উত্তর : সফরকালে কেউ দো‘আ চাইলে ‘ফী আমানিল্লাহ’ বলার স্পষ্ট দলীল নেই। তবে সাধারণভাবে এক্ষেত্রে ফী আমানিল্লাহ, ফী হিফযিল্লাহ, ফী কানাফিল্লাহ, আলা বারাকাতিল্লাহ ইত্যাদি শব্দ ব্যবহারে দোষ নেই। যেমন জনৈক ছাহাবী সফরকালে রাসূল (ছাঃ)-এর কাছে বিদায় চাইলে তিনি তার হাত ধরে বলেন, ‘ফী হিফযিল্লাহ ওয়া ফী কানাফিল্লাহ’... (আল্লাহর হেফাযতে ও তাঁর রহমতের ছায়া তলে...) (দারেমী হা/২৬৭১, ২৭১৩ সনদ জাইয়িদ, তাহকীক : সালীম আসাদ; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৫/৪৮২-৮৩; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ দারব-৮/৩৮৫)। তবে সফরকালীন এর চাইতে বিশুদ্ধ ও সুন্দর দো‘আ সমূহ হাদীছে বর্ণিত হয়েছে। যেমন আসতাওদি‘উল্লা-হা দীনাকুম ওয়া আমা-নাতাকুম ওয়া খাওয়া-তীমা আ‘মা-লিকুম’ (আমি আপনার বা আপনাদের দ্বীন, ও আমানত সমূহ এবং শেষ আমল সমূহকে আল্লাহর হেফাযতে ন্যস্ত করলাম’) (তিরমিযী, আবুদাঊদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/২৪৩৫)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, একদা এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট দো‘আ চাইলে তিনি বলেন, زَوَّدَكَ اللَّهُ التَّقْوَى وَغَفَرَ ذَنْبَكَ وَيَسَّرَ لَكَ الْخَيْرَ حَيْثُمَا كُنْتَ অর্থ : ‘আল্লাহ তোমাকে কারো নিকট চাওয়া থেকে বাঁচান, তোমার গোনাহ মাফ করুন এবং তুমি যেখানেই থাক না কেন আল্লাহ তোমার জন্য কল্যাণকে সহজ করে দিন’ (তিরমিযী হা/৩৪৪৪; মিশকাত হা/২৪৩৭; ছহীহুল জামে‘ হা/৩৫৭৯)।
প্রশ্নকারী : কাবীরুল ইসলাম, দোহা, কাতার।