উত্তর : রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের যুগে সাত পরিবারের পক্ষ থেকে সাত ভাগে কুরবানী করার কোন দলীল পাওয়া যায় না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বিদায় হজ্জে আরাফার দিনে সমবেত জনমন্ডলীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘হে জনগণ! নিশ্চয়ই প্রতিটি পরিবারের উপরে প্রতি বছর একটি করে কুরবানী’ (আবুদাউদ হা/২৭৮৮; তিরমিযী হা/১৫১৮; মিশকাত হা/১৪৭৮)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মদীনায় সর্বদা নিজ পরিবারের পক্ষ থেকে একটি বা দু’টি দুম্বা কুরবানী করেছেন’ (বুখারী হা/৫৫৬৪-৬৫; মুসলিম হা/১৯৬৭, মিশকাত হা/১৪৫৩-৫৪)। ছাহাবীগণের মধ্যেও সর্বদা একই প্রচলন ছিল। প্রখ্যাত ছাহাবী আবু আইয়ূব আনছারী (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ)-এর সময়ে লোকেরা নিজের ও নিজ পরিবারের পক্ষ থেকে একটি করে বকরী কুরবানী দিত (তিরমিযী হা/১৫০৫, সনদ ছহীহ)। ধনাঢ্য ছাহাবী আবু সারীহা (রাঃ) বলেন, সুন্নাত জানার পর লোকেরা পরিবারপিছু একটি বা দু’টি করে বকরী কুরবানী দিত। অথচ এখন প্রতিবেশীরা আমাদের বখীল বলছে’ (ইবনু মাজাহ হা/৩১৪৮, সনদ ছহীহ)। অতএব পরিবারের পক্ষ থেকে একটি পশু কুরবানী করাই সুন্নাত।

উল্লেখ্য যে, সাত পরিবার নয় বরং সাতজন ব্যক্তি মিলে একটি গরু বা উট কুরবানী করার বিধান রয়েছে সফর অবস্থায়। যেমন জাবের (রাঃ) বলেন, আমরা রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে হোদায়বিয়া এবং হজ্জের সফরে ছিলাম। তখন তিনি আমাদেরকে একটি উটে ও গরুতে সাতজন করে শরীক হবার নির্দেশ দিলেন (মুসলিম হা/১৩১৮ (৩৫০-৫১)। একই বাক্যে বর্ণিত মুসলিম ও আবুদাঊদের উক্ত হাদীছটি সংক্ষেপে এসেছে মিশকাতে (হা/১৪৫৮)। যেখানে বলা হয়েছে, গরু ও উট সাতজনের পক্ষ হ’তে। এটি সফরের অবস্থায়। যা একই রাবীর অন্য বর্ণনায় এসেছে। যেমন ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, আমরা রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে একটি সফরে ছিলাম। এমন সময় ঈদুল আযহা উপস্থিত হয়। তখন আমরা একটি গরুতে সাতজন ও একটি উটে দশজন করে শরীক হই’ (তিরমিযী হা/৯০৯; ইবনু মাজাহ হা/৩১৩১; মিশকাত হা/১৪৬৯)






প্রশ্ন (৩৪/১৯৪) : কী পরিমাণ সম্পদ থাকলে হজ্জ করা ফরয?
প্রশ্ন (২৪/২২৪) : এ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং-এর ৫০ মিটার দূরত্বে বড় জামে মসজিদ রয়েছে। এক্ষণে ১০-১৫ জন নিয়ে বিল্ডিংয়ের নীচ তলায় স্থায়ীভাবে ওয়াক্তিয়া জামা‘আতের ব্যবস্থা করা ঠিক হবে কি? - মাহফূয, জেদ্দা, সঊদী আরব।
প্রশ্ন (৩৪/৪৩৪) : কেউ যদি এমন দেশে পৌঁছে যেখানে তার দেশের চেয়ে ইফতারের সময় কয়েক ঘণ্টা দেরীতে। তাহ’লে সে কী করবে?
