩৪ পৃঃ)






প্রশ্ন (২২/৩৮২) : ক্বদরের রাত্রিগুলিতে ইবাদত করার নিয়ম কি?
প্রশ্ন (১৭/৩৫৭) : যাকাতের সম্পদ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেওয়ার নিয়ত করে আমার নিকট থেকে ঋণগ্রহীতাকে কিছু ঋণ মাফ করে দেওয়া যাবে কি? - -আহমাদ, নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর।
প্রশ্ন (৬/৩২৬) : ‘মুমিন বান্দা ও শিরকের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে ছালাত বর্জন করা। অতএব যে ব্যক্তি ছালাত ত্যাগ করল সে অবশ্যই শিরক করল’ হাদীছটির বিশুদ্ধতা ও হুকুম জানতে চাই।
প্রশ্ন (৩৮/১৫৮) : মুসাফির ব্যক্তি বাড়ী ফেরার সময় যোহর-আছর জমা ও কছর করতে পারে কি?
প্রশ্ন (৪/৪০৪) : রাস্তার পাশে অবস্থিত গাছে সুবহানাল্লাহ, আল-হামদুলিল্লাহ ও আল্লাহু আকবারের ফেস্টুন টাঙানো যাবে কী?
প্রশ্ন (৯/৪৯) :কোন কোন মাদ্রাসায় কেউ ছাগল বা অন্য কিছু ছাদাক্বা করলে মাদ্রাসার শিক্ষক, ছাত্র, কর্মচারী সবাই তা খায়। এভাবে সবার জন্য ছাদাক্বা খাওয়া জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (৯/১২৯) : মাসবূক মুছল্লীদের ব্যাপারে দেখা যায় যে, ইমাম প্রথম সালাম ফিরাতেই তারা বাকী রাক‘আতের জন্য দাঁড়াতে শুরু করেন। এটা শরী‘আসম্মত কি? - -কামরুল ইসলামকুলিয়া, সাতক্ষীরা।
প্রশ্ন (৩০/৪৭০) : বাথরুমে নাকি আল্লাহর নাম স্মরণ করা যায় না। কিন্তু এখন প্রায়ই বাথরুমে ওযূ-গোসল করতে হয়। এ সময় ‘বিসমিল্লাহ’ বলে ওযূ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১০/৪৫০) : ঈদের ছালাতের খুৎবা শেষে মানুষের দানকৃত অর্থগুলো ইমামকে দেওয়া হয়। এটা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (১৯/১৭৯) : গরু-ছাগল ফসলের ক্ষতি করলে উক্ত পশুকে খোয়াড়ে দেওয়া বা তার মালিককে জরিমানা করা হয়। এটি শরী‘আতসম্মত কি?
প্রশ্ন (৩/৩৬৩) : জনৈক ব্যক্তি বলেন, হাদীছে সূরা ফাতিহা শেষে কেবল একবার নয় তিনবার আমীন বলার নির্দেশও এসেছে। সুতরাং হাদীছ নয়, বরং ফক্বীহগণ হাদীছ থেকে কি দলীল নিয়েছেন তা দেখতে হবে। একথা সঠিক কি? - -মুরশেদ খান, নিয়ামতপুর, নওগাঁ।
প্রশ্ন (৩৬/১১৬) : আমার বন্ধু ১৫-১৬ বছর বয়সে সমকামিতায় লিপ্ত ছিল। বর্তমানে সে সবকিছু ত্যাগ করেছে এবং নিয়মিত ছালাত আদায় করছে। কিন্তু কয়েক বছর যাবৎ সে তার অপরাধ নিয়ে ভীষণভাবে চিন্তিত। আগামীতে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হ’লে তাকে স্বউদ্যোগে শাস্তি গ্রহণ করতে হবে কি-না সেটা নিয়েও সে ভীত। এক্ষণে তার করণীয় কি?
আরও
আরও
.