উত্তর : মৃত্যুর পরে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর অসীলায় দো‘আ করা বা কোন বিপদে তাঁর নিকটে সাহায্য প্রার্থনা করা বড় শিরকের অন্তর্ভুক্ত। কারণ মৃত্যুর পরে কেউ কারু কোন উপকার বা ক্ষতি করতে পারে না। আল্লাহ বলেন, তাদের সামনে পর্দা থাকবে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত’ (মুমিনূন ২৩/১০০)। আনাস (রাঃ) বলেন, যখনই অনাবৃষ্টি হ’ত, তখনই ওমর (রাঃ) আববাস (রাঃ)-এর অসীলায় বৃষ্টি প্রার্থনা করতেন। অতঃপর বলতেন, হে আল্লাহ! আমরা তোমার নিকট আমাদের নবীর অসীলায় বৃষ্টি চাইতাম। আর তুমি আমাদের বৃষ্টি দিতে। এখন আমরা আমাদের নবীর চাচার অসীলায় তোমার নিকট বৃষ্টি প্রার্থনা করছি। অতএব তুমি আমাদের বৃষ্টি দাও! অতঃপর বৃষ্টি হ’ত (বুখারী হা/১০১০; মিশকাত হা/১৫০৯)। এতে বুঝা যায় যে, জীবিত ব্যক্তি অন্য কোন পুণ্যবান জীবিত ব্যক্তির অসীলায় দো‘আ করতে পারে। কিন্তু কোন মৃত ব্যক্তির অসীলায় নয়। তাছাড়া যে রাসূল স্বীয় জীবদ্দশায় নিজের কোন উপকার করার ক্ষমতা রাখেন না, মৃত্যুর পরে তাঁর পক্ষে অন্যের উপকার করা কিভাবে সম্ভব? তাহ’লে তো তিনি জামাতা আলী এবং নাতি হাসান ও হোসাইনকে নিহত হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারতেন। মূলতঃ কিছু যঈফ ও জাল বর্ণনা দ্বারা ছূফীরা অসীলা সাব্যস্ত করার চেষ্টা করে থাকে মাত্র (দ্রঃ আলবানী, আত-তাওয়াসসুল পৃঃ ১০১-০৩)।