উত্তর : সাধারণভাবে প্রকাশ্যে শাসকদের সমালোচনা করা ইসলামের নীতি নয় (বুখারী হা/৭০৫২, ৫৩)। কেননা এতে কল্যাণের চেয়ে অকল্যাণই বেশী হয়। তবে বর্তমান গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে রাষ্ট্রপ্রধানের সমালোচনা অনুমোদিত। সেজন্য জনগণকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপ্রধানের মন্দ দিকগুলো প্রকাশ্যে আলোচনা বা সমালোচনা করা যেতে পারে। রাসূল (ছা.) বলেন, ‘সর্বোত্তম জিহাদ হ’ল অত্যাচারী শাসকের সম্মুখে সঠিক কথা বলা’ (আবূদাউদ হা/৪৩৪৪, তিরমিযী হা/২১৭৪)

তবে সমালোচনার ক্ষেত্রেও কিছু মূলনীতি মনে রাখা কর্তব্য। যেমন- (১) নিয়ত বিশুদ্ধ থাকা : অর্থাৎ সমালোচনা হবে স্রেফ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এবং ইসলাম ও মুসলমানের স্বার্থ রক্ষার জন্য। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘একজন মুমিন তাঁর ভাইয়ের জন্য আয়নাস্বরূপ। সে তার কোন ধরনের ভুল দেখলে সংশোধন করে দেয়’ (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/২৩৭; ছহীহাহ হা/৯২৬)। (২) কল্যাণকামী হওয়া : সমালোচনা হ’তে হবে মানুষের প্রতি নছীহত হিসাবে। বিরাগ বা বিদ্বেষবশত নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, দ্বীন হ’ল নছীহত (মুসলিম হা/৫৫; মিশকাত হা/৪৯৬৬)। (৩) নম্র ভাষা ব্যবহার করা : সমালোচিত ব্যক্তির ব্যাপারে শালীন ভাষা ব্যবহার করতে হবে। ফেরাঊনের ব্যাপারে আল্লাহ মূসা ও হারূণ (আঃ)-কে বলেছিলন, ‘অতঃপর তোমরা তার সাথে নম্রভাবে কথা বল। হয়ত সে উপদেশ গ্রহণ করবে অথবা ভয় করবে’ (ত্বোয়াহা, ২০/৪৪)। (৪) উত্তমভাবে বলা : আল্লাহ বলেন, ‘মানুষের সাথে উত্তম কথা বলবে’ (বাক্বারাহ ২/৮৩)। (৫) অর্থহীন তর্ক এড়িয়ে যাওয়া : অর্থহীন তর্ক ও সমালোচনায় লিপ্ত হওয়া যাবে না। আল্লাহ তাঁর নবীকে বলেন, ‘আর যদি তারা তোমার সাথে ঝগড়া করে, তবে বলে দাও যে, তোমরা যা কর সে সম্বন্ধে আল্লাহ সম্যক অবহিত। যে বিষয়ে তোমরা মতভেদ করছ, সে বিষয়ে আল্লাহ ক্বিয়ামতের দিন তোমাদের মধ্যে ফায়ছালা করে দিবেন’ (হজ্জ ২২/৬৮-৬৯)। (৬) সম্ভব হ’লে পরিচয় গোপন করা : সমালোচিত ব্যক্তির নাম ও পরিচয় গোপন রেখে তাঁর ভুলগুলো আলোচনা করা। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ)-এর কাছে যখন তাঁর কোন ছাহাবীর ব্যাপারে কোন অভিযোগ আসত, তখন তিনি বলতেন না যে, অমুকের কি হ’ল? বরং তিনি বলতেন, মানুষের কি হ’ল যে তারা এমন কাজ করে! (নাসাঈ হা/৩২১৭; আবুদাউদ হা/৪৭৮৮; ছহীহাহ হা/২০৬৪)। (৭) গোপনে সংশোধনের চেষ্টা করা : একান্তে ও গোপনে তাকে সংশোধনের চেষ্টা করা ইসলামের শিষ্টাচার। তবে যখন মুসলমান ও সমাজের বৃহত্তর ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তখন প্রকাশ্যে সমালোচনা করা যাবে। ফুযাইল বিন ইয়ায (রহঃ) বলেন, ‘মুমিন (মুমিনের দোষ) গোপন করে এবং তাকে উপদেশ দেয়। পাপিষ্ঠ তা প্রকাশ করে এবং লজ্জিত করে (ইবনু রজব, জামি‘উল ‘উলূম ওয়াল হিকাম ১/৮২)। (৮) মূর্খদের প্রতিপক্ষ না বানানো : বিপরীত পক্ষের লোক অজ্ঞ বা মূর্খ হ’লে বিশেষ কারণ ছাড়া সমালোচনা পরিহার করা উচিৎ (ফুরক্বান ২৫/৬৩; বিস্তারিত দ্র. রায়েদ আমীর আব্দুল্লাহ রাশেদ, আন-নাকদু বাইনাল বিনা ওয়াল হাদম পৃ. ৪৯)

