উত্তর : কেবল ছালাতই নয় যেকোন ইবাদতরত অবস্থায় কারো মৃত্যু তার জন্য পরকালীন কল্যাণের বার্তা বহন করে। যেমন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যখন আল্লাহ কোন ব্যক্তির ভালো চান, তাকে মানুষের প্রিয়পাত্র করেন। কেউ রাসূল (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল! প্রিয়পাত্র করার অর্থ কী? রাসূল (ছাঃ) বললেন, ‘মৃত্যুর আগে তাকে ভালো কাজে লিপ্ত করেন এবং সে অবস্থায় তাকে মৃত্যু দান করেন’ (ছহীহ ইবনু হিববান হা/৩৪২; আহমাদ হা/১৭৮১৯; ছহীহাহ হা/১১১৪; ছহীহুল জামে‘ হা/৩০৫-৭)। অন্য হাদীছে এসেছে, রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যখন আল্লাহ কোন মানুষের কল্যাণ চান তাকে পবিত্র করেন। ছাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন, কিভাবে বান্দাকে পবিত্র করা হয়, রাসূল (ছাঃ) বললেন, ‘তার মনে ভালো কাজের উদ্রেক ঘটিয়ে তাকে ভালো কাজে লিপ্ত করা হয় এবং সে অবস্থায় তার জান কবয করা হয় (ত্বাবারাণী কাবীর হা/৭৯০০; ছহীহুল জামে‘ হা/৩০৬)। এছাড়াও ইবাদতে লিপ্ত থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে সে অবস্থায় ক্বিয়ামতের দিন উত্থিত হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘প্রত্যেক বান্দা ক্বিয়ামতের দিন ঐ অবস্থায় উত্থিত হবে, যে অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করেছে’ (মুসলিম হা/২৮৭৮)। অতএব ছালাতরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করা সৌভাগ্যের আলামত।
প্রশ্নকারী : জান্নাত* হোসাইন হৃদয়, ময়মনসিংহ।
*[ স্রেফ ‘হোসাইন’ নাম রাখুন (স.স.)]