উত্তর : মৃত শিশুর জন্য আক্বীক্বা দেওয়া যেতে পারে। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, প্রত্যেক শিশু তার আক্বীক্বার সাথে বন্ধক থাকে... (আবুদাঊদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইরওয়া হা/১১৬৫; মিশকাত হা/৪১৫৩)।
আর বন্ধক থাকার বিষয়টি মৃত্যু হ’লেও অবশিষ্ট থাকে। বন্ধক থেকে মুক্ত হওয়ার
জন্যই আক্বীক্বা দেওয়া উচিৎ। শাফেঈ বিদ্বানগণের মতে সাত দিনে আক্বীক্বার
বিষয়টি সীমা নির্দেশ মূলক নয় বরং এখতিয়ার মূলক। ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বলেন, সাত
দিনে আক্বীক্বার অর্থ হ’ল, ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ সাত দিনের পরে আক্বীক্বা করবে
না (নায়লুল আওত্বার ৬/২৬১ পৃঃ)।
সুতরাং আক্বীক্বা দেওয়ার জন্য বাচ্চা বেঁচে থাকা শর্ত নয় (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১১/৪৪৫)। বন্ধক থাকা হাদীছের ব্যাখ্যায় ইমাম খাত্ত্বাবী বলেন, এ বিষয়ে বিদ্বানগণ মতভেদ করেছেন। তবে এসবের মধ্যে সর্বাধিক উত্তম ব্যাখ্যা হ’ল যা ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল বলেছেন। তিনি বলেন, এটি সন্তানের শাফা‘আতের বিষয়ে বলা হয়েছে। তিনি মনে করেন, যদি সন্তানের আক্বীক্বা না করা হয়। অতঃপর সে শিশু অবস্থায় মারা যায়, তাহ’লে সে তার পিতা-মাতার জন্য শাফা‘আত করবে না (ফাৎহুল বারী ৯/৫৯৪)। অতএব উক্ত বাচ্চার শাফা‘আতের আশায় তার পক্ষ থেকে আক্বীক্বা করা যেতে পারে (দ্র. মাসায়েলে কুরবানী ও আক্বীক্বা, পৃ.৫৪)।