উত্তর : ফেরেশতাগণ আমাদের মতই সৃষ্ট জীব। আল্লাহর ইবাদতের জন্য তাদের সৃষ্টি করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা তাদের জন্য কিছু কাজ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। যেগুলো তারা কোন প্রশ্ন ছাড়াই পালন করে থাকেন। তার মধ্যে পৃথিবীর পরিচালনার বিষয়ে কিছু কার্যক্রম রয়েছে। যেমন বৃষ্টি বর্ষণ করা, ঝড়-তুফান দিয়ে কাউকে ধ্বংস করে দেওয়া ইত্যাদি। আর এগুলো আল্লাহ তা‘আলার ‘কুন’ বা ‘হও’ আদেশের মত। আর এই নিয়মতান্ত্রিক শৃংখলার মাধ্যমে আল্লাহ পৃথিবী পরিচালনার জন্য ফেরেশতাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, ‘তারা আল্লাহর আগে বেড়ে কোন কথা বলে না। আর তারা তাঁর আদেশ মতই কাজ করে থাকে। তাদের আগে-পিছে যা কিছু আছে, সবই তিনি জানেন। আর তারা কোন সুফারিশ করে না, কেবল যার প্রতি তিনি (আল্লাহ) সন্তুষ্ট এবং তারা থাকে তাঁর ভয়ে সদা সন্ত্রস্ত’ (আম্বিয়া ২১/২৭-২৮)। শপথ সেই ফেরেশতাগণের! যারা সকল কার্য নির্বাহ করে (নাযে‘আত ৭৯/৫)। আল্লাহ আরও বলেন, ‘যার উপর নিযুক্ত রয়েছে পাষাণ হৃদয় ও কঠোর স্বভাবের ফেরেশতাগণ। যারা আল্লাহ যা আদেশ করেন, তা অমান্য করে না এবং তাদেরকে যা আদেশ করা হয়, তারা তাই করে (তাহরীম ৬৬/৬)। কিছু ফেরেশতা আছেন যারা মানুষের হেফাযতে নিয়োজিত। আল্লাহ বলেন, ‘প্রত্যেক মানুষের জন্য তার সামনে ও পিছনে পরপর আগত পাহারাদার ফেরেশতাগণ রয়েছে। যারা তাকে হেফাযত করে আল্লাহর হুকুমে’ (রা‘দ ১৩/১১)। তিনি আরও বলেন, ‘তিনি স্বীয় বান্দাদের উপর পরাক্রমশালী। তিনি তোমাদের উপর হেফাযতকারী (ফেরেশতাদের) পাঠিয়ে থাকেন। পরিশেষে যখন তোমাদের কারো মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন আমাদের দূতগণ (ফেরেশতাগণ) তার আত্মা হরণ করে নেয় এবং এতে তারা আদৌ ত্রুটি করে না’ (আন‘আম ৬/৬১)। অতএব আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে ফেরেশতাগণ আল্লাহর সৃষ্ট জীব। যারা কেবল আল্লাহর হুকুমে আকাশ ও যমীনের বিভিন্ন কাজ আঞ্জাম দিয়ে থাকে।

প্রশ্নকারী : ফারদিন, ঢাকা।








বিষয়সমূহ: সৃষ্টিজগৎ
প্রশ্ন (৩৬/২৭৬) : কুরআন মুখস্থ করে ভুলে গেলে সে ক্বিয়ামতের দিন হাত-পা কাটা অবস্থায় উঠবে মর্মে বর্ণিত হাদীছটির বিশুদ্ধতা জানতে চাই।
প্রশ্ন (৩৮/৪৩৮) : বেদানা জান্নাত থেকে পরাগায়িত ফল এবং তা খেলে ৪০ দিনের জন্য হৃদয় আলোকিত হয় এবং শয়তান নির্বাক হয়ে যায় মর্মে বর্ণিত হাদীছ সমূহ কি ছহীহ? - ক্বামারুযযামান গোসাইরহাট, শরীয়তপুর।
প্রশ্ন (৬/২০৬) : এক্বামতের সময় হাত ছেড়ে না বেঁধে রাখতে হবে? - -মুহাম্মাদ আরাফাত, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
প্রশ্ন (৩/২০৩) : মহিলাদের জন্য জুম‘আর ছালাত আদায় করা কি যরূরী? বিস্তারিত জানতে চাই।
প্রশ্ন (১৭/৩৭৭) : আমার আত্মীয়-স্বজন ছালাত ছিয়াম আদায় করে না। এ ব্যাপারে কিছু বললে বিরূপ মন্তব্য করে। এমতাবস্থায় তাদের সাথে সম্পর্ক রাখা যাবে কি? অথবা তাদের বিপদে সাহায্য না করলে গুনাহগার হতে হবে কি?