প্রশ্নকারী : নযরুল ইসলাম, সিলেট।







বিষয়সমূহ: হালাল-হারাম
প্রশ্ন (৩৭/৩৫৭) : রাস্তার ডান দিক দিয়ে চলতে হবে। বাম দিক দিয়ে চললে পাপ হবে। শরী‘আতে এরূপ কোন নির্দেশনা আছে কি?
প্রশ্ন (২/৪২) : কেউ যদি কুরআন ও সুন্নাহ মেনে চলে তার জন্য কোন জামা‘আত বা সংগঠনের অন্তুর্ভুক্ত থাকা যরূরী কি? বিশেষতঃ যারা আমরা অমুসলিম দেশে বসবাস করি? - -রফীকুল ইসলাম, এ্যানকোনা, ইতালী।
প্রশ্ন (২/৮২) :কোন পাপ কাজ করার মানত করার পর তা না করে থাকলে কাফফারা দিতে হবে কি?
প্রশ্ন (১২/৫২) : কোন প্রসূতি যদি রামাযানের কতিপয় ছিয়াম ভঙ্গ করে এবং পরবর্তী রামাযান আসার পূর্বে ক্বাযা আদায় করতে না পারে; পরবর্তী বছর সন্তানকে দুধপানের কারণে যদি তার আরো কিছু ছিয়াম ভঙ্গ হয় এবং রামাযান আসার পূর্বে ক্বাযা আদায় করতে না পারে, তাহ’লে তার করণীয় কী?
প্রশ্ন (৪/১৬৪) : তারাবীহ পড়িয়ে হাদিয়া দাবী করা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (৩০/৪৩০) : কারো উপরে জিন আছর করলে কবিরাজের নিকট থেকে তদবীর করা যাবে কি? এরূপ করা না গেলে কিভাবে তার চিকিৎসা করতে হবে?
প্রশ্ন (৩৮/২৩৮) : বাসা থেকে মসজিদ ৫-৬ মিনিটের পথ। আযান শোনা যায়। তারপরও কেউ যদি সব ওয়াক্তের ছালাত বাড়িতে আদায় করে, তার ছালাত কবুল হবে কি?
প্রশ্ন (৩৮/১১৮) : ‘লা হাওলা অলা কুওয়াতা ইল­া বিল­া-হ’ ৯৯টি রোগের ঔষধ। যার সর্বনিম্ন হ’ল দুশ্চিন্তা। উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটির বিশুদ্ধতা জানতে চাই। - -মিনহাজ পারভেযহড়গ্রাম, রাজশাহী।
প্রশ্ন (১৯/৪১৯) : আযান চলা অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করলে আযানের উত্তর দেয়া উত্তম হবে না সুন্নাত পড়া উত্তম হবে?
প্রশ্ন (২০/৪৬০) : আমি খুব সামান্য বেতনের চাকুরী করি, যা দিয়ে স্ত্রীর ভরণ পোষণ সম্ভব নয়। অথচ আমার পিতা-মাতা আমাকে বিবাহ দিতে চান। এক্ষণে আমার করণীয় কি? - -মীযানুর রহমান, পীরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও।
প্রশ্ন (৮/৮৮) : প্রত্যেক রাক‘আতে সূরা ফাতিহার পর একই সূরা পাঠে কোন বাধা আছে কি? - -মুহিউদ্দীন, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
প্রশ্ন (২৯/১০৯) : জেনে-বুঝে কোন অত্যাচারী ব্যক্তি বা শাসককে সহযোগিতা করা, তাকে শক্তিশালী করা ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাওয়ার মত পাপ কি?
আরও
আরও
.