উত্তর : অনুরূপ
একটি প্রশ্নের জওয়াবে ইমাম মালেক (রহঃ) প্রশ্নকারীকে জিজ্ঞেস করেন, তাদের
কি প্রাণ আছে? প্রশ্নকারী বলেন, আছে। তখন ইমাম মালেক (রহঃ) বলেন, মালাকুল
মউত তাদের জান কবয করে। কেননা আল্লাহ বলেন, اللهُ يَتَوَفَّى الْأَنفُسَ
حِيْنَ مَوْتِهَا ‘আল্লাহ জীবসমূহের প্রাণ হরণ করেন তাদের মৃত্যুর সময়’ (যুমার ৩৯/৪২; কুরতুবী, তাফসীর সূরা সাজদাহ ১১)। অন্য আয়াতে এর ব্যাখ্যা এসেছে, تَوَفَّتْهُ رُسُلُنَا ‘তার প্রাণ হরণ করে আমাদের প্রেরিত দূতগণ’ (আন‘আম ৬/৬১)।
ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, ফেরেশতাগণের মধ্যে মালাকুল মউতের বহু সাহায্যকারী
(أعوان) রয়েছে। যারা দেহ থেকে রূহ বের করে আনে। অতঃপর হলকূমের কাছে এলে
মালাকুল মউত তা কবয করে (ইবনু কাছীর, তাফসীর সূরা আন‘আম ৬২)।
আল্লাহ বলেন, হে রাসূল! আপনি বলে দিন যে, মালাকুল মউত তোমাদের জান কবয করে
থাকে। যাকে তোমাদের জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে। অতঃপর তোমরা সকলে তোমাদের
পালনকর্তার নিকট ফিরে আসবে’ (সাজদাহ ৩২/১১)। এখানে সেরা
সৃষ্টি হিসাবে ‘মানুষ’কে উদ্দেশ্য করা হয়েছে। যার মধ্যে অন্য সকল সৃষ্টি
শামিল রয়েছে। ‘মালাকুল মউত’ আযরাঈল একক ফেরেশতা হ’লেও তার সাহায্যকারীদের
প্রতি ইঙ্গিত করে আল্লাহ বলেন, فَكَيْفَ إِذَا تَوَفَّتْهُمْ
الْمَلَائِكَةُ يَضْرِبُونَ وُجُوهَهُمْ وَأَدْبَارَهُمْ- ‘তাদের অবস্থা
কেমন হবে যখন ফেরেশতারা তাদের প্রাণ হরণ করবে...’ (মুহাম্মাদ ৪৭/২৭)।
আল্লাহ ফেরেশতাদের অসীম ক্ষমতা দান করেছেন, যা মানুষের ক্ষমতার সঙ্গে
তুলনীয় নয়। তারা আল্লাহর কখনো অবাধ্যতা করেন না এবং সর্বদা তাঁর হুকুম
পালনে প্রস্ত্তত থাকেন (তাহরীম ৬৬/৬)। মালাকুল মউত অন্যান্য প্রাণীর জান কবয করেন না বলে যে বর্ণনা রয়েছে তা মওযূ বা জাল (সিলসিলা যঈফাহ হা/১৬৯৩)।