প্রশ্ন (৩৪/৩৪) মাতা-পিতার মুখের দিকে তাকালে কবুল হজ্জের নেকী পাওয়া যায় মর্মে হাদীছটি নাকি জাল। কিন্তু কেন জাল তার কারণ জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৫/১২৫) : কিয়ামত দিবসে কে কে শাফা‘আত করার সুযোগ লাভ করবেন?
প্রশ্ন (২৪/৩৮৪) : রামাযান মাসে কোন ব্যক্তি সাহারী খাওয়ার জন্য ঘুম থেকে জেগে দেখল যে, সময়সূচী মোতাবেক আর মাত্র ১ মিনিট বাকি আছে। সে ব্যক্তি ছিয়াম পালনের নিয়তে এক গ্লাস পানি পান করে নিল। এক্ষণে সাহারী না খাওয়ার কারণে তার ছিয়াম নষ্ট হবে কি?
প্রশ্ন (৩২/২৩২) : একটা ছেলের অপারেশনের জন্য একটি সংস্থার উদ্যোগে মানুষের নিকট থেকে তহবিল সংগ্রহ করার পর অপারেশনে তার অর্ধেক খরচ হয়েছে। বাকী টাকা সংস্থার তহবিলে রেখে দিয়েছে। অন্যদিকে ছেলেটির পূর্ণ সুস্থ হ’তে ১ বছর সময় লাগবে এবং এসময় সে কোন কাজ-কর্ম করতে পারবে না। এক্ষণে বাকী অর্থ তহবিলে রেখে অন্য কারো জন্য খরচ করা যাবে কি? নাকি যার কথা বলে আদায় করা হয়েছে তাকেই তা বুঝিয়ে দিতে হবে?
প্রশ্ন (১৬/৩৩৬) : দো‘আ কুনূতের শেষাংশে ‘ওয়া নাসতাগফিরুকা ওয়া নাতূবু ইলাইক, ওয়া ছাল্লাল্লাহু আলান নাবী’-অংশটি কি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত?
প্রশ্ন (১/১৬১): ২০০৩ ইং জুলাই আত-তাহরীক ৯নং প্রশ্নোত্তরে লেখা হয়েছে, ‘কবিরাজগণ জিনদের মাধ্যমে যেসব কথাবার্তা বলে থাকেন তা বিশ্বাস করা যাবে’। কিন্তু হাদীছে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোন গণকের নিকট আসল এবং তার কথার প্রতি বিশ্বাস করল সে মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তাকে অস্বীকার করল (আহমাদ ২/৪২৯ পৃঃ)। অন্য হাদীছে রয়েছে, ৪০ দিন তার ছালাত কবুল হবে না (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৫৯৫)। উক্ত বিষয়ে সমাধান জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (২৩/২৩) : শিশু সন্তান পিতা-মাতার সাথে হজ্জ পালন করলে তার কোন নেকী হবে কি বা হজ্জের ফরযিয়াত আদায় হয়ে যাবে কি? এছাড়া উক্ত সন্তানের জন্য কি পৃথকভাবে ত্বাওয়াফ ও সাঈ করতে হবে না সন্তান কোলে নিয়ে করা হ’লে সেটাই যথেষ্ট হবে?
আরও
আরও
.