প্রশ্ন (১/১৬১) : কবরস্থানের উপর ঘর-বাড়ি, টয়লেট ইত্যাদি নির্মাণ করে বসবাস করা যাবে কি? কেউ এরূপ করলে তার কী ধরনের শাস্তি হবে? দলীল ভিত্তিক জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৪/১২৪) : আমরা এক জায়গায় পুরুষের ইমামতিতে জুম‘আর ছালাত আদায় করছিলাম। প্রথম রাক‘আতের তেলাওয়াত চলাকালীন মাইক্রোফোন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এমতাবস্থায় মহিলাদের মধ্য হ’তে একজন ইমাম হয়ে দু’রাক‘আত ছালাত সম্পন্ন করে সালাম ফিরান। কিন্তু আমি দাঁড়িয়ে গিয়ে যোহরের ছালাত আদায় করি। এক্ষণে আমার ছালাত বা তাদের ছালাত হয়েছে কি?
প্রশ্ন (২১/২২১) : ছগীরা গুনাহ কাকে বলে? কয়েকটি ছগীরা গুনাহের উদাহরণ দিলে উপকৃত হব। - -নাসীম, বখশী বাযার, ঢাকা।
প্রশ্ন (২৫/৩০৫) : বর্তমানে কিছু ব্যক্তি তাদের নিজস্ব সিলসিলার অলি-আওলিয়াদের নামের শেষে রাযিয়াল্লাহু ‘আনহু যোগ করছে। এভাবে ছাহাবায়ে কেরাম বাদ দিয়ে সালাফদের নামের শেষে রাযিঃ...বাক্য ব্যবহার করা যাবে কি? - -সাঈদুল ইসলাম, মালদা, পশ্চিবঙ্গ, ভারত।
প্রশ্ন (৩১/৩১১) : ঋণ নিয়ে ফিৎরা দেওয়া যাবে কি? ফকীর-মিসকীন কিভাবে ফিৎরা আদায় করবে? - -যিয়াউর রহমান, গাংণী, মেহেরপুর।
প্রশ্ন (২৯/৪৬৯) : এমন কোন আমল আছে কি যা করলে আমি কবরের চাপ থেকে মুক্তি পাব?
প্রশ্ন (৪০/২৪০) : ঢাকার একটি জাতীয় দৈনিকের উপসম্পাদকীয় নিবন্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনৈক অধ্যাপক মীলাদুন্নবীর উপর লিখতে গিয়ে সূরা আহযাব ৫৬ আয়াতের বরাতে নবীর উপর দরূদ পাঠকে ঐরূপ ফরয বলেছেন যেরূপ ছালাত ও যাকাত ফরয। (২) অনুরূপভাবে তিনি বলেছেন, মি‘রাজের রাতে সিদরাতুল মুনতাহার উপরে যেতে জিব্রীল অপারগতা প্রকাশ করেন। কারণ ওটা ছিল নূরের জগত। তাই নূরুম মিন নূরিল্লাহ হিসাবে রাসূল একাই রফরফ যোগে সেখানে যান। অতঃপর তিনি আল্লাহর সান্নিধ্যে গিয়ে জাগতিক সময়ের হিসাবে ২৭ বছর কাল যাবৎ বাক্যালাপ করেন। কথাগুলি কি ঠিক?
প্রশ্ন (১৩/২১৩) : ছালাতের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পূর্বে নিয়মিত আযান ও ছালাত আদায় করা যাবে কি?
প্রশ্ন (২৯/৩৮৯) : পিতা-মাতা অমুসলিমদের ন্যায় ইংরেজী নাম রেখেছেন। যদিও তার অর্থ ভালো। আরবী ব্যতীত এরূপ নাম রাখা যাবে কি? যদি না রাখা যায় সেজন্য সন্তান গুনাহগার হবে কি? এক্ষণে তার করণীয় কি? - আমীনুল ইসলাম, পলাশ, নরসিংদী।
আরও
আরও
.