উত্তর : সঙ্গত কারণেই খোলাফায়ে রাশেদীন থেকে বর্ণিত হাদীছের সংখ্যা কম। প্রথমতঃ তারা খেলাফত, যুদ্ধ ও উম্মতের যরূরী বিষয়গুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে হাদীছ শ্রবণ ও বর্ণনায় মনোযোগ দিতে পারেননি। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, লোকেরা বলে, আবু হুরায়রা (রাঃ) বড় বেশী হাদীছ বর্ণনা করে। (জেনে রাখ) কিতাবে দু’টি আয়াত যদি না থাকত, তবে আমি একটি হাদীছও বর্ণনা করতাম না। এরপর তিনি তেলাওয়াত করলেন, ‘আমরা কিতাবের মধ্যে মানবজাতির জন্য স্পষ্ট বিধান ও পথনির্দেশ সমূহ বিবৃত করে নাযিল করার পরও যারা সেগুলিকে গোপন করে, তাদেরকে লা‘নত করেন আল্লাহ ও লা‘নত করেন সকল লা‘নতকারীগণ’। ‘তবে যারা তওবা করে ও সংশোধন করে নেয় এবং সত্য প্রকাশ করে দেয়, আমি তাদের তওবা কবুল করব। বস্ত্ততঃ আমি সর্বাধিক তওবা কবুলকারী ও দয়ালু’ (বাক্বারাহ ২/১৫৯-৬০)। প্রকৃত ঘটনা এই যে, আমার মুহাজির ভাইয়েরা বাজারে কেনাবেচায় এবং আমার আনছার ভাইয়েরা জমা-জমির কাজে মশগূল থাকত। আর আবু হুরায়রা (খেয়ে না খেয়ে) তুষ্ট থেকে রাসূল (ছাঃ)-এর সঙ্গে লেগে থাকতেন। তাই তারা যখন উপস্থিত থাকত না, তখন তিনি উপস্থিত থাকতেন এবং তারা যা মুখস্থ করত না তা তিনি মুখস্থ রাখতেন (বুখারী হা/১১৮; মিশকাত হা/৫৮৯৬)

দ্বিতীয়তঃ তারা হাদীছ বর্ণনায় অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করতেন। যেমন ওমর (রাঃ) সাক্ষী ব্যতীত কোন হাদীছই গ্রহণ করতেন না (ইবনু কুতায়বা, তাবীলু মুখতালাফিল হাদীছ ৯১-৯২ পৃ.)

তৃতীয়তঃ ইসলামের প্রাথমিক যুগ হওয়ায় তারা কুরআনের সাথে হাদীছের সংমিশ্রণ কিংবা হাদীছের সাথে মিথ্যার সংমিশ্রণের আশংকা করতেন। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যারোপ করল, সে যেন তার বাসস্থান জাহান্নামে বানিয়ে নিল’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৯৮ ইল্মঅধ্যায়)। তিনি অন্যত্র বলেন, ‘সাবধান! তোমরা আমার পক্ষ থেকে অধিকহারে হাদীছ বর্ণনায় সতর্ক হও। যদি কেউ আমার সম্পর্কে কোন কথা বলে, সে যেন সঠিক ও সত্য কথা বলে। কেননা কেউ যদি আমার সম্পর্কে এমন কথা বলে যা আমি বলিনি, সে যেন তার বাসস্থান জাহান্নামে বানিয়ে নিল’ (ইবনু মাজাহ হা/৩৫; ছহীহাহ হা/১৭৫৩)।  

চতুর্থতঃ তারা অনেক হাদীছ জানতেন। কিন্তু তাদের ব্যস্ততার কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে হাদীছ বর্ণনা করার সুযোগ পাননি। তবে প্রয়োজনের প্রেক্ষাপটে তারাও হাদীছ বর্ণনা করতেন। যেমন রাসূল (ছাঃ)-এর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ফিৎনার সময়, নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে মতভেদের সময় আবুবকর (রাঃ)-ই হাদীছ বর্ণনা করে সমাধান করেন (ইবনু তায়মিয়াহ, মিনহাজুস সুন্নাহ ৭/৩৬৭)

