উত্তর : এটি সম্পূর্ণরূপে শিরকী আক্বীদা। সৃষ্টি ও সৃষ্টিকর্তাকে যারা এক করে দেখাতে চায়, তারা সর্বেশ্বরবাদী শিরকী দর্শনের অনুসারী। উক্ত বানোয়াট দর্শনের পক্ষে দলীল হিসাবে যা পেশ করা হয়েছে তা স্রেফ ধোঁকা ও প্রতারণা মাত্র। পৃথিবীর কোন সৃষ্টিই সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সাথে তুলনীয় নয়। আল্লাহ বলেন, ‘তাঁর তুলনীয় কিছু নেই। তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা’ (শূরা ১১)। আর মুহাম্মাদ (ছাঃ) আল্লাহর বান্দা এবং আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ ও শ্রেষ্ঠ রাসূল। আল্লাহ বলেন, (হে মুহাম্মাদ) আপনি বলুন, ‘আমি তো তোমাদের মতই একজন মানুষ মাত্র; আমার প্রতি অহী করা হয় যে, তোমাদের মা‘বূদ মাত্র একজন’ (হা-মীম সাজদাহ ৬)

প্রশ্নে বর্ণিত আয়াতগুলিতে রাসূল (ছাঃ)-এর প্রতি আনুগত্যের মাধ্যমে আল্লাহর ভালোবাসা অর্জনের কথা বলা হয়েছে। রাসূলকে আল্লাহ বলা হয়নি। অথচ এইসব মুশরিকরা লালন ফকীরকে মুরশিদ ও রাসূল ভেবেছে। অতঃপর তাকেই আল্লাহ ভেবে নিয়েছে। এককথায় শয়তান এদের উপর সওয়ার হয়েছে। এগুলি শিরক। আর শিরকী আক্বীদার পরিণাম হ’ল জাহান্নাম। আল্লাহ বলেন, إِنَّهُ مَنْ يُشْرِكْ بِاللهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ وَمَأْوَاهُ النَّارُ ‘যে আল্লাহর সাথে শিরক করে, আল্লাহ তার উপর জান্নাতকে হারাম করে দেন। তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম’ (মায়েদাহ ৭২)। সুতরাং উক্ত ধোঁকা থেকে সাবধান থাকতে হবে।






প্রশ্ন (৩৪/১১৪) : অমুসলিমদের সদ্যপ্রসূত সন্তানের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানালে কোন মুসলিমের যোগদান করা ও খাওয়া-দাওয়া করা যাবে কি?
প্রশ্ন (২২/২২২) : বর্ণিত আছে যে, খলীফা থাকাকালীন সময়ে ওমর (রাঃ) সন্তানদের জন্য ঈদের কাপড় ক্রয় করতে না পেরে বায়তুল মাল-এর প্রধান আবু ওবায়দা (রাঃ)-কে তার এক মাসের অগ্রিম বেতন দেয়ার জন্য চিঠি পাঠান। পত্র পেয়ে তিনি অশ্রুসিক্ত হ’লেও উত্তর লিখলেন যে, অগ্রিম বেতন বরাদ্দের জন্য দু’টি বিষয় বিবেচনা করতে হবে। প্রথমতঃ আগামী মাস পর্যন্ত আপনি বেঁচে থাকবেন কি-না? দ্বিতীয়তঃ বেঁচে থাকলেও মুসলমানেরা আপনাকে খিলাফতের দায়িত্বে বহাল রাখবে কি-না? উত্তর পাঠ করে ওমর (রাঃ) এত বেশী ক্রন্দন করেন যে তাঁর দাড়ি ভিজে গেল। তিনি আবু ওবায়দার জন্য আল্লাহর নিকটে রহমত ও হায়াত বৃদ্ধির জন্য দো‘আ করলেন। ফলে আর ঈদের কাপড়ও কেনা হ’ল না। এ ঘটনার সত্যতা আছে কি? - নাছিরুদ্দীন, মিরপুর, ঢাকা।
প্রশ্ন (২১/৪২১) : মসজিদ সম্প্রসারণের সময় কারণবশতঃ যাকাত, ফিতরা ও ওশরের টাকা আদায়কৃত মূল অর্থের সাথে মিশে গেছে, যার পরিমাণ কারো জানা নেই। এক্ষণে এরূপ মসজিদে ছালাত আদায় জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (১৫/৯৫) : আমি নানীর দুধ পান করে বড় হয়েছি। বড় হয়ে বড় মামার মেয়েকে বিয়ে করেছি এবং একটি ছেলে সন্তান হয়েছে। এক্ষণে আমাদের বিবাহ কি শুদ্ধ ছিল? শুদ্ধ না হ’লে আমাদের সন্তানের কি হবে? জানিয়ে বাধিত করবেন। - - মাহবূব আলম, গোদাগাড়ী, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৪/৪০৪) : যারা ছালাত আদায় করে না বা শিরকে লিপ্ত, তাদের জানাযা পড়া যাবে কি?
প্রশ্ন (৩/২৮৩) : পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, ছয় দিনে পৃথিবী সৃষ্টি করা হয়েছে। আবার বলা হয়েছে, আল্লাহ ‘হও’ বললে হয়ে যায়। তাহ’লে ছয় দিনের তাৎপর্য কি?
প্রশ্ন (২০/৪২০) : যৌথ পরিবার থেকে প্রবাসে যাওয়ার পর আমাকে পাঠানোর পুরো খরচ পিতা-মাতাকে ফেরত দিয়েছি। কিন্তু পিতা-মাতা ও ভাইয়েরা তা অস্বীকার করছে। তারা বলছে, টাকা না দিলে আমাকে বাড়িতে যেতে দেওয়া হবে না। এক্ষণে আমার করণীয় কি? - -আব্দুল্লাহ, সিংগাপুর।
প্রশ্ন (১৭/১৭৭) : ছালাত আদায়কালীন সময়ে কলিংবেল বাজলে করণীয় কি? - -হাফীযুর রহমান, রামরায়পুর, নওগাঁ।
প্রশ্ন (৮/৩৪৮) : আমার এক চোখ নষ্ট হ’লেও তা জন্মগত নয়। বরং ছোটবেলা খেলা করার সময় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে এরূপ হয়েছে। এক্ষণে প্রতিবন্ধী সনদ নিয়ে কোথাও চাকুরী করা বা কোন সুবিধা ভোগ করা আমার জন্য জায়েয হবে কি? - -সুজন, ঝিনাইদহ।
প্রশ্ন (২৯/২৬৯) : বিশেষ কারণে ইচ্ছাকৃতভাবে কোন পুরুষ মহিলায় কিংবা কোন মহিলা পুরুষে রূপান্তরিত হ’তে পারে কি? এ বিষয়ে শারঈ বিধান কি?
প্রশ্ন (৩৪/১৯৪) : সূর্য ও চন্দ্র গ্রহণের ছালাত আদায়ের পদ্ধতি বিস্তারিত জানতে চাই। - -ফাহীমা, কেঁড়াগাছি, সাতক্ষীরা।
প্রশ্ন (৩০/৭০) : আমাদের এলাকায় প্রচলিত আছে যে, স্বামী বা পরিবারের অভিভাবক ছালাত আদায় না করলে পরিবারের অন্য সদস্য বিশেষত স্ত্রীর ইবাদত কবুল হবে না। একথার সত্যতা আছে কি?
আরও
আরও
.