পঞ্চমতঃ  তারা অনেক হাদীছ বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তা হাদীছ হিসাবে নয় বরং অধিকাংশ ফৎওয়া হিসাবে এসেছে। উপরোক্ত আলোচনায় বুঝা যায় যে, সঙ্গত কারণেই খোলাফায়ে রাশেদীনের বর্ণিত হাদীছ সংখ্যা কম।

প্রশ্নকারী : মেহেদী হাসাননাটোর।







প্রশ্ন (১৯/৫৯) : পালকপুত্র ওয়ারিছ হ’তে পারে কি? তাকে কতটুকু অছিয়ত করা যাবে? - -নূরুল ইসলাম, ভাড়ালীপাড়া, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২৮/৪২৮) : আযান দেওয়ার সময় কানে হাত রাখলেই চলবে না ছিদ্রের মধ্যে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দিতে হবে? - -রোকনুযযামানআযীযুল হক কলেজ, বগুড়া।
প্রশ্ন (১১/৫১) : মেয়েদের নাক ফুটিয়ে অলংকার ব্যবহার করা জায়েয কি? এটি কি সৃষ্টিগত আকৃতি পরিবর্তনের শামিল?
প্রশ্ন (১/২৮১) : সিজোফ্রেনিয়া রোগের কারণে স্বামী মাঝে মাঝে চরম রাগান্বিত হয়ে আমাকে তালাক তালাক বলে। এগুলি তালাক হিসাবে গণ্য হবে কি? - -আমীনাকালিহাতি, টাঙ্গাইল।
প্রশ্ন (৩৫/৩৯৫) : সরকার বর্তমানে মালয়েশিয়া যাওয়া নিষিদ্ধ করেছে। এমতাবস্থায় চোরাইপথে সেখানে গিয়ে অর্থ উপার্জন করা শরী‘আতসম্মত হবে কি?
প্রশ্ন (১৭/৪১৭) : মোহরানা ছাড়া বিবাহ বৈধ কি? যে মোহরানা পরিশোধ করে না তার পরিণাম কী? জনৈক মুফাসসির বলেছেন, তারা হাশরের ময়দানে ব্যভিচারীদের লাইনে দাঁড়াবে। উক্ত বক্তব্যের দলীল জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৩০/১১০) : জনৈক ব্যক্তি বলে, যে ব্যক্তি মৃত্যু পর্যন্ত টুপী পরিধান করবে, ক্বিয়ামতের দিন সূর্যের তাপ ঐ ব্যক্তির শরীরে লাগবে না। এ বর্ণনার কোন সত্যতা আছে কি? - -আব্দুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
প্রশ্ন (২০/২২০) : পাঁচবছর পূর্বে স্ত্রীকে এক তালাক দিয়ে রাজ‘আত করেছিল। কিছুদিন পূর্বে উক্ত স্ত্রীকে গর্ভবতী অবস্থায় দুই তালাক দিয়েছে। এক্ষণে পুনরায় ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে স্বামীর করণীয় কি? - -রফীকুল ইসলাম মোল্লা, শ্রীপুর, গাযীপুর।
প্রশ্ন (২১/৬১) : বিবাহ উপলক্ষ্যে বিবাহের আগের দিন বা ২-৩ দিন পূর্বে গায়ে হলুদ করা জায়েয হবে কি? এছাড়া এসব অনুষ্ঠানে মেয়েরা পর্দার মধ্যে হলুদ শাড়ী পরতে পারবে কি?
প্রশ্ন (৫/৮৫) : টমেটো মূলত সবজি হিসাবে চাষ হ’ত। বর্তমানে এটি বাণিজ্যিক হিসাবে চাষ করা হচ্ছে। কিভাবে এর যাকাত আদায় করতে হবে?
প্রশ্ন (৭/৩৬৭) : জনৈক আলেম বলেন, জানাযা ছালাতের পূর্বে ভাষণ দেওয়া যাবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) ভাষণ দিয়ে কবরের অবস্থা বর্ণনা করেছেন। উক্ত দাবী কি সঠিক?
প্রশ্ন (৮/১৬৮) : আমার একজন বিশ্বস্ত ও ঘনিষ্ট হিন্দু বন্ধু আছে। তার সাথে আমার আন্তরিক উঠাবসা রয়েছে। এটা কি শরী‘আতসম্মত হচ্ছে? - -ইউসুফ ইমামবেলকুচি, সিরাজগঞ্জ।
আরও
আরও
.